।। #প্যারানর্মাল_অ্যাক্টিভিটিস ।।
বসন্ত বাবু এক দারুণ মজার লোক। বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এক আকর্ষণীয় ব্যাক্তি। এই যেমন ধরুন তিনি পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মচারী আর অন্যদিকে বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ। বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ হলেও মনের মধ্যে অলৌকিক ধ্যানধারনা…
।। #প্যারানর্মাল_অ্যাক্টিভিটিস ।।
বসন্ত বাবু এক দারুণ মজার লোক। বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এক আকর্ষণীয় ব্যাক্তি। এই যেমন ধরুন তিনি পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মচারী আর অন্যদিকে বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ। বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ হলেও মনের মধ্যে অলৌকিক ধ্যানধারনা সম্পর্কেও ভালো জ্ঞান আছে তার। আপনারা হয়তো জানেন না আমেরিকা থেকে ২০০৫-এ প্যারানর্মাল রির্সাচে খেতাব জয়ী এই ব্যক্তি বসন্ত মুখার্জি। এক একটা হাড় হিম করা ভুতুড়ে ঘটনার অভিজ্ঞতা তার স্মৃতির পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে। কিন্তু তা সত্বেও দূরবীন থেকে শুরু করে বিজ্ঞান গবেষণাগারে তার মন টিকেছে বারবার। পরিবারের শত অনুরোধে আস্তে আস্তে অলৌকিক গবেষণা থেকে ধ্যান সরিয়েছে তিনি মন দিয়েছেন সংসারে আর সাথে নিজের ব্যাঙ্কের কাজেও।
এখন বসন্ত বাবু ব্যাঙ্কের অফিসার থেকে সরাসরি ম্যানেজারের পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সুতরাং বদলি জিনিসটা জীবনের একটি অধ্যায় সেটা তিনি খুব ভাল করেই জানতেন। সেইমত বাড়িতেও বলে রাখা। পরিবার ছেড়ে থাকতে কার মন চায়। কিন্তু পেটের দায়ে যেতে যে হয়ই। তাই যাওয়ার আগে এক প্রকার ক্ষোভ উগরে দিলেন বসন্ত বাবু তার সহধর্মীনির সাথে.......
----------------------------------------------
রুম্পা:-কিগো কাছে পিঠে বদলি হলে তো ভালোই হত তাই না বলো??
বসন্ত:- এই জন্যই তো বলেছিলাম আমার আগের প্রফেশনটাই ভালো ছিল। অন্ততঃ যেতে হত না কোথাও তোমাদের ছেড়ে।
রুম্পা:- তাতে কি?? তুমি কি চাও ওই ভুত প্রেত নিয়ে তোমার সাথে সংসার করি?? তার থেকে এই বিরহ সহ্য করা যায় কিন্তু ওটা মোটেও যায় না। ওটা একটা প্রফেশন হলো নাকি?? যত্তসব। তাও যদি দেখতাম যে না তুমি অন্ততঃ বিজ্ঞান গবেষণা নিয়ে পরে আছো। কই সেটা তো আর হবে না।
বসন্ত:- তুমি কি বুঝবে এসবের মানে। এবার চলে যাচ্ছি বদলি হয়ে ম্যানেজার পোস্ট নিয়ে। সেই আসব দু মাস পর। তখন দেখবে আমাকে কাছে না পেয়ে বলবে চলে এসো।
রুম্পা:- কিছু তো করারও নেই। যেতে যখন হবেই সুপুরুষের মতো গিয়ে ডিউটি করো। কিন্তু এসব কুকর্ম থেকে দূরে থেকো। স্বপ্নেও এসব ভেবো না।
বসন্ত:- ধুর আমার আর এত চাপ নিতে একদম ভালো লাগছে না। অন্তত কাছে কোথাও বদলি হলেও হত।
-----------------------------------------------
প্রায় ৫দিন পরে আজ বসন্ত বাবুর বদলি যাওয়ার দিন। যাওয়ার সময় বসন্ত বাবু রুম্পাকে বলে গেলেন....
