Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পারানীর কড়ি

গতকাল সকালে একটু আমার  কাগজের অফিসে গিসলাম কাজে।শিবপুর মন্দিরতলা থেকে উঠলাম একটি এসি বাসে।একেবারে ফাঁকা ।উঠেই 30 টাকা ভাড়া দিয়েছি।টিকিট ও পেয়ে গেছি।আমি সাধারণত প্রেস কার্ড টি গলায় ঝুলিয়ে বুক পকেটের ভিতরে রাখি।এতে দুটি সুবিধা হয়।…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায় 
 গতকাল সকালে একটু আমার  কাগজের অফিসে গিসলাম কাজে।শিবপুর মন্দিরতলা থেকে উঠলাম একটি এসি বাসে।একেবারে ফাঁকা ।উঠেই 30 টাকা ভাড়া দিয়েছি।টিকিট ও পেয়ে গেছি।আমি সাধারণত প্রেস কার্ড টি গলায় ঝুলিয়ে বুক পকেটের ভিতরে রাখি।এতে দুটি সুবিধা হয়।এক কার্ড টি হারিয়ে যায় না।আর দ্বিতীয়তো কেউ জানতে পারে না আমি সাংবাদিক ।আর সেটি কোনদিন ও দরকার ছাড়া কাউকেই দেখায় নি।এমনকি আমার গাড়ি তেও কখনো প্রেস স্টিকার লাগাইনি।কারন গাড়ি টি আমার ব্যক্তিগত বলেই।
কিন্তু অকস্মাত্ ই ঘটে গেল ঘটনাটি।মোবাইল বার করতে গিয়ে কার্ড টি বাইরে বেরিয়ে এলো।আমি সঙ্গে সঙ্গেই তা ঢুকিয়ে নিলাম।
কিন্তু বিধির বিধান।এটুকু সময়ের মধ্যেই তা চোখে পড়ে গেল সরকারী বাসের কন্ডাক্টর ও চালকের চোখে।তাই জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি সাংবাদিক ।বললাম হ্যাঁ ভাই।কাগজে কাজ করি।
একটু অবাক হয়েই বললেন তবে কেন টিকিট কাটলেন।
বললাম রোজই তো টিকিট কাটি।এটি তো পারানির কড়ি।না দিয়ে যেতে নেই।
ওনাদের বক্তব্য যারা সাংবাদিক নয় , বৈধ কাগজ নেই, তারাও তো আমাদের জোর করে পয়সা দেন না।আর আপনি কাগজ থাকতেও পয়সা দিলেন।
আর তারপর আমার 30 টাকা ফেরত দিতে এলেন।
বললাম না ভাই ফেরত আমি নেব না।কারন টিকিট কাটা হয়ে গেছে।
এরপর ওনাদের চোখে কেমন যেন ভালো মানুষ হয়ে গেলাম।
সরকারের নানা নিয়ম আছে হয়তো।তবে সরকারী কার্ড সকলের থাকে না।তবুও হয়তো অনেকেই কাগজের কার্ড দেখিয়ে এই সুযোগ নেন।সেটি কিন্তু ঠিক নয়।যদিও সরকারী বাস কিছু না বললেও বেসরকারি বাসে সাংবাদিকদের নানা সময় হেনস্থা হতে দেখেছি।
তবে আজ অবধি পারানির কড়ি না দিয়ে আমি বাস থেকে নামিনি।
এ প্রসঙ্গে ছেলেবেলার একটি গল্প মনে পড়ে গেল।বাসে যাচ্ছি একটু দুরের পথে।সহযাত্রী একজন মুসলিম বয়স্ক মানুষ ।ওনার মুখেই শুনেছিলাম পারানীর কড়ি গল্প টি।আর সেদিন থেকেই সেটি পালন করে গেছি।
হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে।
পারানীর কড়ি নিয়ে বসেই আছি।