Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি সাহিত্য পত্রিকার লেখনি সম্মাননা

ভোরাই  :  আত্মপক্ষের সেলফি 
পাশাপাশি  বৃক্ষসারির আকার নিয়ে আকাশের কোন মাথাব্যথা  নেই । তবুও দেখুন গাছ এঁকেছি  ; গাছ লাগিয়েছি । কৃষ্ণের হাতে বাঁশি দিয়ে সেই বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে বাজাতে চেষ্টা করেছি ।  বাজাতে পারিনি  ; চাঁদ  উঠলে সেই গাছ…

 


ভোরাই  :  আত্মপক্ষের সেলফি 


পাশাপাশি  বৃক্ষসারির আকার নিয়ে আকাশের কোন মাথাব্যথা  নেই । তবুও দেখুন গাছ এঁকেছি  ; গাছ লাগিয়েছি । কৃষ্ণের হাতে বাঁশি দিয়ে সেই বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে বাজাতে চেষ্টা করেছি ।  বাজাতে পারিনি  ; চাঁদ  উঠলে সেই গাছের  আড়ালে বাদুড়ের উড়ে যাওয়া দেখেছি নির্জনতার ভয় নিয়ে । 


এই নির্জনতাই অধিকার করে আছে সমস্ত অনু , সমস্ত পরমানু । অধিকার তার রক্তনালি , অধিকার তার কোশ - কোশান্তর ।  আমি তার অচেনা  সময় । কৃষ্ণপক্ষের পূর্ণতায় ভাসতে থাকে ঋতু-মাস-দিন ।  তাদের মাঝে সব ভাব আবর্তিত ।  আমাদের দিন কাটে কনফিউশানে ।  তাদেরই যোগফলে যে বক্ররেখা , তাতে ফুটে ওঠে  বাসনা কামনা  ; সম্পূর্ণ শতাংশের মোজাইক ইমেজ ।  ভিন্ন  স্বতন্ত্র  কিন্তু অর্কেস্ট্রায়  অন্তঃশীল । অনিয়মিত আকৃতি নিয়ে নিজের মতো  ধ্যানী , জ্বলবে বলে জেগে থাকে সারা আহ্নিককাল । 


সেই আকারের মধ্যে আমি খুঁজতে থাকি আমার অলিন্দ  ,  আমার নিলয় । এর মাঝে যদি বাতাস বইতে শুরু করে তবে সেই আকারের কিনারায় কতকগুলো রং খেলা করে । রামধনুর মধ্যে নেই সে রং  - সে এক অষ্টম রং - 

আকাশের সাথে বৃক্ষরাও কথা বলে  নীরবতার সেই রঙে । 


আমার ভেজা কাকের অপেক্ষা বড় ভালো লাগে । তাই বলে কাক আমার একার - তা  বলব কেন ? সকলের মতো আমিও পড়েছি দার্শনিক কাকের তৃষ্ণা মেটানোর সাথে নুড়ি ও কলসির সম্পর্ক - তার সাথে খাঁখাঁ গ্রীষ্মকাল ; তীক্ষ তরঙ্গের স্পন্দমান শরীর ।  এই তো প্রতীতি  - পথে পথে ধুলোর মতো এই তো পৃথিবীর অফুরন্ত ভাণ্ডার !  


কী আশ্চর্য ! পদ্মকে ভুলে যাচ্ছি কেন ? 

শ্মশান পুকুর যে এককালে পদ্মপুকুর ছিল সে কথা ভোলার কথা নয় কখনোই । ঠাকুর্দাকে দাহ করে তাকিয়ে ছিলাম ফুটন্ত পদ্মের দিকে -  পোড়া ধূপের শব্দের হাত ধরে আত্মস্বর ভেসে যাচ্ছিল পরম স্বরূপে । 


তবে তো শুরু হল শুয়োঁপোকার সম্ভাবনাময় দিন । জেনে রাখা ভালো - এসবই আত্মপক্ষের পক্ষে সেজে ওঠে বিউটি লাগানো এক একটি সেলফি । 


যেমন হওয়া উচিত - যেকোন সময় আমি ফুরিয়ে যেতে পারি ।  আর কিছু পুরোনো প্রদীপ  তুমি , যেমন করে চলে যাও চলে যেতে পারো  - রাতের গায়ে তোমার গন্ধ লেগে থাক । 


পাখিরা গান গাইতে গাইতে স্নিগ্ধ হয়ে উঠছে ,  শুরু করে দিয়েছে  পিরিতি মায়া  -  আহা বসুন্ধরা ! 


আমি কি তর্পণকে ভয় পাবো এবার   ?  

ভয় পাবো নদীকে   - মাটিকে  ;  আমার পিতামহ প্রপিতামহকে ?  


তুমি জগৎপ্রভা  - তোমাকে প্রণাম  হে । তুমি প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ  - তোমাকে প্রণাম ।  তোমার হাত শক্তিময় - তোমাকে প্রণাম।  তুমি নীলগ্রীবা ভালোবাসা  - তোমাকেও প্রণাম । 


লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল 


মহালয়া 

১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২০,   রাত ৩টা ৪০ মিনিট ।