Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ষাটের গেরো থেকে বেরুতে পাচ্ছে না এই রাজ্য ।

তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
এই রাজ্যের করোনা মৃত্যুর সংখ্যা ষাটের গেরো তে আটকে আছে।তা কমার কোন লক্ষন চোখে পড়ছে না।ফলে প্রতিদিন ই করোনা সংক্রমণের মৃত্যু সংখ্যা ষাট পেরিয়ে যাচ্ছে ।সংক্রমণ ও বাড়ছে দ্রুত গতিতে।একদিনের সংক্রমণের সংখ্য…

 

 তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।

এই রাজ্যের করোনা মৃত্যুর সংখ্যা ষাটের গেরো তে আটকে আছে।তা কমার কোন লক্ষন চোখে পড়ছে না।ফলে প্রতিদিন ই করোনা সংক্রমণের মৃত্যু সংখ্যা ষাট পেরিয়ে যাচ্ছে ।

সংক্রমণ ও বাড়ছে দ্রুত গতিতে।একদিনের সংক্রমণের সংখ্যা চার হাজার ছুঁলো বলে।আর সংক্রমণের হারের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে তা ক্রমশই উর্ধমুখী।অথচ টেস্টের সংখ্যা কমছে।টেস্টের সংখ্যা বাড়লে যে সংক্রমণ আরো বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

আগামী কাল থেকেই শুরু হবে দুর্গা পুজোর সপ্তাহে পদার্পণ ।শুধু পুজোর বাজার করতে গিয়ে সংক্রমণের গতি এই হয় তাহলে পুজোর কটি দিনে যে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়বে।বাঁধ দেওয়া যাবে না সেই গতিতে।

বিরোধী দল গুলি তো ইতিমধ্যেই বাংলার সাঁইত্রিশ হাজার পুজো কমিটি কে টাকা দেওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছেন।মহামান্য কোর্ট তো পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই টাকার পঁচাত্তর ভাগ খরচ করতে হবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার এর জন্য ।বাকি পঁচিশ ভাগ টাও এই সংক্রমণের পিছনেই।কিন্তু বাস্তবে তা কতখানি হবে তা নিয়ে সংশয়ে বিরোধী দল।তাঁরা আঙুল তুলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই অনুদানের দিকেই।বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় তো বলেই দিলেন উনি তো বোতাম টিপে উদ্ধোধন করে দিলেন।প্যান্ডেল গুলিতে কত মানুষ আসছেন সে হিসাব কি রাখছেন।

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেও রক্ষা নেই।নেগেটিভ হওয়ার পরেও মানুষ মারা যাচ্ছেন ।

    বঙ্গের পুজো শেষ হলে সংক্রমণ বাড়ার প্রবনতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসকের দল।যা ঘটেছে কেরল ও মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ও।

দুয়ারে পুজো সরকার ও সাধারণ মানুষ এক যোগে বলছেন দূরত্ব বিধি ,স্যানিটাইজার ও মাস্কের কথা। >

মাস্ক না হয় সকলেই পড়লেন।না পড়লে প্রশাসন নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবেন।কিন্তু দূরত্ব বিধি কি মানা যাবে এই উৎসবের দিনে।আর চিন্তা বাড়ছে এতেই।

সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে রাজ্যের মানচিত্রে ।আর এই বৃদ্ধির হারে এগিয়ে রয়েছে কলকাতা, উওর চব্বিশ পরগনা ও হাওড়ার মতো জেলা গুলি।

মৃত্যুর হার ষাটের গেরো তেই আটকে রয়েছে।তা থেকে নামার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না।

অবশ্য সংক্রমণ কমলে মৃত্যু কমবে।কিন্তু সংক্রমণ কমার কোন দিশা চোখে পড়ছে না।

এবার পুজোর পর যদি সংক্রমণের হার কমে তাহলে বাহবা পাবে রাজ্য সরকার ই।সেই চেষ্টাই চলছে।


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।