করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু সচেতনতায় জেলা জুড়ে প্রচার জেলা প্রশাসনের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় আজ থেকে পূর্ব মেদিনীপ…
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু সচেতনতায় জেলা জুড়ে প্রচার জেলা প্রশাসনের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় আজ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরা চারটি মহকুমায় টোটো গাড়ির মাধ্যমে ডেঙ্গু সতর্কতা বিষয়ক প্রচার কার্য শুরু হয়েছে। এই প্রচার প্রত্যেক মাসের ১৫ দিন করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে গিয়ে ডেঙ্গু কে ভুলে গেলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ কেউ গুরুত্ব দিয়ে চলতে হবে সাধারণ মানুষকে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এমনই প্রচার শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
আমাদের সামান্য অসাবধানতায় ডেঙ্গু কিন্তু কভিডের থেকেও আরও ভয়াঙ্কর হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর থেকে হতে পারে প্রাণহানিও। তাই কাল বিলম্ব না করেই এখনই সতর্ক হোন। বাড়ির সামনে কোনভাবেই জল জমতে দেবেন না। কারণ, পরিষ্কার জলেই এই মশার ডিম পাড়ে। লার্ভা থেকে দ্রুত যা বংশবৃদ্ধি হয়। শনিবার এমনই বার্তা নিয়ে জেলাজুড়ে ট্যাবলো সহযোগে জোর কদমে প্রচার অভিযানে নামল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এদিন থেকে জেলার তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরা মহকুমায় টোটো গাড়ির মাধ্যমে জোর কদমে ডেঙ্গু সতর্কতা বিষয়ক প্রচার কাজ শুরু হয়েছে। যা আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি মাসের ১৫ দিন করে চলবে।
প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্কের মাঝেই চুপিসারে ডেঙ্গু হানার ঘটনা খবর মিলেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, চলতি বছরের শুরুর দিকে জেলাজুড়ে পাঁচজনের দেহের রক্তের নমুনা এই ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে।তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু এই স্বস্তির যে কোন রকম ভাবেই কারণ হিন তা আরো একবার স্বীকার করে নিয়েছেন যে না স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।করোনা আতঙ্কের মাঝে যাতে কোনোভাবেই চুপিসারে মরন এই ডেঙ্গি তার প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রচার অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু তার আগেই ফের কোলাঘাটের বছর দুয়েক এর এক শিশু কন্যার শরীরে এলাইজা রিপোর্টে ডেঙ্গু জীবাণু ধরা পড়ে। আর তাতে কোলাঘাট জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পাশাপাশি সতর্ক ও সজাগ থাকার বার্তা জানিয়ে এদিন থেকে এলাকায় এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার অভিযান শুরু হয়।এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, জেলাতে এখনো অবধি চলতি বছর মোট 5 জনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল। তাই করো না আবার মাঝে মাঝে যাতে কোনোভাবেই ডেঙ্গি তার প্রভাব বিস্তার না করতে পারে তার জন্য প্রতিবছরের মতো এবছরও ব্যাপকভাবে প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে।