করোনাকে উপেক্ষা করে বনদপ্তরে চাকরির ফরম জমা দেওয়ার দীর্ঘ লাইন।।
লকডাউনের বাজারে কর্মহারা পরিস্থিতি তে আরও দুর্বিষহ উঠেছে সাধারণ জনজীবন। বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা। স্বভাবতই এমন পরিস্থিতি রাজ্য বনদপ্তর এর সহায়ক পদে নিয়োগের ফরম জমা…
করোনাকে উপেক্ষা করে বনদপ্তরে চাকরির ফরম জমা দেওয়ার দীর্ঘ লাইন।।
লকডাউনের বাজারে কর্মহারা পরিস্থিতি তে আরও দুর্বিষহ উঠেছে সাধারণ জনজীবন। বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা। স্বভাবতই এমন পরিস্থিতি রাজ্য বনদপ্তর এর সহায়ক পদে নিয়োগের ফরম জমা দেওয়ার হিড়িক পড়ল তমলুকে। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, করোণা মহামারীর দাপটে লকডাউন পরিস্থিতিতে লম্বা লাইনে ফরম জমা দেয়ার কে কেন্দ্র করে শিকেয় উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি। আর যার জেরে এই করোনা মহামারী আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে চুক্তিভিত্তিক প্রায় ২ হাজার কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি গত 30 জুলাই থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তে শুরু হয় এই আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ। নির্বাচিত হলে নিজের জেলায় কাজ করার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কাজেই এমনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই জেলায় জেলায় বনদপ্তর এ আবেদনপত্র জমা দিতে হাজির হন বহু বেকার যুবক-যুবতীরা। ব্যাতিক্রম হয়নি পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে ও। বিগত কয়েক দিনের মতোই করোনা মহামারীকে উপেক্ষা করেই এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তমলুকে এই চাকরীর আবেদনপত্র ফর্ম জমা দিতে হলদিয়া মেছাদা রাজ্য সড়কের পাশেই নিমতলা সংলগ্ন এলাকায় বনদপ্তর এর অফিসে হাজির হন বহু চাকরিপ্রার্থী। যেখানে এই ভিড়ের চাপে করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলছে ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ। ফলে, করনা সংক্রমণের আশঙ্কা যে কোনভাবেই অমূলক নয় তা এই পরিস্থিতি চোখে আঙুল তুলে দিয়েছে।