প্রবন্ধ আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে করোনার প্রভাববিনয় ভট্টাচার্য্য ( কলেজ ছাত্র- দ্বিতীয় বর্ষ) ২১ মার্চ ১৪ ঘন্টার একটি পাবলিক কারফিউর পর ভারত সরকার সারা ভারতবাসীর গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল। লকডাউন বিভিন্ন প…
প্রবন্ধ
আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব
বিনয় ভট্টাচার্য্য ( কলেজ ছাত্র- দ্বিতীয় বর্ষ)
২১ মার্চ ১৪ ঘন্টার একটি পাবলিক কারফিউর পর ভারত সরকার সারা ভারতবাসীর গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল। লকডাউন বিভিন্ন পর্যায়ে বাড়ানো হয় এবং বর্তমানে আমরা আনলক ৬.০ তে রয়েছি।
এই অবস্থায় বিশ্বব্যাপী নিবর্তন স্বাভাবিক তবে ভারতের মতো জনবহুল দেশে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিপর্যস্ত। দানবীয় করোনার ভাইরাসের সামনে বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপ যেন ক্ষূদ্র হয়ে প্রতীয়মান।
করোনা অতিমারীর প্রাথমিক সতকর্তা যেখানে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং সেটিই আবার এক দারুণ বৈরভাবের জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সময় বা প্রয়োজনে সরকারি অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও এটির মুখোমুখি হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষ এরকম মনোভাব ডাক্তার, নার্স এবং এমন করোনা যোদ্ধাদের প্রতি প্রদর্শন করে। তাদের আবার কখনো বাড়ি খালি করতে বলা হয়। দীর্ঘায়িত লকডাউন মানুষকে বাধ্য করেছে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী মজুত করতে যা কিনা বাজারে এক ঘাটতির সৃষ্টি করেছে। রেশন বা বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের ক্ষেত্রেও সেই একইরকম আগে পাওয়ার জন্য বা চরম সংকটে অন্যের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষম সামাজিকতা উঠে আসে।
মিনিস্ট্রি অফ স্ট্যাটিস্টিক্স অনুসারে ভারতের গ্ৰোথ 2020 ফিসক্যাল ইয়ারে 3.1% কমেছে। সামাজিকতার পাশাপাশি অর্থনীতি যথেষ্ট প্রভাবিত। বিধি নিষেধে সীমিত পন্য পরিষেবা ছোটোখাটো ব্যবসাগুলিকে স্তিমিত করেছে। সাধারণ দিন মজুরদের কাছে বেঁচে থাকা দুর্বিসহ। বেকারত্ব বেশ উচ্চ শিখরে সাথে সাপ্লাই চেইন ওলটপালট। জিডিপি এস্টিমেট অনবরত কমছে।
p>ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি কনজিউমার সচলতা সবই আজ বিপন্ন। বিভিন্ন সরকারি প্যাকেজগুলির ভারে দেশের আর্থিক ভিত ভালো মতই শক্তিহীন।অধিকাংশ সাধারণ মানু নিত্যই অর্ধাহারে ভুগছে। এটা ঠিক সামাজিক আনুগত্য আবশ্যক।পারস্পরিক হিতৈষীতার দ্বারা মানুষ এবং করোনাভাইরাস এর মধ্যে দূরত্বটিকে প্রতিহত করতে হবে। বাজারের পরিবর্তনশীলতার কারণে অনলাইন পরিষেবাগুলি আরও জোরালো হয়েছে।
কোম্পানীগুলি আবশ্যকীয় পন্য তৈরীতে গুরুত্ব দিতে পারে। পাঁচটি রাজ্য যথা
কেরালা, পাঞ্জাব ইত্যাদি জিডিপি-র এনডোয়মেন্টে রয়েছে।
লকডাউন দ্বারা উত্থাপিত আর্থ-সামাজিক অবক্ষয়কে রোধ করতে দেশীয় পন্য উৎপাদন অবশ্যই জরূরী। রাষ্ট্র যতটা সম্ভব আত্মনির্ভর হয়ে উঠলে কোভিডের প্রভাব থেকে কিছুটা মুক্ত হবে।
প্রবাদে বলে কোন সমস্যার সমাধান করতে হলে আমাদের সেই সমস্যার উপর জোর দিতে হবে। বর্তমান সময়ে আর্থসামাজিক প্রভাব ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্র বেশ দুর্দশাগ্রস্ত। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ কর্মসূচি গুলি বর্তমান সমস্যার হাল করতে পারে তবে তবে সেগুলিকে সুনিশ্চিত এবং দুর্বৃত্ততা মুক্ত হতে হবে। বলাবাহুল্য কোভিড 19 এর মত এরকম বিপর্যয় কে প্রতিহত করার জন্য ভবিষ্যতেও মানুষকে সর্বদা একে অপরের প্রতি সদাশয় থাকতে হবে।