। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । দিন দিন বিজেপি দলটি কি বিশ্রামাগারে পরিনত হচ্ছে ।যদিও রাজনৈতিক নেতাদের জীবন মানচিত্রে বিশ্রাম কথাটি এতদিন ছিল না।কারন রাজনিতী তে অবসর বলে তো কিছু নেই।এখানে অবসরের কোন বয়স ও নেই।উল্টে বিভিন্ন পেশা থেকে…
। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।দিন দিন বিজেপি দলটি কি বিশ্রামাগারে পরিনত হচ্ছে ।যদিও রাজনৈতিক নেতাদের জীবন মানচিত্রে বিশ্রাম কথাটি এতদিন ছিল না।কারন রাজনিতী তে অবসর বলে তো কিছু নেই।এখানে অবসরের কোন বয়স ও নেই।উল্টে বিভিন্ন পেশা থেকে আসা মানুষ জন অবসরের পর রাজনীতি কেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন।আর এমন মানুষ সব দলেই আছেন।তবে বঙ্গ বিজেপির হাল হকিকত দেখে এই বিশ্রামাগার কথাটি লিখতে হচ্ছে ।
রাহূল সিনহা।সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ সবে খুইয়েছেন ।তাঁর জায়গায় এসেছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরা।আর তার পর থেকেই তিনি বিশ্রামে রয়েছেন বলে নিজেই জানান।যদিও বিজেপি নেতারা তাঁকে ফোন করছেন।তবুও রাহূল বললেন আমি এখন বিশ্রামে।সত্যিই তো চল্লিশ বছর ধরে পথে নেমে খেটেছেন।এখন তো একটু বিশ্রাম দরকার ।এমনকি নবান্ন অভিযানের দিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এলেও তিনি ঘরে বিশ্রামে ছিলেন।
আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ।তৃনমূলে থাকার সময় কলকাতার মেয়র পদ সামলেছেন।কিন্তু বিজেপি দলে আসার পর থেকেই বিশ্রামে রয়েছেন।আর শোভন বিশ্রামে মানে বৈশাখী ও বিশ্রামে।আর শোভন তো বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্রামে রয়েছেন।
মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু তো নিজেই ফেস বুক পেজে লেখেন রাজনীতি থেকে বিশ্রামের কথা।
এছাড়া ছোট বড় অনেক নেতাই পদ না পেয়ে এখন বিশ্রামে।
রাজনিতী তে তো বিশ্রাম বলে কোন কথা হয় না।কারন সমগ্র বাংলা জুড়ে তো অনেক কাজ।আর এই সব কাজের জন্য দরকার অনেক নেতা ও সদস্য ।কিন্তু হেভিওয়েট নেতারা অবশ্য পদ ছাড়া কাজ করেন না।তাই বুঝি এই বিশ্রাম।
বর্তমান রাজনিতীতে দল নির্ভর বলে কিছু হয় না।সব কিছুই এখন নেতা নির্ভর ।তাই পদহীন নেতা দলের জন্য কাজ করবে কেন।
তাই কি নেতারা বিশ্রাম নিচ্ছেন।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।