#রসেবশে_রম্যরস
#ফেসবুকীয়_সাহিত্যে_"র"_"ড়"_এবং_শব্দের_চন্দ্রবিন্দু_প্রাপ্তি
#শুভজিৎ_সিংহ_রায়
বানান আমার ভুল হয়, হরদম হয়, যখন ইস্কুলে পড়তাম তখন ই-কার ঈ-কার, উ-কার ঊ-কার, য-ফলা, শ-ষ-স এসবে প্রায়ই গন্ডগোল করে ফেলতাম…
#রসেবশে_রম্যরস
#ফেসবুকীয়_সাহিত্যে_"র"_"ড়"_এবং_শব্দের_চন্দ্রবিন্দু_প্রাপ্তি
#শুভজিৎ_সিংহ_রায়
বানান আমার ভুল হয়, হরদম হয়, যখন ইস্কুলে পড়তাম তখন ই-কার ঈ-কার, উ-কার ঊ-কার, য-ফলা, শ-ষ-স এসবে প্রায়ই গন্ডগোল করে ফেলতাম, পরে অন্য বেশিরভাগ ছাত্রের লেখা দেখে বুঝতাম ভুলটা আমারই, শব্দের তলায় মাষ্টার-ম'শায়ের লাল কালির ঢ্যাঁড়াটা নিছক ওনার পেনের নিবের সচলতার পরীক্ষা নয়৷ তবে ফেবুতে গল্প কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়তে গিয়ে "র" আর "ড়" এর ব্যবহার দেখে মনে হয় আমি বোধ হয় 'রিপ ভ্যান উইঙ্কল'এর মত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর জেগে উঠে দেখছি সব বদলে গেছে৷ র আর ড় নিয়ে উদাহরণ দিয়ে লিখতে গেলে বাংলা অভিধানে ওই দুই বর্ণ আছে এমন সব শব্দই প্রায় এসে যায়৷ কোনো গ্রুপের এডমিনই বোধহয় আমার মত অর্বাচীনকে অতটা জায়গা দেবেন না৷ তবে দু-চারটে উদাহরণ দেওয়াই যায়, যেমন এখানে দেখি বহু বিদগ্ধ লেখক লেখিকা ঘর থেকে "বেড়িয়ে" আসেন, জানিনা তাদের ঘর কত বড় আর কত সুন্দর যে সেখানে বেড়াতে যাওয়া যায়৷ অবাক হয়ে ভাবি তাহলে তারা থাকেন কোথায়! আমি আমার গরীবের কামরা (অনেকে এখানেও "কামড়া"তে চান) থেকে তো বেরতে পারলে বাঁচি৷ ইস্কুলের পড়া গুলোকে সত্যিই যদি "পরা" যেত তো কবেই গায়ে জড়িয়ে নিতাম (কেউ কেউ অবশ্য "জরিয়ে" নিয়ে হজম করে ফেলেছেন)৷ বোঝার বোঝা সামলাতে বা মুখস্হের কষ্টটা করতে হত না৷ তবে পাতা "ঝড়া" দেখে মনে হয় ওনারা ঝড়ের আঘাতে অকালে ঝরেপড়ার কথাই বলতে চেয়েছেন, কালের নিয়মে ঝরা নয়৷ আমাদের মত গরীব মানুষের বাড়ি "বারি" হয়ে ভাঙা ছাদ দিয়ে ঝরে তো পড়বেই, ঝড়েও পড়তে পারে৷ শুধু কষ্ট লাগে আমরা যখন আমড়া হয়ে টকে যাই, মনে হয় এমন টক হওয়ার থেকে মাথা জোড়া টাক হওয়াও ঢের ভালো৷
"র" আর "ড়" এর ভুল করাকরি নিয়ে অনেক কড়াকড়ি কথা তো বললাম, এবার আসি শব্দের গোড়ায় চন্দ্রবিন্দু প্রাপ্তি নিয়ে -
সেদিন একটা গল্পে লেখিকা দেখলাম কাজের লোককে দিয়ে কাপর(কাপড় নয়!) কাঁচাচ্ছেন - এমন পাকা জিনিস কাঁচানোর অর্থ পেলাম না৷
পুরুষ মানুষের দাড়িকে অনেকেই দেখছি গোড়ায় ঁ দিয়ে মেরে ফেলছেন৷ এমন ভাবে দাড়িতে দাঁড়ি কেটে মাকুন্দ করে দেওয়া কি ভালো দেখায়? এ কি পুরুষের পৌরুষ হরণ নয়?
ছাদ কে ছাঁদ করলে শহরবাসীর রোদের তৎসহ ভিটামিন ডি এর সুলভ তম উৎসটির ঁ প্রাপ্তি হয়, এটা যদি লেখক লেখিকারা দয়া করে একটু মনে রাখেন৷
কাঁদাকে যখন কাদা করেন তখন অবশ্য একটু বাড়াবাড়িই লাগে, চোখের অত জল ঝরানোর ক্ষমতা নেই যাতে মাটি ভিজে কাদা হয়৷ আর বাঁচার চন্দ্রবিন্দু উঠিয়ে "বাচা" বাঁচাকে বাঁচিয়ে রাখার মহৎ প্রয়াস৷
আবার অনেকেই জিনিস-পত্র বেঁচে দেন, সেটাও হয়ত সম্বলটুকু বেচে দিয়ে প্রাপ্ত অর্থে বাঁচার লড়াই - জানি না৷
আপাতত এখানেই বাঁধাছাঁদা করছি, কেউ নিশ্চই বাধা দেবেন না - নমষ্কার
পুনঃ আমার লেখায় যে যে বানানগুলো ভুল হয়েছে সেগুলো সব "টাইপো" - ওতে নম্বর কাটলে খেলব না৷