# গাংচিল# কলমে -মনীষা পলমল25/9/20
যদি সুবর্ণরেখার গাংচিল হতাম, ইচ্ছে ডানায় উড়ান টানতাম শূন্যে --দূরে ---- বহুদূরে! ধু ধু নদী চর পেরিয়ে, দেব দেউলের ধ্বজা ছুঁয়ে দুয়ারসিনি র আটনের মহীরুহে বাঁধতাম বাসা। বিহানসাঁঝে …
# গাংচিল
# কলমে -মনীষা পলমল
25/9/20
যদি সুবর্ণরেখার গাংচিল হতাম,
ইচ্ছে ডানায় উড়ান টানতাম শূন্যে --দূরে ---- বহুদূরে!
ধু ধু নদী চর পেরিয়ে, দেব দেউলের ধ্বজা ছুঁয়ে
দুয়ারসিনি র আটনের মহীরুহে বাঁধতাম বাসা।
বিহানসাঁঝে দেব দেউলের ঘণ্টাধ্বনি আমাকে
ঘুম ভাঙ্গাতো ঘুম পাড়াতো।
রাক্ষসী বেলা র লালিমা ডানায় মেখে,
পাড়ি দিতাম তপোবনের পথে।
নজর মিনারের ছাদ ছুঁয়ে
অস্তরবির রশ্মি দিগন্তকে রক্তিম করে তুলত।
নীরব তপোবনের মহীরুহরা ফিসফিস করে
তামসী তপস্বিনী কে আহবান জানাতো।
আঁধারের ওড়নায় ঢাকা পড়ত চরাচর।
এক অপার্থিব মায়ায় জড়িয়ে পড়তে জল জঙ্গল।
আমি শুধু নীরব সাক্ষী হতাম------
নিশিরাতের জ্যোৎস্নামাখা পরান কথার!
গহীন রাত---- রুনুঝুনু শুকনো পাতার নূপুর বেজে চলেছে অবিরাম!
রাত চরা পাখির ডানায় শনশন চমক তুলছে।
দূর জঙ্গলে কাল পেঁচার দুরগুম দূরগুম ডাক
রাতের নৈঃশব্দকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে।
হঠাৎ একটা দমকা বাতাসে ভেসে এলো দূর থেকে গাছপালা ভাঙ্গার শব্দ-----
মহাকাল----- এক দঙ্গলহাতি।
সারা জঙ্গলে শোরগোল তুলে পাকপাখালির ঘুম ভাঙ্গিয়ে
তারা চলল নদী চরার খেতে র দিকে ।
আস্তে আস্তে জঙ্গল আবার নিস্তব্ধতার চাদরের ঢাকলো।
একটা ভিজে মিঠেল বাতাস শনশন করে বয়ে গেল।
কুরচি শাল কুকসিমা ভুতভৈরবীর ঝোপে কাঁপন লাগিয়ে
নদীর চরের বেনাঘাসের ,কাশের বনে দোলা দিয়ে হারিয়ে গেল দুয়ারসিনি র আটনে।
তেঁতুল গাছের ডালে বসা বক , সারস জলপিপি রা আড়মোড়া ভাঙ্গলো--- ভোর হবে যে।
আমার পরিযায়ী ডানায় লাগলো ঘর ছাড়ার কাঁপন।
মেলে দিলেম ইচ্ছেডানা সুবর্ণরেখার বুকের অভিমানী চরের দিকে।