Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

35 লক্ষ্য বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি মমতার আগামী তিন বছরে

বিহারের ভোট শেষ।এবার পালা পশ্চিমবঙ্গের ।আর সেই ভোট নিয়ে এখন বাজার সরগরম।বিহারের ভোটের ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি।তবে জানা গেছে বিহারের বেকারত্ব এবার ভোটে নীতিশ কুমার কে বেগ দেবে।উল্টো দিকে তেজস্বী যাদব ক্ষমতায় এলে বেকারত্ব কে দূর করা…

 


বিহারের ভোট শেষ।এবার পালা পশ্চিমবঙ্গের ।আর সেই ভোট নিয়ে এখন বাজার সরগরম।বিহারের ভোটের ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি।তবে জানা গেছে বিহারের বেকারত্ব এবার ভোটে নীতিশ কুমার কে বেগ দেবে।উল্টো দিকে তেজস্বী যাদব ক্ষমতায় এলে বেকারত্ব কে দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুব শক্তি কে কাজে লাগালো।ফলাফল কি তা জানা যাবে আগামী মঙ্গলবার ।

            এদিকে বাংলার ভোটের আগেই যুব শক্তিকে হাতে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আগেই ঘোষনা করে দিলেন আগামী তিন বছরে বাংলায় 35 লক্ষ্য বেকারের চাকরি হবে।আর এতেই বাজিমাত করলেন তিনি।অবশ্য বিরোধী দের কটাক্ষ উনি তো আর থাকছেন না।তাই যা খুশি বলতে পারেন।ক্ষমতায় না থাকলে আর চাকরি দেবেন কোথা থেকে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পাখির চোখ করেছেন কর্ম সংস্হানে।আর সে কথা জানিয়েছেন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই।

রুপরেখা তৈরি।এখন দেখা যাক কি হয়।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্পে 15 লক্ষ্য, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে 5লক্ষ্য, হ্যান্ডলুম ও অন্যান্য সেক্টরে 10 লক্ষ্য ।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি গত 9 বছরে রাজ্যে মোট 29 লক্ষ্য কর্ম সংস্হান হয়েছে।

তিনি আরো ভাগ করে বলেন, কৃষি বানিজ্যে 10 লক্ষ্য, মাটি সৃষ্টি প্রকল্পে 3 লক্ষ্য ও হস্তশিল্পে 2 লক্ষ্য মানুষের কর্ম সংস্হান হবে।

শীঘ্রই কলকাতার নিউটাউনে 200 একর জমিতে সিলিকন ভ্যালির পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।

প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ যে সমস্ত দপ্তরে হয়নি তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী ।

2021 সালেই রাজ্যের ভোট।কিছু দিনের মধ্যেই ভোটের দিন স্হির হয়ে যাবে।আর তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা আগামী তিন বছরের মধ্যেই 35 লক্ষ্য বেকার যুবক চাকরি পাবেন।

এটিকেও কটাক্ষ করেন এ রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি শালী দল বিজেপি।তাঁদের বক্তব্য এ রাজ্যে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ ছাড়া আর কোন চাকরি হয়নি।আর সে চাকরি হয়েছে তৃনমূল দলের ক্যাডার দের।লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা এই চাকরিতেও কাটমানি খেয়েছে তৃনমূলের নেতারা।এতোই যদি চাকরি মমতা সরকার দেন তাহলে পরিযায়ী শ্রমিকদের দল রাজ্যের বাইরে কেন।শিক্ষিত বেকারের দল দলে দলে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন কিসের তাগিদে ।

রাজ্য চলছে অবসর প্রাপ্ত আই এ এস ও আই পি এস দের দিয়ে ।এছাড়া কম বেতনে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি অফিসে নিয়োগ হচ্ছে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া মানুষ জনকে নিয়ে ।বিজেপির আরো অভিযোগ খাদ্য দপ্তর থেকে শুরু করে নবান্ন সব জায়গাতেই চুক্তি ভিত্তিক কর্মী রাই অফিস চালাচ্ছেন।

মমতা বন্দোপাধ্যায় স্ব নির্ভর প্রকল্পের ওপরেও জোর দিলেন।সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে 2 লক্ষ্য যুবক যুবতী কে মোটর সাইকেল কেনার জন্য ঋন দেবার কথাও বলেন।

স্ব নির্ভর গোষ্ঠীর এককোটি সদস্য ও সদস্যাদের ঋন দিয়ে স্ব নির্ভর করার ঘোষনাও আছে এই কর্ম সংস্হান প্রকল্পের মধ্যে ।রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকেও ঋন দিতে বলেন।

একুশের ভোট পাখির চোখ তৃনমূল ও বিজেপি দু দলের কাছেই।বিহারের ভোটে জাত পাতের লড়াই এর থেকেও বেশি কাজ দিলো কর্ম সংস্হান ।আর তার আগেই পশ্চিমবঙ্গের তৃনমূল সুপ্রিমো 35 লক্ষ্য বেকারের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের ময়দানে প্রথম তাসটি খেলে দিলেন।


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।