পাক্ষিক প্রতিযোগিতা-২
অনুগল্প
বিষয়-অলৌকিক
গল্পের নাম- ম্যানিকুইন
লেখক-ঋদ্ধিমান ভট্টাচার্য্য
সেই সকাল থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে।শার্টের প্রাইজ ট্যাগটা ঘাড়ের কাছে খচখচ করছে। ভেতরে ভেতরে একটা মিনমিনে গরম হচ্ছে। এসিটা বন্ধ হয়ে গেছে। এখুনি …
পাক্ষিক প্রতিযোগিতা-২
অনুগল্প
বিষয়-অলৌকিক
গল্পের নাম- ম্যানিকুইন
লেখক-ঋদ্ধিমান ভট্টাচার্য্য
সেই সকাল থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে।শার্টের প্রাইজ ট্যাগটা ঘাড়ের কাছে খচখচ করছে। ভেতরে ভেতরে একটা মিনমিনে গরম হচ্ছে। এসিটা বন্ধ হয়ে গেছে। এখুনি শোরুম বন্ধ করে শেলী চলে যাবে। ও বোধহয় ওয়াশরুমে গেছে। কিন্তু বড্ড দেরি করছে আজকে। পাশের সবকটা শপ বন্ধ হয়ে গেছে। আলোও নিভেছে। আস্তে আস্তে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে যায় সে। ওয়াশরুমের দরজাটা ভেজানো। ঠেলতেই খুলে যায়। শেলী পোষাক পালটাচ্ছে। আঁতকে ওঠে শেলী।দুহাত দিয়ে নিরাভরণ বুক দুটো আড়াল করে পিছোতে থাকে আর মুখ ঘুরিয়ে বেসিনের আয়নার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে । দরজাটা বন্ধ করে বেরিয়ে আসে সে। শেলী অকারন ভয় পেয়েছে। একটা ম্যানিকুইনের শরীরে শ্লীলতাহানি করার অঙ্গটা থাকে না, দুস্কর্ম করার মতন মনটাও থাকে না।
ভোর থেকে শপিংমলে পুলিশে পুলিশ। ফ্যাশন হাউসের ওয়াশরুম থেকে শেলীর প্রাণহীন দেহটা গাড়িতে তোলা হচ্ছিল।বিবস্ত্র।কিন্তু শরীরে কোন আঘাতের চিহ্নটূকুও নেই। আর একটা ডেডবডিও পুলিশ সেখানে পেয়েছে। ছেলেটি ওই দোকানের সিকিউরিটি গার্ড। শ্বাস রোধ করে কে যেন মেরেছে। যদিও গলায় কারোর হাতের ছাপ নেই। ক্যাশ কাউন্টারের পাশে দাঁড় করানো ম্যানিকুইনটির সাথে ধাক্কা খেলেন পুলিশ ইনস্পেকটর।উল্টে গেল ম্যানিকুইনটি।মাটি থেকে তুলে সোজা করে বেড়িয়ে আসছিলেন ইনস্পেকটর।
কে যেন ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল- থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।