তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতাবিহার বিধান সভা নির্বাচনের ট্রাজিক হিরো তেজস্বী যাদব কে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।31 বছর বয়সী আর জে ডি নেতার লড়াই কে তিনি কুর্নিশ জানান ।একটুর জন্য সাফল্যের দোর…
তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা
বিহার বিধান সভা নির্বাচনের ট্রাজিক হিরো তেজস্বী যাদব কে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।31 বছর বয়সী আর জে ডি নেতার লড়াই কে তিনি কুর্নিশ জানান ।একটুর জন্য সাফল্যের দোরগোড়া থেকে ফিরে আসা লালু পুত্র তেজস্বী যাদব কে তিনি বলেন দারুন লড়াই করেছো বিহার ভোটে।বিজেপির বিরুদ্ধে এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।বিহারের ভোটে আর জে ডি যে অভিযোগ এনেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির সেই অভিযোগ কেও তিনি সমর্থন করেন।তেজস্বী কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন তুমিই বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ।
বিহারের ভোটে অল্পের জন্য তেজস্বী যাদবের পরাজয়ের মূল কারন জোট সঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গ না পাওয়া ।কংগ্রেস 70 টি আসনে লড়াই করে সে রকম ফল করতে পারেনি।একক দল হিসাবে আর জে ডি সব থেকে বেশি আসন লাভ করেছে।আর তেজস্বীর দাবি বিহারের মানুষ তাঁকেই সমর্থন করেছেন।শেষ বেলায় তাঁকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়।আর তিনি এ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন।মমতা বন্দোপাধ্যায় তেজস্বী কে জানান লড়াই চালিয়ে যাও।আমার সমর্থন রইলো।
31 বছর বয়সী তেজস্বী যাদব একার হাতে বিজেপি আর এস এস তথা মোদী নীতিশের অপরাজেয় জোটের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে গেছেন প্রথম দিন থেকেই।নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হয়ে ভোট প্রচারে এসে তেজস্বী কে জঙ্গলের যুবরাজ আখ্যা দেন।কিন্তু ভোটের ফল বলছে তেজস্বী জঙ্গলের যুবরাজ নয় বিহারের যুবরাজ ।একক ভাবে সব থেকে বেশি আসন পেয়ে প্রমান করে দিলেন তিনি আর জে ডি দলের যুবরাজ তিনিই।তাই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মতো জন নেতা তাকে ফোনে অভিনন্দন জানান।
বিজেপির বিরুদ্ধে যারাই লড়াই করেন মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল ।আর তেজস্বী তো লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র ।আর মমতার সঙ্গে লালুজীর সম্পর্ক সব সময় ই মধুর।আর তেজস্বী তো মমতার স্নেহধন্য।
গতবার বিগ্রেডে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের মহাসমাবেশে ভাষন দিয়ে গেছেন তেজস্বী ।মুখ্যমন্ত্রীর ধরনামঞ্চেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।পুরানো বন্ধুর পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট কাছেই।সেই ভোটে বিজেপি কে বঙ্গ ছাড়া করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় ।আর হয়তো সে সময় তেজস্বী যাদব ও আসতে পারেন বাংলায় মমতার সমর্থনে ।এ রাজ্যের ভোট মানচিত্রে বিহারী ভোট খুব একটা কম নয়।তেজস্বীর উপস্থিতি সেই ভোট কে মমতার তৃনমূলে টানতে সাহায্য করতেই পারেন।কারন মমতা ও তেজস্বী দুজনের ই মূল শত্রু সাম্প্রদায়িক এই বিজেপি দল।তাই বিজেপি কে হঠাতে অসাম্প্রদায়িক সব দলের সমর্থন নিতে কারো অসুবিধা নেই।
বিহারের ভোটে জয়ী হলো বিজেপি ও নীতিশ জোট।কিন্তু আর জে ডি নেতা তেজস্বী যাদব কিন্তু হিরো।একাই লড়াই করলেন বিজেপি ও নীতিশ জোটের সঙ্গে ।কংগ্রেস ও বামপন্থী রা সঙ্গী হলেও তেজস্বী প্রমান করে ছাড়লেন তিনিই এখন বিহারের জনগনের চোখের মনি।
আর বাংলার মমতার আশীর্বাদ নিয়ে ই তিনি ভোটে নেমেছিলেন।একটুর জন্য কুর্সি দখল না হলেও বিহারের মানুষ গর্জন শুনতে পেলেন সিংহের।