নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: কর্ম নিশ্চয়তা এবং সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে এবার অনশন বিক্ষোভ আন্দোলনে নামলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় সমস্ত কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক কর্মচারীরা। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ কেজুয়েল এম্প্লয়িস সমিতির পক্ষ থেকে তমলুক…
নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: কর্ম নিশ্চয়তা এবং সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে এবার অনশন বিক্ষোভ আন্দোলনে নামলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় সমস্ত কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক কর্মচারীরা। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ কেজুয়েল এম্প্লয়িস সমিতির পক্ষ থেকে তমলুক মহাকুমার এলাকার ময়না কলেজের সামনে এই লাগাতার ধরনা অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি স্বীকৃতি সহ স্থায়ীকরণ এবং বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং অশিক্ষক অস্থায়ী কর্মচারীরা। ইতিমধ্যেই সেই দাবি কে মান্যতা দিয়ে কলেজের অতিথি শিক্ষকদের বেতন পরিকাঠামোর মান উন্নয়ন এবং স্থায়ীকরণের বিষয়ে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের এই দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কলেজের পরিচালন সমিতির দ্বারা নিযুক্ত শিক্ষকগণ এই সরকারি স্বীকৃতি পেলেও অশিক্ষক শিক্ষাকর্মী রা এখনো অবধি বঞ্চিতই রয়ে গিয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি কলেজগুলোতে এমন প্রায় দুই শতাধিক ও শিক্ষক শিক্ষা কর্মী রয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এমন সমস্ত নৈতিক দাবি জানিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় এ ভাই তাই আন্দোলনের পথ কেই পাথেয় করে অনশনে বসেছিলেন জেলার প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীরা। সরকারি স্বীকৃতি এবং সুনির্দিষ্ট বেতন ক্রমের দাবিতে গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ময়না কলেজ গেটের সামনে এইসকল অস্থায়ী কর্মচারীরা অনশন বিক্ষোভ আন্দোলনের ডাক দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন। শুক্রবার তাদের এই আন্দোলন তিন দিনে পা দিয়েছে। মূলত, বেশ কয়েকটি ন্যূনতম দাবিকে সামনে রেখে এই আন্দোলন কর্মসূচি লাগাতার চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ও শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ। যে গুলি হল, সরকারি স্বীকৃতি এবং সুনির্দিষ্ট বেতন পরিকাঠামো সহ ৬০বছরের কর্ম সুনিশ্চিত করা।
সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সভাপতি উত্তম লিজকা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এই নৈতিক দাবির সমর্থনে লাগাতার আবেদন-নিবেদন জানিয়ে এসেছিলাম। বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীকে ও জানানো হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেভাবে কোন ফল মেলেনি। তাই যতক্ষণ না সরকার পক্ষ থেকে কোনো রকমের আশ্বাস মিলছে ততক্ষন আমাদের এই অনশন আন্দোলন লাগাতার চলবে।