বসন্ত:- পূজার খেয়াল রেখো। নিজেরও খেয়াল রেখো। আমি মাসের দরকারি জিনিসের টাকাগুলো আর ওর টিউশন ফিস পাঠিয়ে দেবো তুমি ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিও।
রুম্পা:- তুমিও নিজের খেয়াল রেখো। আর মনে আছে তো যা যা বলেছিলাম???
বসন্ত:- হ্যাঁ রে বা হ্যাঁ। ওসবের থেকে দূরেই থাকবো। আই লাভ ইউ সুইট হার্ট। 💕♥
রুম্পা:- হুম! আই লাভ ইউ টু বাবুন। ♥💕
[বছর ৬য়ের মেয়ে পূজার কপালে ছোট্ট চুমু দিয়ে কোলে তুলে আদর করল বসন্ত। আর চলে গেলেন তার নতুন গন্তব্য পুরুলিয়ার শিমুলিয়া গ্রামে।]
---------------######------------#######---------------
কিন্তু কে জানতো যে তার প্রফেশন তার পিছু ছারবে না। ট্রেনের কয়েক ঘণ্টার যাত্রাতেও তিনি পথের সঙ্গী কটা ভূতের গল্পের বই সঙ্গে নিয়ে চলে এসেছেন। আর তার সাথে কিছু বিজ্ঞান মনস্তত্ত্ববাদি বই। পরেরদিনই পৌঁছালেন শিমুলিয়া গ্রামে। ওইদিন গ্রাম ঘুরে সুবিধা অসুবিধা বুঝতেই সারাদিন কেটে গেলো তার। ভগ্ন জরাজীর্ণ দৈন্যদশায় ভুগছে তার ব্যাঙ্কের শাখা। কোন রকম ৫জন স্টাফ নিয়ে চলছে ব্যাঙ্কটা। নাভিস্বাস উঠে এসেছে বসন্ত বাবুর এই নতুন এলাকায়। নতুন ম্যানেজার বলে কথা তাই আদর যত্নে কোন অভাব বুঝতে দেয়নি গ্রামের লোকেরা। বসন্ত বাবু ব্যাঙ্কের কাছেই একটি ঘরের খোঁজ করছিলেন। যাতে করে যাতায়াতে কোন অসুবিধা না হয়ে ওঠে আর সময়মতো ব্যাঙ্কেও পৌছানো যায়। সেই মতো এক দালাল ধরেন তিনি। আর খোঁজ এনে দেন ব্যাঙ্কের কাছেই ৬টা বাড়ির পরেই তার ভাড়া ঘর। মাসিক ৮০০০/- টাকার চুক্তিতে ঘর নেন তিনি ১১মাসের জন্য। গ্রামের লোকগুলো আর যাই হোক ভীষণ ভালো মনের মানুষ। সবাই ভীষণ আদর আপ্পায়নে ব্যাস্ত হয়ে উঠেছিলেন যখন জানতে পারলেন সমবায় ব্যাঙ্কের নতুন ম্যানেজার এসেছেন এই গ্রামে। কিন্তু সব ব্যাপারটাই বসন্ত বাবুর কাছে অদ্ভুত লাগলো। সে ভাবলো এই ব্যাঙ্কের আমি একাই ম্যানেজার এসেছি নাকি। এর আগেও তো অনেক ম্যানেজার গেছে এসেছেন। তাহলে কি সবাইকেই এনারা এই রকম জামাই আদর করে থাকেন নাকি?? প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘোরপাক করলেও কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারছিলেন না তিনি। কারণ এত শ্রদ্ধা এত সন্মান একটা ভুল প্রশ্নে তার সব ভেস্তে দিতে পারে। অনেক কষ্টে আস্তে আস্তে এক বন্ধু জুটল ব্যাঙ্কে। উনি হলেন ডেপুটি ম্যানেজার মিস্টার রতনলাল ত্রিপাঠী। লাঞ্চ টাইমে জমিয়ে হত তার সাথে আড্ডা ইয়ার্কি।
একদিন কথায় কথায় উঠে এলো চাঞ্ছল্যকর তথ্য। যা শুনে হয়তো আপনারা চমকে উঠবেন ঠিকই কিন্তু বসন্ত বাবুর কাছে সেটা নতুন কিছুই নয়।
সেইদিন সন্ধ্যে ৬টা। কাজ সবার শেষ হোক না হোক বাকি রেখে অফিস খালি করে বাড়িতে যেতে ব্যাস্ত সবাই। অনেকেই স্যার আসছি বলে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাজ বাকি রেখে এত আগে যাওয়ার তারা সবার কীসের??? অদ্ভুত লাগলো বসন্ত বাবুর।
সে পরেরদিন লাঞ্চ টাইমে বসে আছেন ক্যানটিনে। অপেক্ষা করছিলেন রতনলাল ত্রিপাঠীর। উনি আসতেই দুজনে খাওয়া শুরু করলেন আর কথায় কথায় উঠে এলো অবাক করা হাড় কাঁপানো তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়ার তথ্য। রতনলাল ত্রিপাঠী বললেন:-............
