Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তমলুক রামকৃষ্ণ মিশনের কালিপুজো

জয়দীপ পন্ডা, তমলুক
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সরনী বেয়ে তমলুক রামকৃষ্ণ মিশনের কালী মায়ের আরাধনা প্রায় 70বছর অতিক্রান্ত। দেওয়ালি অমাবস্যা তিথিতে মায়ের আরাধনা সারারাত্রি ধরে চলে। মিশনে তন্ত্রমতে ষোড়শ'পচারে মাতৃ দেবীর আরাধনা হয়। কোনো বলি…

 


জয়দীপ পন্ডা, তমলুক

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সরনী বেয়ে তমলুক রামকৃষ্ণ মিশনের কালী মায়ের আরাধনা প্রায় 70বছর অতিক্রান্ত। দেওয়ালি অমাবস্যা তিথিতে মায়ের আরাধনা সারারাত্রি ধরে চলে। মিশনে তন্ত্রমতে ষোড়শ'পচারে মাতৃ দেবীর আরাধনা হয়। কোনো বলি হয় না। তবে ভোগে মৎস নিবেদন করার রীতি আছে। 

প্রথমে তমলুকের 51সতী পিঠে পুজো নিবেদন করে পুজোর সূচনা হয়। সূর্য উদয়ের পূর্বে দেবীর বিসর্জন হয়। সারারাত্রি ধরে চলে কালী কীর্তন। একটু ইতিহাস অনুসন্ধানে জানা যায় বেলুর মঠের অনুমতি ক্রমে 1964 সালে প্রথম পুজো শুরু হয়। উদ্যোগ নেন মিশন এর সন্ন্যাসী হেম মহারাজ। পুজক ছিলেন নিশ্চিন্ত বসান নিবাসী শ্রীযুত বুদ্ধদেব পণ্ডা।

 প্রথমে মায়ের পটে পুজো হলেও 1977সাল থেকে মূর্তি পুজো শুরু হয়। প্রথম মূর্তি নির্মাণ করে ছিলেন মৃৎ শিল্পী শ্রী বুধেন ভট্টাচাৰ্য। পুজক ছিলেন কাঁকুড়গাছি মিশন এর মহারাজ সাংখ্যা নন্দজী এবং তন্ত্রসাধক ছিলেন শক্তি ধরা নন্দ মহারাজ। দক্ষিনেশ্বর এর ভবতারিণী মায়ের মূর্তির আদলে প্রতিমা তৈরী করা হয়। প্রতিমা দর্শন এর জন্য মন্দির এ উপচে পড়ে ভীড়। তবে এবার সারা পৃথিবীতে করোনা মারণ ভাইরাস আবহে মন্দির প্রাঙ্গনে অবাধ প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে পুজোর উপাচার এ কোনো খামতি নেই।