#দৈনিক প্রতিযোগিতা#বিষয়_গল্প#শিরোনাম_মরীচিকা#কলম_পলি ঘোষ ✍️তাং_২৬.৯.২০২০
পার্লারে চেয়ারে বসে কাঁচের জানালা দিয়ে হঠাৎ দেখি,আমার স্বামী বাইকের পিছনে করে একটি অল্প বয়সী শ্যামলা মেয়েকেএকটা অফিসের সামনে ড্রপ করে চলে গেলো।দূর থেকে …
#দৈনিক প্রতিযোগিতা
#বিষয়_গল্প
#শিরোনাম_মরীচিকা
#কলম_পলি ঘোষ ✍️
তাং_২৬.৯.২০২০
পার্লারে চেয়ারে বসে কাঁচের জানালা দিয়ে হঠাৎ দেখি,
আমার স্বামী বাইকের পিছনে করে একটি অল্প বয়সী শ্যামলা মেয়েকে
একটা অফিসের সামনে ড্রপ করে চলে গেলো।
দূর থেকে দেখে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম।
একটু একটু সন্দেহ আগেই ছিলো,ফোনালাপে
ভেসে আসা কথায়,
কাছে গেলাম_গুটি গুটি পায়ে,
কী বলে সম্বোধন করবো?
স্বামীর প্রেমিকা?
তা কি বলা যায় নাকি?
কাছে গিয়ে বললাম ,আমায় তুমি চিনবে না।
তেমন কেউ নই আমি তবে,
স্বামীর মুখে তোমার কৌশলী প্রশংসার গল্প শুনেছি অনেক।
আমার স্বামীর সাথে তোমাকে দেখে, কথা বলতে ইচ্ছে হলো
না না ,ছি ছি, আমি তদন্ত করতে আসিনি
ভুল ভেবোনা আমায়।
আসলে, আবেগ কবে কার কথা শোনে বলো?
ধূলো উড়ানো বাইকের হাওয়া , কাঁচের জানলা ভেদ করে,আছড়ে পড়েছিল সিসা হয়ে আমার বুকে!
আমার স্বামী খুব সতর্ক,ভীষণ গোছালো,
তবু মানুষ তো ,ভুল হলো ,ভাবেনি আমি দেখবো!
তুমিও একদিন ভুল করেছিলে ফোন করে
আমার গলা শুনে কেটে দিয়েছিলে।
আমি বুঝেছি ওটা তুমিই ছিলে!
আসলে সেদিন ছেলে ওর বাবাকে কিছুতেই ছাড়ছিল না,বুঝেছিলাম তোমার কাছে ওর খুব যাবার তাড়া ছিলো,বাচ্চা তো বুঝলো না। তোমার সাথে ওর আর সেদিন দেখা হলো না।
আড়াল কিছু থাকলো না!
আচ্ছা ,আমাকে বলবে ভালোবাসা কাকে বলে?
এই যে ,আমার স্বামী একটু আগে খাবার পাতে,
এক টুকরো ডিমের কুসুম আমার জন্য রেখে দিল ,
আমার শরীর খারাপ হলে ডাক্তার তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখিয়ে আনে, হাতে টাকা গুঁজে পার্লার যেতে বলে,
গানের সুর কেটে গেলে ফরমায়েসি তালে তা ধরিয়ে দেয়।
এগুলো কী,ভালোবাসা নয়?
হুঃ,আসলে ,সমান্তরাল ভাবে চলা ,
এটা একটা অভ্যাস !!
একে অপরের যখন খুব কাছে থাকি,মিলন ও হয়
আমার মধ্যে সে তোমাকে খুঁজে পায়,
এ বড়ো লজ্জার .....বড়ো অপমানের....!!
তোমরা এবার ঘর বাঁধো!
আমার মত জীবনটাকে অগোছালো করো না
তোমরা সুন্দর মানুষ ,সুন্দর করে গুছিয়ে নিও!
সুন্দর একটা ঘর বেঁধে,তাতে বিশ্বাসের ছাদ করো
আমার মতো আশ্রয়ের ছাদ শুধু করো না।
সেখানে ছোট্ট একটা গোলাপের বাগান করো ।
স্বার্থক করো তোমাদের ভালোবাসা। আচ্ছা তোমারও তো একটা মেয়ে আছে শুনেছি..
দেখো ওর কোনো অসুবিধা হবে না,আমার স্বামী না ভীষণ বাচ্ছা ভালবাসে,তোমার মেয়ে পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে না,খুব ভালোবাসবে ওকে।
আমার ছেলেটি না ওর বাবাকে ভীষণ ভালোবাসে ! বাড়ি থাকলে পেছন ছারে না।অবশ্য বড়ো হয়ে গেলে নেওটামি কমে যাবে! ও ও নিয়ে তুমি ভেবো না।যত দিন ছোট থাকবে ওর বাবার সাথে একটু দেখা করতে দিও।
ওকে নিয়ে ভাবতে হবে না। ওকে আমিই মানুষ করবো।শুধু জেতার শিক্ষা দেবো। জীবণে কোনোদিন যেনো হেরে না যায়....!!
তবে আমিও কিন্তু হারতে শিখিনি,
বাড়ির ছাতের টবে, পছন্দের আসবাবে,জানালার পর্দায়,তার পছন্দের রান্না গুলোতে,তাকে আমার যত্নের ঘ্রাণের সুবাসে,
শত চেষ্টা তেও মুছতে পারবে না তুমি!!
যত কাছে তোমরা আসবে দেখবে আমিও তখন ছায়ার মায়া হয়ে পিছু পিছু থাকছি।
আমিও মাঝখানে থাকবো সেদিন!!
সেদিন আমিই জিতবো মায়া হয়ে!
আসলে ,তুমি আমি দুজনেই মরীচিকা!!
( বি দ্রঃ_পরকিয়া বা বিচ্ছেদের ভাঙ্গা শব্দে একটি শিশুর করুন চাপা আর্তনাদ ,ভবিষ্যৎ জীবনে উপর তার কী নিদারুণ প্রভাব.........মন কে বড়ো কাঁদায় !)