"মাপক-যন্ত্র" রবীন্দ্রনাথ হালদার। কবিতা। 26/08/2020.🎅🎅🎅🎅🎅🎅🎅🎅🎅 আমি এক নাম না জানা পাপী। কাজ করি আমি, নিজেকে বাদ দিয়ে সবাইকে মাপি। সৃষ্টির আদিম যুৃগে, …
"মাপক-যন্ত্র"
রবীন্দ্রনাথ হালদার।
কবিতা।
26/08/2020.
🎅🎅🎅🎅🎅🎅🎅🎅🎅
আমি এক নাম না জানা পাপী।
কাজ করি আমি, নিজেকে বাদ দিয়ে সবাইকে মাপি।
সৃষ্টির আদিম যুৃগে, মানুষ যখন মরে কিম্বা অভাব-অনটনে ভুগে,
অভাব যে ছিল খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থানের তা কিন্তু নয়।
একের প্রাচুর্য্য আর অন্যের ঘাটতির মধ্যে হোতো না কোনো বিনিময়।
আদান-প্রদান আর যোগাযোগের মাধ্যমেই বিনিময় প্রথার শুরু।
সম্ভবত ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতাই বিনিময় প্রথার গুরু।
শুরুটা করেছিলো কেউ,জিনিসের বদলে জিনিস দিয়ে।
সমস্যা শুরুটা কিন্তু জিনিসের পরিমান নিয়ে।
সমস্যা সমাধানে এলো ধান্য, কড়ি-বরগা কিম্বা গরু ছিল ইহার গুরু।
তাতেও সমস্যা মিটলো না যখন,
নতুন করে শুরু হোলো তখন, স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন হোলো শুরু।
কিন্তু পরিমানটা মাপার বিষয়টা ছিলো- একেবারে স্বতন্ত্র।
সকল কিছুর শেষে, এলো অবশেষে, পরিমাপক যন্ত্র।
গ্রাম,পাউন্ড,সেমি,ফুট,ঘন্টা,মিনিট আরো কতো কি যে হয় !
মানুষ,মানুষের মন আর মানব হৃদয়। "হৃদয় !" মাপার পরিমাপক-যন্ত্র এখনো কিন্তু আবিস্কৃত নয়।
এই কাজটি কেবলমাত্র একজন মানুষই করতে পারে ,
তাই মানুষ'কে মাপা যায় একমাত্র "মানুষ"এর ব্যবহারে।