#গল্প#ঝিলটুংরির_জঙ্গলে#সায়ন্তনী_পলমল_ঘোষ
চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। টুংটাংয়ের ভীষন ভালো লাগছে এখানে এসে। টুংটাংয়ের কাকাই বছরখানেক হলো ঝিলটুংরি রেঞ্জে ফরেস্ট রেঞ্জার হয়ে এসেছে। কাকাই এখানে একাই থাকে। বড়দিনের ছুটিতে টুংটাং আর …
#গল্প
#ঝিলটুংরির_জঙ্গলে
#সায়ন্তনী_পলমল_ঘোষ
চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। টুংটাংয়ের ভীষন ভালো লাগছে এখানে এসে। টুংটাংয়ের কাকাই বছরখানেক হলো ঝিলটুংরি রেঞ্জে ফরেস্ট রেঞ্জার হয়ে এসেছে। কাকাই এখানে একাই থাকে। বড়দিনের ছুটিতে টুংটাং আর ওর দাদু-ঠাম্মি এসেছে কাকাইয়ের কাছে। ভারী সুন্দর জায়গা এই ঝিলটুংরি। চারিদিকে সবুজ বন,ছোট ছোট টিলা আর মিষ্টি একটা ঝর্ণা ফুলঝোরা। টুংটাং এখানে এসে একটা বন্ধুও পেয়ে গেছে টুপাক। টুপাকের বাবা একজন বনকর্মী। কাকাইয়ের কোয়ার্টারের কাছেই টুপাকদের ছোট্ট কোয়ার্টার। টুপাক,ওর মা-বাবা আর মালা দিদি থাকে সেখানে। মালা দিদি টুপাকের জেঠুর মেয়ে। তার মা-বাবা নেই তাই টুপাকদের সাথেই থাকে। মালা দিদি কলেজে পড়ে। ভীষন ভালো রান্না করে মালা দিদি। এমনিতে কাকাই নিজেই রান্না করে কিন্তু টুংটাংরা এসেছে বলে এইকদিন মালাদিদি তাদের কোয়ার্টারে ঠাম্মিকে রান্নায় সাহায্য করছে। মালাদিদির রান্না, টুপাকের সাথে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো সব মিলিয়ে দিনগুলো ভারী মজায় কাটছে টুংটাংয়ের।
সেদিন টুংটাং আর টুপাক খেলছিল কোয়ার্টারের কাছেই। হঠাৎ টুপাক বলে উঠল," আরে! বলরাম দাদু যে।"
" টুপাক ইটা কে রে?"
টুংটাং দেখল একজন বৃদ্ধ মানুষ এগিয়ে এলেন।
" এহলো টুংটাং। রেঞ্জার সাহেবের ভাইপো।"
বৃদ্ধের চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো," বাহ, খুব ভালো। সেন সাহেব খুব সাহসী আর ভালো মানুষ। জঙ্গলটাকে মোদের মতই ভালোবাসেন। ওই বদমাশ দুলা সিংয়ের হুমকিতেও ভয় পাননি।"
" দুলা সিং কে গো?" টুপাক প্রশ্ন করে।
" বড় বদমাশ লোক। জঙ্গলের গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছিল। সেনসাহেব এসে আচ্ছা টাইট দিয়েছেন।"
" জানিস টুংটাং, দাদু এই জঙ্গলের দারুণ দারুণ গল্প জানে। দাদুও বনকর্মী ছিল।"
" তাই নাকি? তাহলে দাদু একটা গল্প শোনাও না।" টুংটাং আবদার করে।
" ঠিক আছে। শোন তাইলে।" বলরাম দাদু হেসে বললেন।
" দাদু, বনমাতার গল্পটা বল।" টুপাক বলে।
" বনমাতা কে?" টুংটাং প্রশ্ন করে।
" তাইলে, বলি শুন। বহু বছর আগে এই বনে থাকত বনমাতা। বনমাতার পরনে থাকত সবুজ রঙের কাপড়, মাথার খোঁপায় ধুতরো ফুল, মুখে উল্কি আঁকা। জঙ্গলের সব গাছপালা,পশু-পাখি ছিল তার সন্তান। টাংরু নামে একটা ভালুক ছিল বনমাতার সঙ্গী। বনমাতা আর টাংরু মিলে বনের পশু-পাখি, গাছপালার খেয়াল রাখত। বনের পূবদিকে যে টিলা সেইখানে ছিল বনমাতার বাস। এই বনে একটা দুষ্ট সিংহ ছিল সে একদিন টাংরুর ক্ষতি করার চেষ্টা করতে বনমাতা রাগ করে সেই যে টিলার ভিতর ঢুকল আর বাইরে এল নি তবে আজও এ অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করে যখনই এ জঙ্গলে বিপদ ঘনাবে বনমাতা ঠিক তার সন্তানদের রক্ষা করতে এসবে।"
" সত্যি আসবেন বনমাতা?"
