কল্লোল সরকার, পিতা- ডাঃঅজিত কুমার সরকার , মাতা- মিত্রা সরকার। ৬-২-১৯৮৯ সালে নদিয়ার শান্তিপুর এ জন্ম। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি শুরু এবং সেই সময় অনেক পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এখন টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত এবং অবসর স…
কল্লোল সরকার, পিতা- ডাঃঅজিত কুমার সরকার , মাতা- মিত্রা সরকার। ৬-২-১৯৮৯ সালে নদিয়ার শান্তিপুর এ জন্ম। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি শুরু এবং সেই সময় অনেক পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এখন টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত এবং অবসর সময়ে সাহিত্য অনুশীলন নিয়েই জীবন।
:#লেখার_তারিখ_২৯_১১_২০২০
#কবিতা_উদ্বুদ্ধ
#কলমে_কল্লোল_সরকার
হে নারী সমাজ তোমরা কি শুনছো?
নিজেদের মনোবল গড়ে তোল।
জেগে ওঠো,
হিংস্র রূপ ধারণ করো
অবলা নও তোমরা কেউ।
মনে বিদ্রোহের বীজ বপন কর।
পদদলিত সমাজের দাসত্ব ছেড়ে।
হিংস্র নরপশুদের গলা টিপে ধর।
অন্ধ সমাজের বুকে জ্বালো আলো।
কেনো হচ্ছো নরপশুদের কাছে ধর্ষিত?
বদ্ধ শেকল খুলে নিয়ে হাতে তরবারি ধরো।
স্লোগান তোল, সমাজ পরিশোধন করার।
ধর্ষক হোক নির্মূল ।
এবার ওঠো জেগে।
দলবদ্ধ হও তোমরা নির্বিশেষে।
সমাজ হোক বিপদ মুক্ত।
লোকলজ্জা ছেড়ে কেটে ফেলো পুরুষদের ঐ গোপনাঙ্গ
পরিশোধন সমাজে সব মাধ্যমে বন্ধ হোক ধর্ষণের খবর।
সমাজ হোক শুদ্ধ, উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মত।
************
#লেখার_তারিখ_২৭_১১_২০২০
#কবিতা_বাঁচার_লড়াই
#কলমে_কল্লোল_সরকার
মনুষ্যত্বের অভাবে পিপাসার্ত খাদক আছে ওৎ পেতে
ঝরছে রক্ত, জ্বলছে আগুন ঘরে ঘরে।
কেঁদে ব্যাকুল প্রতিনিয়ত বাঁচার অদম্য ইচ্ছাতে
পৌঁছে না সেই আর্তনাদ সভ্য সমাজের বুকে।
মানবতা গেছে হারিয়ে শক্তির লড়ায়ে
পাতাঝরা গাছে ফুল কভুনা ফোটে।
পৈশাচিক পন্থা ছেড়ে বাঁচুক সবাই বিশ্বভূবন মাঝে
দূর হোক দারিদ্রতা, ভেদাভেদ বিশুদ্ধ জ্ঞানের স্বাদ গ্রহণে।
জাগবে মনুষত্ব, দুঃখ-কষ্ট ভুলে" জোগাবো অন্ন ,
শত্রুতা ভুলে শ্রেষ্ঠ মানব জীবন গড়বো।
কিন্তু,
কিছু মানুষ আছে অন্ধকারে নিমজ্জিত
ব্যস্তময় শহরটাকে করেছে পরিণত লাশকাটা ঘরে।
এদিকে চলছে প্রার্থনা ঢাকে, ঢোলে মুগ্ধ হৃদয়ে
মনের ক্ষোভ ভুলে "করি প্রার্থনা সেই শুভদিনের,
আছি সেই অপেক্ষাতেই।
****************
#লেখার_তারিখ_২৮_১১_২০২০
#কবিতা_গরিবের_অবদান
#কলমে_কল্লোল_সরকার
মনটা আজ আমার আছে ভরে বিষাদে।
দরিদ্র করছে সংগ্ৰাম" জীবন বাঁচানোর দায়ে।
ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদে,
ধনী আছে বিলাসিতায় দরিদ্রের অন্ন কেড়ে ।
করছো বড়াই মিডিয়ার ক্যামেরার সম্মুখে;
দরিদ্র করছে লড়াই এক মুঠো অন্নের দায়ে।
হায়রে মানব জীবন করেছি গর্ব আজীবন
কেউ হয়েছে যাযাবর,
আবার,
কেউ হয়েছে মুখোশধারী কদাকার।
ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ ভুলে দূর করো পৈশাচিক পন্থা।
জ্ঞানের করো বিশুদ্ধিকরন ঘুচবে সব লাঞ্ছনা-বঞ্চনা।
হে ধ্বনি সমাজ কিসের এত করো বড়াই?
দু'মুঠো অন্ন যে খাও",তাও দরিদ্র কৃষকের খাটুনির দায়।
শুধু জীবিকার দায়ে,
তুমি ধনী আর সে দরিদ্রে হয়েছে পরিণত, তফাৎ এটাই ।
*****************
লেখার_তারিখ_১০_১০_২০২০
#দৈনিক_সাহিত্য_অনুশীলন
#কবিতা_চিৎকার
#কলমে_কল্লোল_সরকার
সুন্দর বলে আমি ভালোবেসে
বেদনাকে নিয়েছি আমি নিজে বুকে তুলে।
বাড়িয়ে হাত মহাশূন্যে
আমার মৃত স্বপ্নকে নিয়েছি কাঁধে তুলে।
শূন্য হৃদয়ে আমার মাতাল নৌকা স্রোতে ভাসে
পরাজিত আমি ক্রোধে কম্পমানে।
ছিলাম লুকায়ে আড়ালে স্নেহ মায়া হারিয়ে
হঠাৎ একদিন পেয়ে চিরকুট হাতে,
লেগেছিল রং আমার এই মনে।
অকস্মাৎ এই হৃদয় ভেঙে
নেচেছিল সে আনন্দে উল্লাসে,
বহু বছরের ব্যবধানে;
মেতেছে সে নিসর্গের কঠিন ঘটনায় অবশেষে।
ছুঁয়েছে বিষাদ আমি শুন্যে একা ঘরে
ক্লান্ত আমি একঘেয়ে ডাকাডাকিতে।
কবিতার পান্ডুলিপি নিয়ে হাতে
তাকিয়ে শূন্যপথে হাহাকার এই বুকে।
ভেবেছি,
বৃথাই বাড়িয়েছিলাম হাত আমি ভালোবেসে
বোবা চিৎকারে যাচ্ছি চলে মায়ের আঁচল ছেড়ে।