কবিতার নাম -ভাইফোঁটা কলমে-রুনা মুখার্জী১৮/১১/২০২০
আজ ভাই ফোঁটা।প্রতিদিনের মত ঘুম থেকে উঠে ব্যালকনিতে দাঁড়ালাম ।একরাশ ঠান্ডা হওয়া দৌড়ে এলো আমাকে দেখে। আজ যেন ওদের আন্তরিকতা অনেক বেশি।আসলে এগুলো আমার দাদাদের আমার জন্য পাঠানো সীমা…
কবিতার নাম -ভাইফোঁটা
কলমে-রুনা মুখার্জী
১৮/১১/২০২০
আজ ভাই ফোঁটা।
প্রতিদিনের মত ঘুম থেকে উঠে ব্যালকনিতে দাঁড়ালাম ।
একরাশ ঠান্ডা হওয়া দৌড়ে এলো আমাকে দেখে।
আজ যেন ওদের আন্তরিকতা অনেক বেশি।
আসলে এগুলো আমার দাদাদের আমার জন্য পাঠানো সীমাহীন ভালোবাসা।
তারপর বাগানে এসে কচি কচি ঘাস গুলোকে আদর করতে গেলাম,
তখন ঘাসের ডগায় লেগে থাকা শিশির বিন্দু গুলো আমার হাত দুটোকে ভিজিয়ে দিলো ।
তখনই বুঝতে পারলাম এগুলো শুধুমাত্র শিশিরবিন্দু নয় ,
এগুলো আমার জন্য পাঠানো আমার দাদাদের শুভকামনা।
ধীরে ধীরে নীল আকাশের বুকে জেগে উঠলো জ্যোতির্ময় সূর্য ,
যেটা ছিল আমার দেওয়া দাদাদের কপালে চন্দনের ফোটা।
এগিয়ে গেলাম গোলাপ গাছ গুলোর কাছে।
অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি ঝরে পরলো আমার মাথায়।
যেগুলো ছিল ভাইফোঁটায় আমার দাদাদের আমার মাথার উপর রাখা আশীর্বাদী ফুল।
করজোড়ে প্রণাম করলাম উদিত সূর্যকে ।
তারপর অনুভব করলাম আমার দাদাদের পায়ের স্পর্শ।
কে বলেছে স্নেহ-ভালোবাসা দূরত্বের জন্য কমে যায়!
বরং দূরে থাকলে টান বাড়ে ।
দাদা, ভাইদের ভালোবাসা ফল্গু নদীর মত প্রবাহিত হয়।
শুধু এটাকে বুঝে নিতে হয় ।
তাই আজ দূরে থাকলেও দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ পেয়ে গেলাম।
এটা কি কম কথা।
জীবনে যে কোনো পরিস্থিতিতে কেউ যদি মানিয়ে নিয়ে খুশি হতে পারে তবেই সে হয় চিরসুখী।
দুঃখ তাকে স্পর্শও করতে পারে না।