শীত আসছে।বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে।এখন আর সেই গা জ্বলানো ভ্যাপসা গরম নেই।পারদ নামছে আস্তে আস্তে ।নিম্ন চাপের ভ্রুকুটি কেটে গেছে। নিম্ন চাপটি বাংলাকে ছেড়ে চলে গেছে বাংলা দেশ হয়ে।আজ নবমী। গতকাল কলকাতা সহ সমগ্র বাংলা ছিল অষ্টমীর পুজোর …
শীত আসছে।বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে।এখন আর সেই গা জ্বলানো ভ্যাপসা গরম নেই।পারদ নামছে আস্তে আস্তে ।
নিম্ন চাপের ভ্রুকুটি কেটে গেছে। নিম্ন চাপটি বাংলাকে ছেড়ে চলে গেছে বাংলা দেশ হয়ে।
আজ নবমী। গতকাল কলকাতা সহ সমগ্র বাংলা ছিল অষ্টমীর পুজোর আমেজ।কিন্তু পথে নামেনি মানুষ ।
উওর বঙ্গ এখন শীতের চাদর বিছানো শুরু করেছে।পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ বেশ কিছু জেলাতে ও রেশ পড়তে চলেছে শীতের।
এবার শারদ উৎসবের জন্য তৈরি ছিল কলকাতা ।একেবারে অন্তিম লগ্নে আদালতের রায়ে মন্ডপে মন্ডপে পূজা অর্চনা চললেও তা ছিল নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
কলকাতার রাস্তায় যে অল্প সংখ্যক মানুষ পথে নেমে ছিলেন তাঁরা দূর থেকেই মন্ডপ দর্শন করে ফিরে গেছেন।আইনের কড়া অনুশাসন ঢুকতে দেয়নি মন্ডপের ভিতরে।
বাইরে বেরুনো বেশির ভাগ মানুষ ই হোটেল মুখী।হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরে সকলেই গৃহমুখী।কেউ আর ঠাকুর দর্শনে যেতে সাহস করেন নি।অষ্টমীর রাতে জনতার ঢল নামেনি।ফলে জনসমুদ্র থেকে দূরে এবার কলকাতা ।
হোটেল গুলিতেও ছিল নিরাপত্তার বলয়।ম্যান মার্কিং করে সমস্ত রকম স্বাস্থ্য বিধি ও সোসাল ডিসটেন্ট মেনে চলেছেন অধিকাংশ নামী হোটেল গুলি।
রাস্তায় মোড়ে ফুচকা ওলা আলু কাবলী বসলেও ভিড় জমেনি সেখানেও।ফলে বিক্রি বাট্টা কম ।অনেক দোকান বাজার সন্ধ্যা থেকেই ঝাঁপ বন্ধ করে দেন পরিস্থিতির চাপে।
আজ নবমী।ধরে নেওয়া যেতে পারে আজও রাস্তায় রাস্তায় জনস্রোত নামবে না।অষ্টমীর রাত যখন ফাঁকা ছিল নবমীর কপালে সেই একই ভবিতব্য ।
যেয়ো না নবমী তুমি লয়ে তারাদলে।এ কথা আজ বলবে কিনা জানা নেই।
তবে এমন আড়ম্বর হীন পুজো দেখেনি বাংলা বিগত একশো বছরে।করোনাভাইরাসের থাবা ও মহামান্য আদালতের রায় যে একটা ভয়ের বাতাবরন কে বুকে নিয়েই কেটে চলেছে এবার শারদ উৎসব।
আশঙ্কা ছিল ভিড় বাড়বে।কিন্তু সচেতনতা সেই ভিড় বাড়তে দেয়নি।
অষ্টমীর রাত কাটলো ছুটির মেজাজে।আজও আমরা চোখ রাখবো বঙ্গের দুর্গা পুজোর মন্ডপে মন্ডপে ।
তবে সে রকম ভিড় যে হবে না তাতো বোঝাই যাচ্ছে ।
সব রকম উৎকন্ঠা ও সংক্রমণের দায় এড়িয়ে মানুষ প্রমান করে দিলেন আইন একটু কড়া হলে তা মানতে রাজি বঙ্গ বাসী।
পুজো বন্ধ নয়, লকডাউন ও ছিল না।শুধু মন্ডপে ঢোকাতে ছিল নো এন্ট্রি বোর্ড ।
আর এতেই মানুষ সে ভাবে নামেনি পথে ।আর এর ফলে কলকাতা সহ বঙ্গের পুজোর মানচিত্রে এক অন্য ছবি।
নবমীর রাত কাটুক এ ভাবেই।চাইছেন বঙ্গ বাসী।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।