বসন্ত:- আচ্ছা! আপনারা কাজ শেষ না করেই বাড়ি যেতে উদ্যোগী হয় ওঠেন কেন??? এবার থেকে সেসব চলবে না। কাজ শেষ না করে বাড়ি গেলে সাসপেন্ড করে দেবো।
রতনলাল:- (বিষম খেলেন রতনলাল ত্রিপাঠী, বললেন) স্যার, বাকিদের জানি না তবে আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। আমি বরং নিজেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি।
বসন্ত:- বাবা! এতো দেখছি বিশাল একতা। তা এটুকু বিষয়ে চাকরি ছারতে যাবেন কেন??
রতনলাল:- স্যার বিষয়টা এটুকু নয়। বিষয়টা অনেক গুরুতর। আমি কেন এখানে ৬টার পর কেউই থাকতে চায় না। খুঁদ আপনিও থাকতে পারবেন না।
বসন্ত:- মানে?? কি বলতে চাইছেন আপনি??
রতনলাল:- মানে সেইদিন আপনি জানতে চেয়েছিলেন গ্রামের মানুষ আপনাকে কেন আদর আপ্পায়ন করে। তার উত্তর হলো তারা আশা করেন এই অভিশপ্ত ব্যাঙ্কটা আবার আগের মতো হয়ে উঠুক। আর সেটা আপনার হাতেই যেন হয়। এর আগে যত ম্যানেজার এসেছেন টিকে থাকতে পারেন নি। চলে গেছেন। আপনি যদি কিছু করেন তাদের জন্য আর কি।
বসন্ত:- মানে?? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাকে আপনি বিষয়টি খুলে বলুন তো শুনি।
রতনলাল:- এই ব্যাঙ্কটা সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ব্যাঙ্কই থাকে। কিন্তু ৬টার পর থেকে এটি একটি ভূত বাংলোয় পরিণত হয়। যেহেতু গোটা গ্রামে এটি একটি ব্যাঙ্ক তাই সরকার থেকে তথ্য প্রমাণের অভাবে ব্যাঙ্কটি উঠে যায় নি।
বসন্ত:- হা হা হা হা হা হা 😆😆😆 দারুণ লাগলো গল্পটা। বেশ বেশ। 😄😄😄 তাহলে তো আজকে আপনাদের সবাইকে সন্ধ্যে ৭টা অব্দি থাকতে হবে। কোন কাজ বাকি দেখতে আমি চাই না।
রতনলাল:- স্যার! আপনি সব কিছু শোনার পরেও???
