নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : করোনা আবহে খুব বেশি বড় আকারের রক্তদান শিবির না হবার কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ ব্লাড ব্যাংকেই কমবেশি রক্তের সংকট চলছে। মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়ছেন রোগী…
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : করোনা আবহে খুব বেশি বড় আকারের রক্তদান শিবির না হবার কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ ব্লাড ব্যাংকেই কমবেশি রক্তের সংকট চলছে। মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়ছেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। এভাবেই বৃহস্পতিবার রাতে সমস্যায় পড়েন মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন পৌঢ় অনিমেষ দত্তের পরিবার পরিজনেরা। অনিমেষ বাবুর চিকিৎসার জন্য চার ইউনিটে এ পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। রক্তের প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার রাতে অনিমেষ বাবুর বৌমা পূজা দত্ত যোগাযোগ করেন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সদস্য, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার সাথে। সমাজকর্মী কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তী ও সোস্যাল মিডিয়া সূত্রে সুদীপ বাবু যোগাযোগ করেন রক্তদাতা সেক আরিপের সাথে। সুদীপবাবুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকালে মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন সেক আরিপ।অন্যদিকে অনিমেষ বাবুর নাতি দেবায়ূধ চৌধুরীর আহ্বানে শুক্রবার সকালেই রক্তদান করেন অর্ণব রায়। এই দুজন রক্ত দেওয়ায় দু-ইউনিট রক্তের সমস্যা মিটেছে।বাকি দু-ইউনিট রক্তের খোঁজ চালাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া বলেন,সবাই এই ভাবে এগিয়ে এলে,রক্তসংকট কিছুটা হলেও মিটবে।