বিভাগ_অণুগল্প"ললাট লিখন"অপর্না রায়২৯/১০/২০২০
"ললাট লিখন"
শিউলি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। একদিন টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়। শিউলির গরীব মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে, …
বিভাগ_অণুগল্প
"ললাট লিখন"
অপর্না রায়
২৯/১০/২০২০
"ললাট লিখন"
শিউলি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। একদিন টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়। শিউলির গরীব মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে, এবার কি হবে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ? কয়েকজন প্রতিবেশীর কথায় থানায় ডাইরি করেন কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হলো না, শুধু লোক জানাজানি হলো। গরীররা কবেই বা ন্যায্য বিচার পেয়েছে!
এই ঘটনার পর থেকে পাড়ার সবাই শিউলিদের অবজ্ঞার চোখে দেখে।কেউ ভালো করে কথা পর্যন্ত বলে না।শিউলির বাবা_মা শিউলিকে ঘরে বন্দী করে রেখেছে। শিউলির দিন কাটে হতাশায় ভরা চোখে জানালা দিয়ে নীল আকাশ দেখে! আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু ভাবে, "হে ভগবান আমার কি দোষ ছিল এই ঘটনায়।আমি কেন শাস্তি পাচ্ছি এভাবে?যারা দোষ করলো তাদের তো কোনো শাস্তি হলো না।"
মাস ছয়েক পর মহালয়ার দিন ওদের উল্টো দিকের বাড়িতে নীল আসে বেড়াতে। জানালা দিয়ে শিউলিকে দেখে তার ভীষণ পছন্দ হয়। নীল তার কাকিমার কাছে শিউলির সম্বন্ধে জানতে চাইলে, ওর কাকিমা বলে, "ভুলেও ওই মেয়ের দিকে তাকাবি না। ও একটা নষ্ট মেয়ে!" সব ঘটনা শোনার পরেও নীল শিউলির বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
শিউলির বাবা-মা তো যারপরনাই খুশি,এক কথায় রাজি হয়ে যায়।নীল পূজোর পরেই বিদেশে ফিরে যাবে।কাজেই বিয়েটা তার আগেই করতে চায়। তাই ঠিক হলো দশমীর দিন মায়ের পায়ে ছোঁয়া সিঁদুর দিয়েই ওদের বিয়ে হবে।তাই হলো মায়ের আশীর্বাদে নীল শিউলিকে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে চলে যায়।।
..... অপু