যে লোকটা স্বপ্ন এনেছিলো
--------------------------------------
অনমিত্র সান্যাল
----------------------
১৫ /০৭ /২০২০
----------------------
কাল রাতে যে লোকটা স্বপ্ন এনেছিলো...
জর্জরিত প্রথম বৈশাখে,
সুন্দরের গল্প করে গেল, বিনিদ্র…
যে লোকটা স্বপ্ন এনেছিলো
--------------------------------------
অনমিত্র সান্যাল
----------------------
১৫ /০৭ /২০২০
----------------------
কাল রাতে যে লোকটা স্বপ্ন এনেছিলো...
জর্জরিত প্রথম বৈশাখে,
সুন্দরের গল্প করে গেল, বিনিদ্র রজনীর বিধ্বস্ত অন্তিমে..
বলিষ্ঠ লতার মতো তখনও জড়ানো আমি, মাত্রাহীন কৃপণ সংসারে।
আমার সুন্দর ছিল ঘনীভূত সন্দেহের প্রথম ঈশ্বরে,ফলকজোড়া তাৎপর্যহীন কার্যকারনে,ভাসাতে পারেনি কেউ কোনো এক অদৃশ্য গড়নে,
শোকে আহ্লাদে,স্বপ্ন দেখা হৃৎপিণ্ডের মস্ত বুকের ধারে,
রোজ দুবেলা মরচে ধরা সংসারে সেই হার,দু-বেলা নির্মম..
যে..
সব অতীতকে স্মৃতির ভিতর অমনি টানে,
জ্বলতে জানে দপ আগুনে, গলতে জানে রোদের মতো শেষ ফাগুনে,
জানো,তাকে আজ বড্ড দরকার,
ঋণের টাকা চুরাশি হাজার পেরিয়ে গেলেও সে আত্মমগ্ন...
মুখের সক্রিয় ভাঁজে আটকে থাকা নির্মাণের পরোক্ষ অতীতে অনামিকা নীলা দুলিয়ে,বিরক্ত উল্লাসে,
বিলাসিতার ঘোলাটে বিস্ময়ে সে
অপার মুক্তি খোঁজে, দুয়ারের শেষ চৌকাঠে,
বিষয়বস্তু কবচে লুকোনো, নীরবতা সাতপাঁচে আর প্রফুল্ল নয়
যে লোকটা স্বপ্ন এনেছিল,চুরাশিতলা ছাদের উপরে,এ-সম্পর্ক তাকেই মানায়...
এ-সম্পর্কে মনস্তাপের ভয়...
নিজের কাছে চাইনি কখনও পতঙ্গ ওড়া ছাই,
পাখি-ঠোঁট হয়ে চাইনি কখনও আগুন,
এ প্রান্তে যদি উপবীষ্ট কাল,
ও-প্রান্তে ঐ তন্দ্রা মহাকাল,
ভেঙে যাওয়া মন্দিরের প্রতিটি ইঁট আটকে আছে সম্পর্কের অদ্ভূত বশ্যতায়,
দরদাম নেই, নেই বিকশিত জমকালো সুখ, তবুও কিন্তু কবিতার বই চায়,
গড়িয়ে পড়া চাঁদ রোজ ডুব দেয় নির্ধারিত সময়ের ঢেউয়ে..নির্জন স্বপ্নের প্রচণ্ড ভাঙনে।
তবুও-তো চাঁদ গলছে,রোদ্দুরে ঐ কয়েকটা রঙ ফলছে,
দোয়েলের গান, দু-চারটে স্তব,ফস্কে ফুড়ুৎ দারুণ-দারুণ,
কল্কা তুলে জবর দখল খুঁজছে,
আলোয় তবে অগ্নি,এগিয়ে আসা স-দরকারী ভস্মের হিম-কুন্ড,
ভন্ড রাজার ফন্দি,ভাঙবে তোমার তন্দ্রা রাখার ভান্ড,
কাঁচের স্বর্গ সাঙ্গ হলেই,পিণ্ড-দানের আলেখ্যপাঠ,
অদেখা হৃৎপিণ্ড,
ঢেউ লেগেছে পুষ্টিপাঠের, ফলন্ত নিশ্চিহ্ন।
তোমার অহঙ্কারের পতন,আমার অসম্ভবের নিত্য কেনা স্মৃতি,
আমার পানসিতে হইচই..ভাঙা দাঁড়ের পুরোনো হাল,পুরোনো সেই ছই,
পুরোনো রোদ এক-ই রকম গলছে,
ঐ যে দূরে নগরপালিকা...
স্বর্গের দিকে মুখ বাড়িয়ে
মেঘপল্লবে মোমবাতি গুনছে...
নতুন করে স্বপ্ন যদি পাই...
গাছের মতো দীর্ঘ....
তবে পাথর হতে পারি,নদী হলেও খুব আপত্তি নেই,
যে লোকটা স্বপ্ন এনেছিল,
তাকেই এনো, মাঝে কোনো প্রশ্নচিহ্ন নেই।