------------// চূর্ণ-বিচূর্ণ অতীতে //-------------
টুপ টাপ,ছিন্নপাতার পতন,কানপেতে শুনছি কেবল।এক ঝটকা পাতলা বাতাস উড়িয়ে দিলো-বহুদিনের পুরোনো গার্ডেনচেয়ার,আবারো শ্রীযুক্ত।একটু গল্প একটু খুনসুটি,এখন সবটাই স্মৃতি।
সমুদ্র সরে গেছে অ…
------------// চূর্ণ-বিচূর্ণ অতীতে //-------------
টুপ টাপ,ছিন্নপাতার পতন,কানপেতে শুনছি কেবল।
এক ঝটকা পাতলা বাতাস উড়িয়ে দিলো-
বহুদিনের পুরোনো গার্ডেনচেয়ার,আবারো শ্রীযুক্ত।
একটু গল্প একটু খুনসুটি,এখন সবটাই স্মৃতি।
সমুদ্র সরে গেছে অনেকটাই দূরে,বিস্তৃত জলরাশি।
সামনে চওড়া বালুচর।অস্তগামী সূর্যের বিপুল রাঙা
মিশ্ররঙ জলকে আজও ককরেছে রঙিন,নৈসর্গিক।
দূর-পূবাকাশ কালচেনীল ওড়নায় নিজেকে ঢাকছে।স্মৃতিরপাতাটা,আজ অহেতুক নোনাবাতাসে ভেজে।
সেদিনও দিনটা ছিলো তেরই জুলাই 'চুয়াত্তর--
অনুনয় ভূলুন্ঠিত,উপরোধ তদ্রূপ,ছিন্নহল সুসম্পর্ক-
ভাঙে শিরা-উপশিরা,তীব্র ঝাকুনি,সাঁজতারা কাঁদে।
উপকূলে,নৈসর্গিক বিপর্যয়,ভাঙনের বিভীষিকা।
"যে ভাঙার শব্দ জোরালো
তার ক্ষয়ক্ষতি চোখে দেখা যায়....
আর যা নি:শব্দে ভাঙে,খানখান হয়,
তার দহন মনকে শেষ করে দেয়।"
ভাঙন সেওতো এক বিষ্ফোরণ
বিষ্ফোরণ মানে আরেক সৃষ্টি...
সৃষ্টির স্বরূপে আবারো ফেরা,
আরেকটা প্রত্যয়ী নতুনের হাতধরা।
ভাঙনটা যে মনের গভীরে।যাবতীয় শব্দ
গভীরেই থাক।আবারো সাজতে হবে হয়তো
প্রত্যয়ের সন্ধিতে,অধ্যাবসায়ের অন্বয়ে,
আবারো স্বপ্নের মন্থনে সমর্পিত শুদ্ধসত্ত্ব।
চূর্ণ-বিচূর্ণ মনের আশপাশ।দোষাদুষির
নির্বেদ এক চলমান কারখানা।অভিশপ্ত
মনের ক্লেদ।দলাপাকানো বিষোদ্গার
অভিমানে শিহরিত অগ্নিশিখা।কৃতঘ্ন অতীত।
তুমি আবারো আমার সামনে, চটা জীবনের সায়নকালে।চৌকাঠের এপারে আমি ওপারে তুমি!
অভিমান আলপনা আঁকে ঘরের প্রবেশ পথে।
জানিনা এ কোন মাহেন্দ্রক্ষণে,শাঁকে ফুঁ দিলে।
দু'হাতে মুখটা চাপা দেবে ভাবছো!
কিন্তু কেন! কেন নয় অর্জিত ধন!
মনোবল! সংকল্প! আবারো চলো
আরেক পরিক্রমায়।রইলো পুরাতন
যাবতীয় ইতিহাস,এই হেরে যাওয়ার।।
এসো এই নিরিবিলি প্রকৃতির গায়ে সত্যিটুকু
খোদাই করে দিই তোমার-আমার আকাশ
বিনিময় করি, সুমুখে ঊর্মিমালার ক্রমভাঙন
আবারো গড়ে ওঠা তরঙ্গ,এগিয়ে আসছে নীরবে।
চলো,অবসন্ন গোধূলির নীরবতা মেখে
সারাটা রাত হাঁটি, তারা ঠাসা আকাশকে
না হয় আবারো সাক্ষী মেনে,পা বাড়াই।
জীবন অর্থে হারজিৎ,মানা-নামানার বিধিলিপি।।
----------// মণীন্দ্রনাথ বাগ//---প্রবাসে---//-----
___________________________________________