বসন্ত:- হ্যাঁ! সব কিছুর পরেও। আমিও তো দেখি সেটা কেমন ভূত। আমার অনেক দিনকার ইচ্ছা যেন আবার মাথা চারা দিয়ে উঠছে।
রতনলাল:- স্যার! আপনি জানেন না আপনি কি ভুল করছেন। আর সবাইকে বিপদে ফেলছেন।
বসন্ত:- ইয়েস! আই নো এভরি থিং। কোন বিপদ নেই। আজ আপনাদের ভুল আমি ভাঙ্গাবই।
রতনলাল:- (ভয়ের সাথে) ওকে স্যার।
---------------------------------------------
বসন্ত বাবুর মনে ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহ জেগে উঠল। অনেকদিন পর তার সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে। সে নিশ্চিত এই ব্যাঙ্কে যদি ভূতের হদিস পায় আর সেই কেস যদি সে সমাধান করতে পারেন, তাহলে গোটা গ্রাম জুড়ে তার বিশাল নাম ডাক হয়ে যাবে। সন্ধে তখন ৬টা। ব্যাঙ্কের সবকর্মী থেকে শুরু করে গোটা গ্রাম খবর হয়ে গেলো আজকে ব্যাঙ্ক সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত চলবে। এমনকি প্রয়োজনে ৯টাও লাগতে পারে সময়। খবরটা শুনে অনেকেই নিজে কানে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। সবাই অবাক অপেক্ষা শুধু সময়ের। ইতিমধ্যে বসন্ত বাবু সব কর্মীদের নিজের পরিচয় সম্পর্কে অবগত করালেন সবাইকে। তিনি একজন খ্যাত নামা প্যারানর্মাল রিসার্চার। এটা শোনামাত্রই অনেকের মনে সাহস এলো সন্ধে ৭টা অব্দি অপেক্ষার। সাথে গ্রামবাসিরাও অপেক্ষারত।
ঘরিতে বাজলো সন্ধ্যে ৭টার ঘণ্টা। ঘাম ঝরতে শুরু করেছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের। আর এদিকে ব্যাঙ্কের বাইরে ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা শয়েক লোকজন। কখন কি হয় মুহুর্ত। চড়ছে টান টান উত্তেজনার পারদ। দুজন স্টাফের মুখে শোনা গেলো রামাবলির বাণী। এদিকে দিব্যি মজায় আছেন ম্যানেজার বসন্ত বাবু। চা সিঙারায় মজেছেন তিনি। আর অন্যদিকে কাল ঘাম ছুটছে সবার। সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত ৯টা।
রতনলাল বলে উঠল:-.... স্যার, বাড়ি যাই?? অনেক তো হলো।
বসন্তবাবু বললেন:-.... হ্যাঁ অবশ্যই। কিন্তু তুমি একা কেন আমরা সবাই যাবো। তাহলে প্রমান হলো তো কোথাও কিছু নেই। এসব মন গড়া কথায় কান না দিয়ে কাজ করুন কাজ কাল থেকে।
হ্যাঁ স্যার! সত্যি আমরা ভুল ছিলাম। আপনি লেজেন্ড।
গ্রামবাসীরাও দিব্যি খুশি আর কোন ভয় নেই সব ঠিক আছে। কিন্তু খুশি হলেন না ব্যাঙ্কের কেয়ার টেকার। কারন সে জানে সেই ব্যাঙ্কের দু তলায় প্রাক্তন ম্যানেজার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। তারই আত্মা আজও উপরের দু তলায় ঘুরে বেড়ায় সন্ধের পর। আর হয়তো এটি তাঁদের সুযোগ দেওয়া হলো কাউকে না জানতে দেওয়ার। যাতে শিকারির শিকার করতে সুবিধা হয়।
------------------------------------------
পরের দিন সকালে ব্যাঙ্কে ম্যানেজার বাবু এলেন না। কাজ চলল পুরো সাহসের সাথে সন্ধ্যে ৭টা অব্দি। ঠিক যখন সন্ধ্যে ৭টা ১৫মি: কেঁপে উঠল দুতলার ঘরটি। জুতো পরে চলার শব্দ। ভীষণ ভাবে ভয় পেলেন কর্মীরা। তারা ভাবলেন ম্যানেজার হয়ত ব্যাঙ্কে এসে উপরের ঘরের ব্যাপারে রির্সাচ করছেন। সেই মতে রতনলাল উপরে গেলেন ম্যানেজার কে ডাকতে। গিয়ে দেখেন বন্ধ দরজা তালা বন্ধ আর জানালা দিয়ে ঝুলছে একটি নর কঙ্কাল সাথে এগিয়ে আসছে তার দিকে জুতোর আওয়াজ। পড়ে কি মরে অবস্থায় ছুটাছুটি করে নিচে নেমে এলো সব কর্মীরা। এলেন না শুধু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। বন্ধ হয়ে গেলো ব্যাঙ্কের সব লাইট নিজে নিজেই। মরমরিয়ে জেগে উঠল বিকট সব আওয়াজ। সবাই ম্যানেজারের ঘরে গেলেন। ভিতর থেকে দরজা দেওয়া কিন্তু বাইরেই ছিলেন ম্যানেজার বসন্ত বাবু। বাইরেই দাঁড়িয়ে তিনি তাঁদের সব কথা শুনে বললেন....
