তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।করোনা চলে গেছে, তবুও দিদি লকডাউন করে বাংলা কে স্তব্ধ করে দিতে চাইছেন।করোনার নাম করে বিজেপির মিছিল মিটিং আটকানো টাই এখন দিদির আসল লক্ষ্য ।আসলে বিজেপি একুশে ক্ষমতায় আসছে তাই দিদির এত ভয়।সেই দিলীপ ঘোষ শুক্…
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
করোনা চলে গেছে, তবুও দিদি লকডাউন করে বাংলা কে স্তব্ধ করে দিতে চাইছেন।করোনার নাম করে বিজেপির মিছিল মিটিং আটকানো টাই এখন দিদির আসল লক্ষ্য ।আসলে বিজেপি একুশে ক্ষমতায় আসছে তাই দিদির এত ভয়।
সেই দিলীপ ঘোষ শুক্রবার জ্বর নিয়ে ভর্তি হলেন কলকাতার আমরি হাসপাতালে ।গত সোমবার থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি জ্বরে কাবু।যদিও সেই সময় তাঁর নাকি রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ ।বলেছিলেন সামান্য জ্বর।করোনা টরোনা কিছুই নয়।কিন্তু সেই দিলীপ ঘোষ হাসপাতালে ভর্তি হবার পর জানা গেল তিনিও করোনা আক্রান্ত ।
কদিন আগেই করোনা হলে দিদিকে জড়িয়ে ধরবো বলা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।এখন সুস্থ হলেও তিনিও চিকিৎসাধীন।এক সম্প্রদায়ের মানুষ করোনা ছড়াচ্ছে বলা বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ও এই সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন।বিজেপির ছোট বড় অনেক নেতাই আজ করোনা নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে আছেন।কেউই গো মূত্রের ওপর ভরসা করেন নি।দিলীপ ঘোষ ও তাই।তিনি ও এখন হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ।
গরুর দুধে সোনা আছে , গো মূত্র খেলে করোনা সেরে যায় এই সব আলটপকা মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।আজ সেই দিলীপ ঘোষ কেও রেহাই দিল না এই সংক্রমণ ।জ্বর নিয়ে তাঁকে ও ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে ।
প্রায় পালা করে প্রতিদিন সকালে চা চক্রের আয়োজন করে আসছিলেন এই দিলীপ ঘোষ।আর সেই চক্রে নানা কথার বোমা ফাটানো ছিল রাজ্য সভাপতির মূখ্য উদ্দেশ্য।সেই দিলীপ ঘোষ এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে ডাক্তার দের পরামর্শ মেনেই চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তাঁর কোমডিবিডি নেই।অক্সিজেনের মাত্রা ও শরীরে ঠিক আছে।অন্য কোন উপসর্গ এখনো ধরা পড়েনি।এখন তিনি সুস্থ আছেন।
করোনা আতঙ্কে সমগ্র পৃথিবী যখন থরহরি কম্প,ভারতবর্ষের রাজ্যে রাজ্যে করোনার ঢেউ,তবুও তিনি চালিয়ে গেছেন বিজেপির নানা কর্মসূচি ।প্রশাসন তাঁর গাড়ি আটকে দেন বেশ কয়েকবার করোনা সংক্রমণের অভিযোগে ।কিন্তু ভ্রূক্ষেপ করেন নি তিনি।তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ছিলেন । বলেছিলেন আমাকে আটকাতেই রাজ্য সরকারের এই সব নাটক।পথেই বসে পড়েছিলেন তিনি। আজ সেই দিলীপ ঘোষ সংক্রমণের শিকার হয়ে নিজেই ভর্তি হলেন বেসরকারি হাসপাতালে ।চিকিৎসা করছেন আমরি হাসপাতালের ডাক্তারের টিম।করোনা কাবু করে দিলো রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেও।
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের করোনা সংক্রমণের খবরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও চিন্তিত । তাঁরা ও দিলীপ ঘোষের শারীরিক খবর নিলেন । শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরি হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
আজ অবস্থা স্হিতিশীল আছে।ভালো আছেন দিলীপ ঘোষ।অন্য কোন উপসর্গ নেই।পরীক্ষা চলছে।
এবারের দুর্গা পুজো নিয়ে দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের মতানৈক্যের খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ে।সেই দিলীপ ঘোষ কে হয়তো এই পুজো তেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে।কারন সপ্তাহে পেরোলেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুরগোৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ভারচুয়াল পুজা উদ্ধোধন শুরু করে দিয়েছেন।
করোনা আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ কে নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও চিন্তার ভাঁজ।রাজ্য সভাপতি অসুস্থ থাকায় দলের কর্ম সূচী ও কদিন পিছিয়ে গেল।সুস্থ হওয়ার পরেও তাঁকে হোম কেয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বেশ কিছুদিন ।
গো মূত্র যে করোনার ওষুধ নয় তা আজ বুঝলেন স্বয়ং রাজ্য সভাপতি ।
আই সি এম আর এর বিধি মেনে ডাক্তার দের পরামর্শ কে মাথায় রেখেই এই সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।
আগে না বুঝলেও এখন তিনিও তাই বুঝেছেন।তাই অমিত শাহের মতোই দিলীপ ঘোষ ভরসা রাখছেন চিকিৎসকদের উপরেই।
সুস্থ হয়ে উঠুক দিলীপ ঘোষ।বঙ্গ জুড়েই অনুগামী ও বিরোধীরা এই প্রার্থনা ই করে চলেছেন।
এখন তিনি সুস্থ ই আছেন।অন্য কোন উপসর্গ ধরা পড়েনি তাঁর শরীরে ।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।