কবিতা ঃ- ক্ষয়িষ্ণু কলমেঃ- শর্মিলা রায় তারিখ ঃ- ২৬/১১/২০
শীর্ণতোয়া নদী বয়ে চলে নিরবধি। তবু,তিরতির কাঁপনে কত কথা বলতে চায়ফিসফিস বাতাসের কানে।উছল ঝর্ণা পাহাড়ের কোল বেয়েবয়ে চলে নিরন্তর। ঝমঝম শব্দে কত কথা বলে নিথর নিশ্চুপ পাহাড়ে…
কবিতা ঃ- ক্ষয়িষ্ণু
কলমেঃ- শর্মিলা রায়
তারিখ ঃ- ২৬/১১/২০
শীর্ণতোয়া নদী বয়ে চলে নিরবধি।
তবু,তিরতির কাঁপনে কত কথা বলতে চায়
ফিসফিস বাতাসের কানে।
উছল ঝর্ণা পাহাড়ের কোল বেয়ে
বয়ে চলে নিরন্তর।
ঝমঝম শব্দে কত কথা বলে
নিথর নিশ্চুপ পাহাড়ের সাথে।
উত্তাল সমুদ্রের উদ্দাম ঢেউ
পরম আদরে গভীর চুম্বন আঁকে
একলা বালুতটের বুক জুড়ে।
আবেগে আশ্লেষে সিক্ত বালুচর
মিলেমিশে একাকার হয় সাগরের সাথে।
অরণ্যের ঘুম ভাঙে রাতচরা পাখিদের ডাকে।
পাখিরা জানে অরণ্যের মর্মর ভাষা।
অরণ্য চেনে পাখিদের গান।
নীরব বোঝাপড়ায় তারা পরস্পরের কাছে আসে।
নগর তখন ঘুমায় নিশ্চিন্তে পাশ ফিরে।
তারারা লক্ষ লক্ষ হীরকচূর্ণের মতো
লুটোপুটি খায় নভোনীল আকাশের বুকে।
তারার আলো গায়ে মেখে
সোহাগী আকাশ রাতপাহারায় থাকে।
ঠিক যেমন পূর্ণগর্ভা চাঁদকে বুকে নিয়ে
তার মিঠে আলোর সোহাগে আহ্লাদিত হয় আকাশপট।
নগর তখন নিদ্রামগ্ন।
খবর রাখে না জাগতিক মহাজাগতিক
কোনও নীরব নিশ্চুপ দেনাপাওনার।
ঘুম ভাঙলে, সকালের ঝলমলে আলোয়
সে বুঝে নেবে তার পার্থিব পাওনাগণ্ডা।
সে কেবল মানুষ চেনে,
বোঝে মানুষের ভাষা।
পাহাড় জঙ্গল নদী আকাশ - বাতাস
কারোও ভাষা সে জানতে চায় না,চায় না বুঝতে।
অথচ এরাই তার সমস্ত অস্তিত্বের মূলে।
এরা আছে বলেই তার টিকে থাকা।
এই সার সত্যটিকে অবলীলায় উপেক্ষা করে
ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যাচ্ছে নগরের ভিত।
শহুরে নাগরিকের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য
অপেক্ষা করে আছে
এক সমস্যা- সঙ্কুল অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবী।