Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কবি, লেখিকা মধুমিতা হালদারের কবিতা গুচ্ছ

মধুমিতা হালদারজন্ম- চন্দ্রকোনা রোড, স্বামীর নাম- আশীষ হালদার, বর্তমানে  মধ্যমগ্রামে থাকেন, হাউস ওয়াইফ, লেখা লিখি করেন বহুদিন।: #কবিতা-দুষিত পৃথিবী
দুঃখ আমার নিত্য সঙ্গীএই দুষিত পৃথিবীতে নিঃশ্বাসে খুব কষ্ট, প্রজাপতি পৃথিবীর কষ্ট ব…

 


মধুমিতা হালদার

জন্ম- চন্দ্রকোনা রোড, 

স্বামীর নাম- আশীষ হালদার, বর্তমানে  মধ্যমগ্রামে থাকেন, হাউস ওয়াইফ, লেখা লিখি করেন বহুদিন।

: #কবিতা-দুষিত পৃথিবী


দুঃখ আমার নিত্য সঙ্গী

এই দুষিত পৃথিবীতে নিঃশ্বাসে খুব কষ্ট, 

প্রজাপতি পৃথিবীর কষ্ট বয়ে এনেছে, নিজের দুটি রঙীন ডানা মেলে জানালায় তার আনা গোনা, 

আমার দুঃখের ঘরে বাসা বাঁধতে নয়, 

সেই সময় আর আসবে না, 

লোকে বলে গাঁয়ে প্রজাপতি বসলে বিয়ের ফুল ফোটে, 

সময় ফুরিয়ে এসেছে, 

জানালাটা তাই খোলাই থাক, 

আফসোস হয় এই দিনটা যদি আমার জীবনে আগে আসতো ,

আর আমায় ভালো বাসতো, 

তাহলে নিজের সুন্দর একটা বাসা থাকতো, 

সেই বাসায় অনেক বেশি সুখ থাকতো, 

সুখ কুড়িয়ে গুছিয়ে রাখতাম, 

প্রজাপতির আজ খুব কষ্ট এই দুষিত পৃথিবীতে, 

নেতিয়ে পড়েছে, 

তার যে যাবার সময় এসে গেছে বুঝতে পেরেছি, 

ছোট্ট প্রান আজ মুক্তি পেতে চাইছে, 

আমার দুঃখের ভাগীদার কেউ হলো না।

***********************

            মধুমিতা হালদার

 #কবিতা

#শিরোনাম-সংসার


সংসার একটা রঙ্গমঞ্চ

আমরা সবাই অভিনেতা অভিনেত্রী, 

সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি নানান ছলনায় মিথ্যের ডালি গুছিয়ে রাখি, 

কখনো স্বামীকে মিথ্যে বলা, 

কখনো বা সন্তানের মঙ্গলে, 

কখনো আবার নিজের জন্যে, 

কখন কোনটা কাজে লাগে বোঝা মুশকিল, 

ইচ্ছে গুলো সবসময় সাড়া 

জাগায় না , 

মিথ্যে টাই সংসারে জায়গা করে নেয়, 

পরিস্থিতির চাপে সৃষ্টি হয় নিত্যনতুন নাটকের পাঠ পর্ব, 

সেই নাটকের অংশীদার হতে হয় ইচ্ছের বিরুদ্ধে, 

মিথ্যে নাটকের সঙ্গী এতো বেশি হয়ে যায় যে সত্যি একা পড়ে যায়, 

দলে কেউ থাকে না, 

নাটক করতে করতে মিথ্যের ঝাঁপি ভরে যায়, 

একটা সময় মিথ্যে সংসারকে নষ্ট করে দেয়, 

নাটকের শেষ দৃশ্য দেখার কেউ থাকে না, 

প্রতিনিয়ত আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকটাই বেশি ফুটে ওঠে, 

দোষ গুলো তখন চাপা থাকে না, 

নাটকের এটাই নিয়ম।

এটাই সংসারের ধর্ম।

*************************

        মধুমিতা হালদার

 কবিতা-নারী



নারী তুমি দশভূজা

একা হাতে সব পারো, 

সেই নারী কখনো হয় পতিতা, 

নারী তোমার অনেক রূপ

তুমিই ছলনাময়ী,

 হাসতে তোমার মানা,

 কাঁদো তুমি যত খুশী, 

নারী তুমি কারো রক্ষিতা

হও কলঙ্কিনী, 

নারী তুমি ঘরের লক্ষী

তুমিই নন্দিনী, 

নারী তুমি স্বামীর অর্ধাঙ্গিনী

নারী তুমিই মা, 

সন্তান ধারনে অক্ষম হলে

সেই নারীই হও বন্ধ্যা, 

সন্তান ধারনের ক্ষমতা তোমার

অসীম ধৈর্য্য 

নারী তুমি হারতে শেখোনি 

মুখ বুজে সইতে পারো, 

সেই নারী হয়ে ওঠে প্রতিবাদী, 

অসুর বিনাশিনী, 

বিবেকের দংশনে পুড়তে পারো।

               


              মধুমিতা হালদার