বসন্ত:- হুম! কাল রাতেই আমি টের পেয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনাটা শুরু হয় রাত ১টা থেকে সন্ধে থেকে নয়। আমি সিগারেটটা খেতে খেতে জানলা দিয়ে ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে দেখি কেউ যেন দোতলার বন্ধ ঘরের জানালা খুলে এদিকে তাকিয়ে আছে। দীর্ঘদিন যে ঘর বন্ধ সেই ঘরে লাইট জ্বলছে আর নিভছে কি করে। আর সেই ব্যাক্তিটাই বা কে। সেটা জানতে আমি ওই নিশুতি রাতেই যাই ব্যাঙ্কের উপরের ঘরের দোতলায়। তারপর যা তোমরা দেখলে আমিও তাই অনুভব করলাম। কিন্তু সব জায়গায় সাহস দেখালে চলে না। সেখানে যে প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটিসের উপস্থিতি আছে সেটা বেশ ভালোই আঁচ করতে পেরেছিলাম।
কথায় কথায় এক অফিসার বললেন:- স্যার ভিতরে গিয়ে বসে শোনা যাক পুরো বিষয়টা।
ম্যানেজার না করলো এবং বলল:- না আজ নয়, অন্যদিন আপনারা ঘরে যান। বিপদে পড়তে পারেন আপনারা।
হঠাৎ এক গ্রামবাসি এতো জন অফিসারদের এক সাথে দেখে বলে উঠলেন:- আপনারা কার সাথে কথা বলছেন। বাড়ি যান রাত হচ্ছে। আপনারা দেখলেন তো গ্রামের অবস্থা ঠিক না। যান চলে যান।
#### অবাক বিষয় গ্রামবাসিন্দাটি বসন্ত বাবুকে দেখতে পারছেন না কেন। খটকা লাগলো সবার মনে। বসন্ত বাবুর দরজায় সঙ্গে সঙ্গে লাথি মেরে খুলতেই সবার চোখ কপালে। জানালা খুলে ব্যাঙ্কের দিকে মুখ করে তাকিয়ে মারা গেছেন বসন্ত বাবু গতকাল রাতেই। চোখ ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে। চোখ থেকে অনবরত রক্তবন্যা বয়ে যাচ্ছে। তাহলে তাঁদের সাথে যে কথা বলছিল সে কে???
ব্যাঙ্কের দিকে তাকাতেই সবাই দেখতে পেলেন এক বিশ্রী দেখতে অবয়ব ছায়াকে। পাশেই দাঁড়িয়ে বসন্ত বাবুর অবয়ব।
আর তিনি বললেন:- সব ক্ষেত্রে সাহস কাজে লাগে না। 💀💀💀💀💀💀💀💀💀💀
🙏🏼🙏🏼🙏🏼 সমাপ্ত 🙏🏼🙏🏼🙏🏼
স্বরচিত কলমে:- রঞ্জিত চক্রবর্তী
তারিখ:- ১১-১০-২০২০।
ধন্যবাদ বন্ধুরা 🙏🏼🙏🏼
শুভ রাত্রি 💐💐💐💐💀💀💀💀💀