Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মেদিনীপুরের জনসভায় "জনগণ আছে সঙ্গে, তৃণমূল থাকবে বঙ্গে" শ্লোগান তুললেন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : পুরোদস্তর রাজনৈতিক জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি আক্রমণ করলেন সিপিআইএম ও কংগ্রেস কে। সোমবার মেদিনীপুর কলেজ- কলেজিয়েট ময়দানে আহুত জনসভা থেকে কার্যত ২০২১ এর বিধানসভা ন…

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : পুরোদস্তর রাজনৈতিক জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি আক্রমণ করলেন সিপিআইএম ও কংগ্রেস কে। সোমবার মেদিনীপুর কলেজ- কলেজিয়েট ময়দানে আহুত জনসভা থেকে কার্যত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার অভিযান শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। 

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে এবং রাজ্যে বিজেপির বিভিন্ন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে তিনি দিল্লীতে চলা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানান। কৃষক সংগঠন গুলির ডাকা মঙ্গলবারের ভারত বনধ্ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তাঁরা বনধ্ সংস্কৃতির বিরোধী, তবুও কৃষক আন্দোলনের প্রতি তাঁদের সমর্থন রয়েছে। 

তিনি মঞ্চে রাখা ধানের গোছাকে হাতে নিয়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তাঁর বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি তিনি জানান মঙ্গলবার ব্লকে ব্লকে কৃষকদের দাবির সমর্থনে তৃণমূল বিক্ষোভ করবে। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হাতে পেঁয়াজ ও অন্যান্য সবজি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। 

তিনি এন আর সি প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। আম্ফানের ত্রাণ বন্টন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তুই হিসাব চাইবার কে, তুই কী টাকা দিয়েছিস ? অন্যদিকে পি এম কেয়ারের জমা অর্থ প্রসঙ্গেও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অর্থশক্তি,পেশী শক্তি বা ব্লাকমেইল করে তৃণমূলকে কেনা যাবে না।

 তিনি আরও বলেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে জেলে ভরার ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁরা জেলে ঢুকতে ভয় পান না। বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করতে গিয়ে ছন্দ মিলিয়ে বলেন, সিপিএম রক্ষক, বিজেপি ভক্ষক আর কংগ্রেস তক্ষক। তিনি স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, পথশ্রীর মতো রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি পরিচালিত বিভিন্ন রাজ্যসরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। এদিন সভায় উপস্থিত জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন নেতা তথা অধুনা তৃণমূলের রাজ্যনেতা তাঁর বক্তব্যে একপ্রকার ক্লিনচিট দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

তিনি সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, সিপিএম-কংগ্রেসেকে ভোট দেবেন না, আর বিজেপি একবারেবেই না। এদিন কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় ভীড় হয়েছিল যথেষ্টই। জনসমাগম দেখে উৎসাহিত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার শ্লোগান তুলে ধরে বলেন "জনগণ আছে সঙ্গে, তৃণমূল থাকবে বঙ্গে"। এদিনের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সে নিয়ে জনসভায় উপস্থিত সমর্থক তথা গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ থাকলেও কার্যত সে বিষয়ে এদিন সরাসরি কিছুই বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অনেক নেতাকেই এদিনের সভায় দেখা যায় নি। অন্যদিকে দিন দুয়েক আগে মেদিনীপুর পুরসভা বিভিন্ন পোস্টার খুলে ফেললও, সোমবার সকালে আবার মুখ্যমন্ত্রীর ছবির কাছে কাছে বেশ কিছু জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে ভূমিপুত্র বলে আখ্যয়িত করে অনেক হোডিং দেখা যায়।

এদিন সভা শুরুর আগে দমকল বাহিনী গোটা মাঠ স্যানিটাইজ করে। নিরাপত্তার খাতিরে গোটা কলেজ মাঠে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। সভার মাঝেই কিছু তৃণমূল সমর্থক পুরানো কর্মীদের মর্যাদার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তবে সেই বিক্ষোভ দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের শান্ত করেন। এদিনের সভায় সুব্রত বক্সী,পার্থ চট্টোপাধ্যায়,মানস রঞ্জন ভূঞ্যা, সৌমেন মহাপাত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পূর্ণেন্দু বসু, ছত্রধর মাহাতো, অজিত মাইতি,দীনেন রায়, শিউলি সাহা,দুলাল মুরমু সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।