Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কুড়মিরা অবহেলিত

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কুড়মিরা অবহেলিত। নেই সামান্য সঠিক জাতিসত্তার পরিচয়ওঃ
কলমেঃ- অরূপ কাটিআর
আগামী ৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ জঙ্গলমহলের চার জেলায় "হুড়কা জাম" কর্মসূচী কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের ডাকে ২৪ ঘন্টার এই বনধের মাধ্যমে পালিত হব…

 


স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কুড়মিরা অবহেলিত। নেই সামান্য সঠিক জাতিসত্তার পরিচয়ওঃ


কলমেঃ- অরূপ কাটিআর


আগামী ৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ জঙ্গলমহলের চার জেলায় "হুড়কা জাম" কর্মসূচী কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের ডাকে ২৪ ঘন্টার এই বনধের মাধ্যমে পালিত হবে। এতে কি সুরাহা হবে দীর্ঘ ৭০ বছরের কুড়মি বঞ্চনার দাগ? এতে কি জাতিসত্তার পরিচয় ফিরে পাবে কুড়মিরা?   


     আপাতদৃষ্টিতে এর উত্তর হয়তো সবাই না-ই বলবে। তবে এর আগে যতগুলো একদিবসীয় আন্দোলন কর্মসূচি সংঘটিত হয়েছে তাতে কী কী ফল পাওয়া গেছে তার বিশ্লেষণ করলেই এই বনধের প্রভাব সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। 



কুড়মি সমাজ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলো বিভিন্ন মতানৈক্যের কারণে একসময় ভেঙে পড়লেও সেগুলো বর্তমানে সংগঠিত হতে শুরু করেছে। প্রথমাবস্থায় কুড়মি সেনা, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজ ও কুড়মি সমাজ, পশ্চিমবঙ্গ একত্রিত হয়ে কুড়মি সমন্বয় মঞ্চ গঠন করে। পরবর্তীতে সেই মঞ্চে যোগ দেয় পূর্বাঞ্চল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। একইসঙ্গে বেশকিছু সমাজকর্মী, যারা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন, তারাও এই মঞ্চে সামিল হন। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনার পর ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এগোয় সমন্বয় মঞ্চ। 


"দিয়াকে দিয়া, নাই দিয়াকে হুড়কা দিয়া" হল সেই ধারাবাহিক আন্দোলন, যা আমাদের দাবি আদায়ের পথকে সুগম করবে। ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হলেও পরবর্তীকালে সমন্বয় মঞ্চের নেতৃত্বের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে তা আমরণ অনশন কর্মসূচিতে পরিণত হয়। একইসঙ্গে চলতে থাকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা। সঠিক সময়ে সময় সমন্বয় মঞ্চ অনশন তুলে দাবি পূরণের জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়। এরমধ্যে দাবিপূরণ না হওয়ায় জারি থাকে "দিয়াকে দিয়া, নাই দিয়াকে হুড়কা দিয়া" কর্মসূচি। ঘোষণা করা হয় হুড়কা জামের। 



আলোচনার টেবিলে ডাকার পরও কুড়মিদের দাবির বিষয়ে সহানুভূতিশীল নয় সরকার, তাই সেই সরকারের টনক নড়াতে ৭ ই জানুয়ারি এই হুড়কা জাম। ঐক্যবদ্ধ কুড়মিদের সেদিন বুঝিয়ে দিতে হবে যে, আমরা ময়দানে রয়েছি, লড়াইয়ে রয়েছি। আপনারা বিভেদের রাজনীতি করুন, আমরা আমাদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো পুরো সমাজকে। যারা সমাজে বিভেদ ছড়াতে আসছে তাদের সসম্মানে বরণ করে নিয়ে এক ঐক্যবদ্ধ কুড়মি সমাজ গড়ে তুলতে ৭ ই জানুয়ারি সবাই একসাথে পথে নামি চলো।

জহার।

জয় গরাম।