" জানি না দাদুভাই। দুলা সিংয়ের মত বদমাশ লোকদের শায়েস্তা করতে যদি বনমাতা আসত ভারী ভালো হত।"
" মালা দিদি, তুমি কি সুন্দর রান্না করো গো?"
" সত্যি মালা, তুই বড় ভালো রাঁধিস।" ঠাম্মি বললেন। মালাদিদি করুণ হেসে বলল," জানো ঠাম্মি, আমার মা খুব ভালো রান্না করত।"
" তোর মা-বাবার জন্য খুব মন খারাপ করে না রে?" ঠাম্মি মালা দিদির পিঠে হাত রেখে বললেন। তার চোখ দিয়ে টপটপ করে জল ঝরছে। নিঃশব্দে মাথা নাড়লো সে।
" কাকা-কাকী আমাকে খুব ভালোবাসে। নিজের মেয়ের মতই রেখেছে কিন্তু তাও কি নিজের বাবা-মাকে….।" ঠাম্মি মালাদিদির চোখ মুছিয়ে দিলেন।
" জানো ঠাম্মি, দুলা সিংয়ের লোক আমার বাবা-মাকে মেরেছিল। বাবা ওদের বেআইনি গাছ কাটার প্রতিবাদ করত তো তাই। সেন কাকার জন্য আমার খুব চিন্তা হয়। সেন কাকা রেঞ্জার হয়ে আসার পর থেকে তো ওদের মুশকিল হয়ে গেছে। তুমি সেন কাকাকে সাবধান করে দিও।"
" হ্যাঁ, রে আমাদেরও খুব চিন্তা হয়।" ঠাম্মি চিন্তিত মুখে বলেন।
"টুংটাং, এই টুংটাং।"
" আরে,তুই!" জানালায় দাঁড়িয়ে আছে টুপাক।
" চল তোকে কুল খাওয়াব।" টুপাকের ডাকে দরজা টেনে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে টুংটাং। ঠাম্মি-দাদু ঘুমোচ্ছে। এখানে চুরি-টুরি বিশেষ হয়না বিশেষ করে ফরেস্ট রেঞ্জারের কোয়ার্টারে তো হবেই না।
" চল।" ফরেস্ট কলোনি ছাড়িয়ে যে লাল মাটির রাস্তাটা ফুলঝোরার দিকে চলে গেছে দুই বন্ধুতে চলল সেদিকে।
" এই দ্যাখ।" টুংটাং অবাক হয়ে দেখল গাছ ভর্তি গোলগোল টোপা কুল। এখানটায় জঙ্গল অনেকটাই হালকা। টুপাক তরতর করে গাছে উঠে গাছটা ঝাঁকিয়ে দিতেই ঝড়ঝড় করে এত্ত কুল পড়ে গেল। টুপাক একইভাবে গাছ থেকে নেমে এক গাল হেসে বলল," নে খা।"
আস্তে আস্তে চোখ খুলল টুপাক। ধীরে ধীরে উঠে বসল সে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো সূর্য প্রায় ডুবতে বসেছে। মাথাটা কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া লাগছে তার। একটুক্ষণ ওইভাবে বসে থাকার পর টুপাকের মাথাটা পরিষ্কার হয়ে এল। ভয় পেয়ে চারপাশে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলো সে," টুংটাং, টুংটাং। তুই কোথায়?" তারা দুজনে গাছের তলায় বসে কুল খাচ্ছিল এমন সময় কিছু লোক তাদের ঘিরে ধরে জোর করে নাকে রুমাল চেপে ধরে। তারপর আর কিচ্ছু মনে নেই তার কিন্তু টুংটাং কোথায় গেল?
