।তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।শুভেন্দু অধিকারী কে ঘিরেই এখন বাংলার রাজনীতি টালমাটাল । কি করবেন, কোন দলে যাবেন, না তৃনমূল দলেই থাকবেন,এই নিয়ে ছবি এখন ও পরিস্কার নয়।সর্বভারতীয় এক নিউজে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নন্দীগ্রামের বিধায়কের এ…
।তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
শুভেন্দু অধিকারী কে ঘিরেই এখন বাংলার রাজনীতি টালমাটাল । কি করবেন, কোন দলে যাবেন, না তৃনমূল দলেই থাকবেন,এই নিয়ে ছবি এখন ও পরিস্কার নয়।সর্বভারতীয় এক নিউজে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নন্দীগ্রামের বিধায়কের এখন অবস্হান কি।উওরে তিনি বলেন ভারতমাতার সন্তান । রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।
তবে কি পরিস্কার আজ ও হলো না তাঁর অবস্থান ।অনুগামীদের মধ্যে ও চলছে টানাপোড়েন । তবে এ মাসের সাত তারিখ থেকে তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় জেলা সফরে যাবেন রাজনৈতিক ভাবে।পর পর সাতটি জেলাতেই সভা করবেন। লক্ষ্য সেই একুশের ভোট।
আশা করা যাচ্ছে তার আগের দিন 6 ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী হয়তো জানাতে চলেছেন তার অবস্থান । কারন প্রথম দিন থেকেই শুভেন্দু অধিকারী পা ফেলেছেন মেপে মেপে। অরাজনৈতিক সভা থেকে একটিও বেফাঁস কথা বলেন নি।
সৌগত রায় শুভেন্দুকে দলে ফেরাতে নানা ভাবে চেষ্টা করেছেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে সুদীপ বন্দোপাধ্যায় যেমন ছিলেন আবার অভিষেকের ও উপস্থিতি চোখে পড়ে।এমন কি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ও উপস্থিত ছিলেন।
তৃতীয় ও শেষ বৈঠকের পর বরফ গলার খবর সৌগত নিজেই দেন সাংবাদিকদের। আর সেই খবরে খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেমন খুশি হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় ও নাকি আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলেন। যদিও এই কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে, দল না থাকলে পুরসভার সামনে আলু বিক্রি করার কথা। অবশ্য রাজনীতিতে কে কবে কি বলেছেন তা ধরতে নেই। প্রতিদিন অবস্হান বদল হয়।
6 ডিসেম্বর কি শুভেন্দু অধিকারী জানাবেন তাঁর অবস্থান ।নাকি আরো অপেক্ষা ।
নাটক এখন ক্লাইম্যাক্স এ।
শুভেন্দু অধিকারী যে তৃনমূলের সাধারণ নেতা নয় তাতো বোঝাই যাচ্ছে বলে অনুগামীদের বক্তব্য । কারন দল যে শুভেন্দু অধিকারীকে ধরে রাখতে চাইছে। যদিও সৌগত রায়কে প্রশ্ন করা হয় এখনও কি আলোচনা চলবে। উওর ছিল এই মুহূর্তে নয়।
রাজনীতির পাশা খেলায় আগামী 6 ডিসেম্বর শুভেন্দু কি দান দেন তাই দেখার।
অবশ্য বিরোধীদের বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি দলে গেলে মুকুল রায়ের পুনরাবৃত্তি হবে।পদ থাকবে কাজ থাকবে না।তাই শুভেন্দু বিজেপি দলে গেলে তার কি লাভ হবে সেই কথা তিনি ভাববেন।
শৈত প্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তার কোন গুরুত্ব নেই।
পাড়ায় পাড়ায় মোড়ে মোড়ে স্বাস্থ্য সাথীর ফর্ম বিলি চলছে।আর সেখানে ও একটি চর্চা শুভেন্দু কি করবে।
শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বাংলাতে এখন হাওয়া গরম।