আগস্ট আন্দোলন এর অমর শহীদ বীর যুবক রামেশ্বর আজও অবহেলিত। 42এর তমলুক থানা দখল অভিযানে অংশ নিয়ে কিয়া খালি গ্রামের বীর যুবক রামেশ্বর তমলুকের কংগ্রেস নেতা অজেয় পুরুষ অজয় কুমার মুখোপাধ্যয় এর নেতৃত্বে 29এ সেপ্টেম্বর 42সালে পুলিশের গুল…
আগস্ট আন্দোলন এর অমর শহীদ বীর যুবক রামেশ্বর আজও অবহেলিত। 42এর তমলুক থানা দখল অভিযানে অংশ নিয়ে কিয়া খালি গ্রামের বীর যুবক রামেশ্বর তমলুকের কংগ্রেস নেতা অজেয় পুরুষ অজয় কুমার মুখোপাধ্যয় এর নেতৃত্বে 29এ সেপ্টেম্বর 42সালে পুলিশের গুলি তে গুরুতর জখম হন। আহতদের কংগ্রেস কর্মীরা তমলুক রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিচালিত হাসপাতাল এ চিকিৎসা এর জন্য নিয়ে যাওযার পথে ইংরেজ পুলিশ রামেশ্বরকে টানতে টানতে থানার কাছে নিয়ে এসে ফেলে রাখে। সংজ্ঞা হীন অবস্থা এ অনেক্ষন পড়ে থাকার পর জ্ঞান ফেরার পর থানার দরজা ধরে চিৎকার করে বলে, "অজয় দা কে বলো আমি থানা দখল করলাম, বন্দেমাতরম। "মৃতদেহ দীর্ঘ ক্ষণ পড়ে থাকলো। মৃতের পোস্ট মর্টেম করলেন চিকিৎসক কালিশংকর নন্দ। তিনদিন পর তমলুক শ্বশানে দাহ করা হয়। মুখ্যাগ্নি করেন তমলুক রামকৃষ্ণ মিশন এর মহারাজ বিশোক মহারাজ। মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলেদেওয়া হয়নি।
আজকে অগাস্ট আন্দোলন এর 75বছর পরে তার পরিবার এর সদস্যরা আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরে আজ ও আমরা বঞ্চিত রয়েছি। কোনো নেতা মন্ত্রী কেউ আসেনা। তার একমাত্র জীবিত পুত্র 87বছরের বনমালী বেরা প্রতিবেদককে কেঁদে বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনশন কেউ পাইনি, বাবার নামে কোনো স্বারক বেদি নেই। কোনো রাস্তা এর নাম করণ যদি করা যায়, কোনো স্কুলের নামকরণ করা যায় তবে খুব ভালো হয়। আমার বাবাকে দেখেছি উনি কংগ্রেস এর গোপন মিটিং এ যেতেন। অজয় মুখার্জী, রমেশ কর, গুনধর ভৌমিক, অমূল্য মাইতি, প্রিয়নাথ জানা প্রমুখ নেতাদের সঙ্গে বাবার যোগাযোগ ছিল। থানা দখল অভিযানের দিন বাবা ও আরো অনেকে থানা পড়ানোর জন্য পাট, কেরোসিন তেল সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ছিল মনে আছে। সেদিন কি জানতাম আমার বাবা আর ফিরবেনা..... বলতে বলতে কেঁদে ফেল লেন।
এযন্ত্রনা শুধু শহীদ রামেশ্বর বেরার পরিবারের নয়, এ ব্যাথা আমাদের দেশের আমরা সত্যি লজ্জিত। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করছি, তাঁরা আজও অবহেলিত। লজ্জা,এ আমাদের লজ্জা। অগ্নি যুগের অমর শহীদ তোমার চরণে আমাদের সহস্র কোটি প্রণাম।