কবিতাপুরাণ========= হেমন্ত সরখেল |
একটা হলুদ পাখি ছিল। শিস দিতে পারতো। নাম ধরে ডাকতো। ছোলার বাটির সাথে একটা খাতা কলম গুঁজে দিল আমার মেয়ে ওর খাঁচায় '--- ও কবিতা লিখবে না?'
সেবার যখন সকলে মিলে টাইগার হি…
কবিতাপুরাণ
=========
হেমন্ত সরখেল |
একটা হলুদ পাখি ছিল। শিস দিতে পারতো। নাম ধরে ডাকতো।
ছোলার বাটির সাথে একটা খাতা কলম গুঁজে দিল আমার মেয়ে ওর খাঁচায় '--- ও কবিতা লিখবে না?'
সেবার যখন সকলে মিলে টাইগার হিল গেলাম-
মেয়ে ওকে হোল্ডঅলে নি'ল পেঁচিয়ে।
যা ই ওঠে কামরায়-
ভুক্তাবশেষ যায় হোল্ডঅলের পকেটে। বাইরে থেকে একটা সেলাই করে জুড়েছিল ওর মা। যেন জানতো! কি হতে পারে!
মেঘে ঢাকা আকাশ যদিও কাঞ্চনজঙ্ঘা রাখে লুকিয়ে
পাখিটা বারবার পা দিয়ে ঠেলে কলম দিল ফেলে ।
মেয়ে বলল- ' ও পাথরে বসে লিখবে বলে কবিতা এটা ফেলে দিচ্ছে বারবার, দেখো বাপি! মনে হয় কলমে কালি নেই, খাতা কিন্তু আছেই কাছে ওর।'
'--অামার মনে হয়, ও মুক্তি খুঁজছে, মেয়ের মায়ের মতামতে ঠোঁট বেঁকলো কন্যার
'- কবিতা লিখলেই পাবে ছুট, রাখবো না ওকে খাঁচায় বন্দি আর...'
ফিরে এসে কন্যার নিজ বিদ্যের বহরে পাখি ছোলায় দিল মন
ওর তো ইসকুল নেই, না আছে পটর পটর সর্বক্ষণ!
এক ভোরে সে রং পাল্টে নি'ল, হলুদবরণ পাহারী মেঘে সেজে নিল
ক্লাস ফেরতা কন্যা যখন খুলে দিল খাঁচা
'-- কবিতা লিখতে না পারলে এমনই হয়!'
-- হ, কথাডা হাঁচা। অচিনপুরে পাখি চলে কলম খাতা নিয়ে, রামুকাকা নেয় সে খাঁচা দুলিয়ে দুলিয়ে।
আজও আমার কন্যারত্ন কবিতার গান গায়
হয়তো-
হলদে ফোঁটার আঁক দেখেছিল পাখির কালো পাখায়...
-----