পুরো ঘরটা প্রায় অন্ধকার। এক কোণে একটা টিমটিমে লন্ঠন জ্বলছে। টুংটাং অসহায়ের মত সেই লণ্ঠনের আলোর দিকে তাকিয়ে আছে। একটা কাঠের চেয়ারের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। মুখেও কাপড় বাঁধা। লোকগুলো তাদের ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করেছিল নিশ্চই কিন্তু টুপাক কোথায় গেল? আর তাকেও বা কিডন্যাপ করা হলো কেন? টুংটাংয়ের এসব ভাবনার মধ্যেই দরজাটা খুলে গেল। তিনজন লোক ঘরে ঢুকলো। তাদের চোখ-মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে তারা মোটেই সুবিধার নয়। নেতা গোছের লোকটা এগিয়ে এসে বলল," এই তাহলে রেঞ্জারের ভাইপো। এবার রেঞ্জার বুঝবে দুলা সিংয়ের পেছনে লাগার ফল। আজ কিছু করব না। দুদিন পরে যখন যখন জঙ্গলের বাইরে ভাইপোর লাশ পাবে তখন মজাটা বুঝবে।"
" এই তাহলে দুলা সিং।" মনে মনে ভাবে টুংটাং।
অন্য লোকদুটোর দিকে তাকিয়ে দুলা সিং বলল," ভালো করে পাহারা দিবি। আমি আবার কাল আসবো।" ঘরের দরজা টেনে বেরিয়ে গেল লোকগুলো। টুংটাংয়ের দুচোখ বেয়ে ঝরঝর করে জল ঝরছে। মায়ের কথা ভীষন মনে পড়ছে তার। তাকে ছাড়া মা তো বাঁচবেই না। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো টুংটাং।
" এই মধু, একটা বিড়ি দে।"
" এই নে।" মধু আর গদাই নিশ্চিন্ত মনে বিড়ি খাচ্ছে। গভীর জঙ্গলের মধ্যে বনমাতার টিলার কাছে এই বাড়ির সন্ধান কেউ জানে না। পুলিশেরও সাধ্য নেই এখানে আসার। বনকর্মীরাই এদিকে আসেনা।
" মধু, এই মধু। এটা কে রে?" হ্যারিকেনটা তুলে মধু সামনে তাকিয়ে চমকে উঠলো। জোৎস্না রাতে শাল গাছের নিচে মাথায় চূড়া করে চুল বাঁধা তাতে ধুতরো ফুল গোঁজা, চিত্রবিচিত্র মুখ, পরনে সবুজ শাড়ী, হাতে কাটারী ও কে দাঁড়িয়ে আছে! সে এগিয়ে আসতে লাগলো। তার চোখে-মুখে তীব্র ক্রোধ।
"তু তুই কে এ রে?" কম্পিত কণ্ঠে জিগ্যেস করল গদাই।
" এ জঙ্গল আমার। তোরা এই জঙ্গল নষ্ট করার সাহস পেলি কি করে?" গর্জন করে উঠলো সে।
" ম ম মানে?"
গররগরর একটা আওয়াজ শুনে গদাই পেছন ফিরে দেখে মস্ত একটা ভালুক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের আর কিছু বুঝতে বাকি থাকে না । বনমাতার গল্প তারাও ছোটবেলা থেকে শুনে আসছে। ভালুকটা ক্রমশ এগিয়ে আসতে লাগলো।
" পালা গদাই, পালা।" ভালুকটা মধু আর গদাইকে তাড়া করল। উর্দ্ধশ্বাসে জঙ্গলের গাছে ঠোক্কর খেতে খেতে ছুটলো তারা।
" কে?" কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছিল টুংটাং। ঘুম চোখে আধো অন্ধকারের মধ্যে দেখল কেউ একজন তার বাঁধন খুলে দিচ্ছে।
" তাড়াতাড়ি আমার সঙ্গে চল।" খসখসে এক মহিলা কন্ঠ বলে উঠলো। আলো-আঁধারীর মধ্যে তাকে দেখে টুংটাংয়ের মনে হলো কোথায় যেন তার কথা শুনেছে নাকি কোথাও তাকে দেখেছে কিন্তু এখন এত কথা ভাবার সময় নেই তাড়াতাড়ি পালাতে হবে। টুংটাং দ্রুত তাঁর সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এল।
" ছুটতে থাকো।" এ জঙ্গল টুংটাংয়ের কাছে সম্পূর্ণ অচেনা। সেই মহিলার ওপর ভরসা করে তাঁর হাত ধরেই ছুটতে থাকে সে।
" থামো। ওই দিকে এগিয়ে যাও লোকজনের দেখা পেয়ে যাবে।"
" আপনি?"
