* একটি নদীর গল্পকথা *----- মেঘে ঢাকা তারা18.08.18
এক যে ছিলো ছোট্টনদীর শান্ত জলের ধারাবয়তো সে যে খেয়াল খুশির স্রোতে আপনহারা,দখিন বায়ের লাগলে দোলা স্রোতঃস্বিনীর জলে-ছুটতো বেগে আনন্দে সে হাওয়ার তলে তলে।
পথের বাঁকে মিললো হঠাৎ আরেক নদী…
* একটি নদীর গল্পকথা *
----- মেঘে ঢাকা তারা
18.08.18
এক যে ছিলো ছোট্টনদীর শান্ত জলের ধারা
বয়তো সে যে খেয়াল খুশির স্রোতে আপনহারা,
দখিন বায়ের লাগলে দোলা স্রোতঃস্বিনীর জলে-
ছুটতো বেগে আনন্দে সে হাওয়ার তলে তলে।
পথের বাঁকে মিললো হঠাৎ আরেক নদীর সাথে,
উপনদী হয়ে যে তার মিশলো এসে তাতে।
দিনের পরে দিন চলে যায়,দেখলো নদী শেষে,
একটু করে ময়লা মাটি মিশছে যেন এসে।
আনলো বয়ে উপনদী মলীন কাদার ধারা,
জমলো যত শেওলা, পানা নদীর বুকে সারা।
ক্রমে ক্রমে জমছে পলি নদীর পথে আসি,
হঠাৎ যেন থিতিয়ে গেলো তার সে জলরাশি!
স্তব্ধগতী মৌনমতী বাড়ছে ক্রমে ক্লেশ,
দিন গোনে সে ছোট্ট নদী শুকিয়ে হবার শেষ!
এমন সময় আকাশ ঘিরে জমলো মেঘের সারি
আকাশ ফেটে ঝরছে যেন অঝোর ধারায় বারি!
সারাটা মাস বর্ষণেতে ভরলো কূলে কূলে,
নদী আবার ধায়লো বেগে খুশির তরঙ তুলে!
সেই থেকে ঐ শ্রাবন্তী মেঘ হলো যে তার সখা,
মনের সুখে গল্প করে,যখনই হয় দেখা।
শ্রাবন্তী মেঘ পায়নি দেখা এমন কারোর আগে,
গায়বে কুজন,সেই যে সুজন,তার সে অনুরাগে।
পথ চেয়ে তার দিন যে কাটায়, এমনই এক সাথী,
সকল ব্যথার অশ্রু যে নেয় বক্ষ রাখি পাতি।
যখন নদী থমকে দাঁড়ায় শোকের পলি জমে,
শ্রাবন্তী মেঘ যোগায় গতী অঝোর ধারায় নেমে!
এই ভাবেতেই কাটায় দোঁহে জীবনগীতি গেয়ে,
বৃষ্টি ভেজা স্রোতস্বিনী বইছে সুখে ধেয়ে!