Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্যাবিনেট মিটিং এ গরহাজির উস্কে দিলো নানা বিতর্ক

এখনো কি বলবেন সব ঠিক হ্যায় ।এখনো কি পেন্সিল হাতে পি কে হিসাব কষে যাবেন।তৃনমূলে সব ঠিক আছে।2021 সালের ভোটে আবার ক্ষমতায় ।বোধহয় না।লড়াই টা এত সহজ হবে না।         জননেতা শুভেন্দু অধিকারী তো প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিয়েছেন দেখা হবে…

 


এখনো কি বলবেন সব ঠিক হ্যায় ।এখনো কি পেন্সিল হাতে পি কে হিসাব কষে যাবেন।তৃনমূলে সব ঠিক আছে।2021 সালের ভোটে আবার ক্ষমতায় ।বোধহয় না।লড়াই টা এত সহজ হবে না।

         জননেতা শুভেন্দু অধিকারী তো প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিয়েছেন দেখা হবে লড়াই এর ময়দানে ।প্রমান করে দিয়েছেন এ রাজ্যের তৃনমূল দলে তিনিই এখন দ্বিতীয় জননেতা।মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি কেউ ভোট টানার ক্ষমতা রাখেন তিনি শুভেন্দু অধিকারী ।শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় সমগ্র বঙ্গ জুড়ে রয়েছেন তাঁর অজস্র অনুগামী ।তিনি যদি একবার দল থেকে বেরিয়ে আসেন তা হলে লাখো লাখো অনুগামী দল ছাড়বেন।তাই তৃনমূল এত কিছুর পর সব কিছু হজম করে নিচ্ছেন।

মমতার ডাকা ক্যাবিনেট মিটিং এ চারজন বিধায়ক গরহাজির ।এ নিয়ে ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক দের মধ্যে মত পার্থক্য আছে।তবে শুভেন্দু যে আসবেন না তাতো জানাই ছিল।কিন্তু রাজীব বন্দোপাধ্যায় না আসাতে জল্পনা তুঙ্গে ।

রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের মতো সৎ ও নির্ভীক মন্ত্রী তৃনমূল দলে খুবই কম।ডোমজুড় বিধান সভা থেকে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন।এলাকার মানুষের কাছে নয়নের মনি রাজীব বন্দোপাধ্যায় ।আর অনুগামী বলতে গেলে এখানকার বামপন্থী ও বিজেপি কর্মীরাও তাঁকে চেনেন কাজের মানুষ হিসেবেই ।

চুনোপুঁটি নয় রুই কাতলা কে ধরতে হবে বলার মতো সাহস ইদানিং তৃনমূল দলে শোনা যায় নি।কারন তিনি দলের স্বচ্ছ মূর্তি দেখতে চান।আর নিজে স্বচ্ছ আছেন বলেই তা সম্ভব ।

যদিও দলনেত্রী তাঁর কথায় অরুপ রায় কে সরিয়ে লক্ষী রতন শুক্ল কে জেলা সভাপতির ভার দেন।

তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এক সময়ের সব থেকে কাছের মানুষ ছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী ।তবে পিকে যতদিন দলের ভার নিয়েছেন ঠিক তখন থেকেই শুভেন্দুর ক্ষমতা কমানো হয়েছে।কোভিড সময়ে পরিবহনমন্ত্রী নিজের মতো করে কাজ করতে পারেন নি।কেন পারেন নি সেকথা আলাদা ।

হুগলির সিঙুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই দল ছাড়ার হূমকি দিয়ে রেখেছেন।বেচারাম মান্না ও বলছেন দল ছাড়বেন।অবশ্য তিনি পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন কি দেন নি তা এখনো পরিষ্কার নয়।

তবে একথা সত্য এই ভাঙন আটকাতে গেলে মমতা বন্দোপাধ্যায় কেই ভার নিতে হবে।ফিরদাস হাকিম বা সুব্রত বক্সি কে দিয়ে এ কাজ করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।আর পি কে তো নয়ই ।

সব ঠিক নেই।তলে তলে ভাঙন কিন্তু অব্যাহত ।আর এই ভাঙন মেরামতি না করলে সেই তো আবার লড়াই এর ময়দান।


বিধান সভা ভোটের এখনো দেরি আছে।মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে যেমন সময় আছে ঠিক তেমন সময় আছে বিরোধী দের।শুভেন্দু ও রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের মত জননেতা দল ছাড়লে তৃনমূলের বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

নির্বাচনের নানা রসায়ন এখনো বাকি।তৃনমূল ও নজর রাখছেন দলের বিধায়ক ও মন্ত্রী দের দিকে।তবে মমতা বন্দোপাধ্যায় কেই বুঝে নিতে হবে দলে কারা জননেতা ।কাদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিবিড়।কাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ ।

তৃনমূল সুপ্রিমো নিশ্চয় সব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।তবে একুশের লড়াই যে কঠিন তা বুঝে গেছেন বঙ্গের মানুষেরাও।

এরি মধ্যে সব রাজনৈতিক দল দাবার ঘুঁটি সাজিয়ে নিচ্ছেন।

টান টান উত্তেজনা যে এবারের ভোট নিয়ে তাতো পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে ।


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।