" আমি ফিরে যাবো। আবার যখন কেউ বিপদে পড়বে আমি ঠিক আসবো।"
" যাও, তাড়াতাড়ি যাও।" গম্ভীর গলায় আদেশ দিলেন তিনি।
তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে যেতে যেতে পেছন ফিরে টুংটাং দেখল তিনি অদৃশ্য হয়ে গেছেন। অন্ধকারের মধ্যে যাহোক করে একটু এগিয়ে যেতেই টুংটাংয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল সার্চ পার্টির। পুলিশ আর বনদপ্তরের যৌথ দল টুংটাংয়ের খোঁজে বেরিয়ে ছিল।
ঝিলটুংরী সরগরম। বনমাতা দেখা দিয়েছেন। বনমাতার ভালুকের তাড়া খেয়ে সেদিন মধু আর গদাই প্রাণ ভয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে শুধু তাই নয় বনমাতার কোপে পড়ার ভয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে এবং দুলা সিংয়ের সমস্ত অপকর্মের কথা পুলিশকে জানিয়ে দেয়। দুলা সিংয়ের গোপন আড্ডায় হানা দিয়ে দামী দামী চোরাই কাঠ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজের পথের কাঁটা সরাতে দুলা সিং বেশ কিছু লোককে খুন করেছে। সেসবও প্রকাশ পেয়েছে। দুলা সিং পালাবার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে গেছে। মধু আর গদাইয়ের অভিজ্ঞতার সাথে সাথে টুংটাংয়ের অভিজ্ঞতা সবমিলিয়ে ঝিলটুংরীর মানুষের মনে বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে যে বনমাতাই সেদিন টুংটাংকে রক্ষা করতে এসেছিলেন। মধু আর গদাই এখনও ভুলতে পারছে না সে রাতের ঘটনা। লকাপের মধ্যেও ভয়ে শিউরে উঠছে।
টুংটাংয়ের মা-বাবা আর মাসী-মেসোও চলে এসেছেন খবর পেয়ে। টুংটাং সেদিনের ঘটনা শোনাচ্ছে সবাইকে। তার গলার আওয়াজ রান্নাঘর পর্যন্ত ভেসে আসছে। চা বানাতে বানাতে মালার চোখ দুটো জলে ভরে এল। মনে মনে বলল," বাবা-মা এতদিনে তোমাদের খুনিকে শাস্তি দিতে পারলাম। সেদিন যখন শুনলাম টুংটাং কিডন্যাপ হয়েছে। তখনই বুঝেছি এ কার কাজ। আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। তোমাদের মত পরিণতি হবে টুংটাংয়ের এটা ভাবলেই শিউরে উঠছিলাম। পুলিশের ওপর কোনও ভরসা নেই আমার। তোমাদের খুনের সময়ই বুঝেছিলাম ওদের মধ্যেও দুলা সিংয়ের চর আছে তাই টুংটাংকে বাঁচানোর দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিলাম। কলেজে নিয়মিত নাটক করার সুফলটা পেলাম সেদিন। সেনকাকা টুংটাংকে খোঁজার কাজে গিয়েছিল। দাদু-ঠাম্মিকে সামলানোর জন্য এখানে রয়ে গিয়েছিলাম। গোপনে ছদ্মবেশের জিনিসপত্রগুলো বাড়ি থেকে নিয়ে গেলাম। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল সবাই, কেউ আমাকে খেয়াল করল না। দাদু-ঠাম্মি অসুস্থ বোধ করায় ডাক্তার ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন। ওনারা ঘুমিয়ে পড়তেই আমি বেরিয়ে পড়লাম। তোমার সাথে ঘুরে ঘুরে এই জঙ্গলকে আমি হাতের তালুর মত চিনেছি তাই রাতের আঁধারও আমাকে আটকাতে পারেনি। মারা যাওয়ার কদিন আগে তুমিই আমাকে বলেছিলে যে বনমাতার টিলার কাছে দুলা সিংয়ের একটা লগ কেবিন আছে। তুমিই আমাকে দেখিয়েছিলে বাবা বনমাতার টিলার পাশের টিলায় একটা লুকানো গুহার মত আছে যার অন্য একটা মুখ আছে ছোট জঙ্গলের দিকে। সেদিন আমি সেই পথেই লুকিয়ে সবার আগে কলোনীতে ফিরে এলাম আর সবাই ভাবলো বনমাতা তার টিলায় মিশে গেছেন। বাবা গো, আমি পেরেছি। তুমি আশীর্বাদ কর বাবা আমি যেন পড়া শেষ করে তোমার মত বনরক্ষক হতে পারি।" দুচোখ বেয়ে নেমে আসা অবিশ্রান্ত জলের ধারা মুছে কাপে চা ঢালতে লাগলো মালা। চা ঢালতে ঢালতে একটা প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো," সেদিন ওই ভালুকটা কোথা থেকে এল?" ভালুকটার জন্যই মালার কাজ এত সহজ হয়ে গিয়েছিল। তবে কি…..।