Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

"বাঙ্গালী হৃদয়ের হার্দিক আর্তি,'দাদা তুমি সুস্থ হয়ে ওঠ'।"

-------- -------- -------------২০২১ সাল ও যে নিশ্চিন্তে কাটবে না,সেটা আপামর দেশবাসী বেশ ভালোই উপলব্ধি করছে। বছরের দ্বিতীয় দিনেই ছন্দপতন--বাঙ্গালীর নয়নের মণি 'মহারাজ' অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 'দিকে দিকে সে…

 



 -------- -------- -------------

২০২১ সাল ও যে নিশ্চিন্তে কাটবে না,সেটা আপামর দেশবাসী বেশ ভালোই উপলব্ধি করছে। বছরের দ্বিতীয় দিনেই ছন্দপতন--বাঙ্গালীর নয়নের মণি 'মহারাজ' অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 'দিকে দিকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে' প্রিন্স অফ ক‍্যালকাটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশবাসীর হৃদকম্পন ধরিয়েছেন। মাইল্ড হার্ট এ্যাটাক হয়ে চিকিৎসাধীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এই মূহূর্তে শহরের এক নামি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


   বঙ্গক্রিকেটের অঙ্গ এই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।একদা ভারতীয় ক্রিকেটিয় ইতিহাসে যে কয়জন বাঙালী ক্রিকেটার এসেছেন,তিনি তাদের মধ্যে ছিলেন সেরা। একথাও অনস্বীকার্য দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ।ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলাতেই ছিল তার ধ‍্যানজ্ঞান।ক্রিকেটার হিসাবে তার দাদা স্নেহাশিষ ছিলেন বেশি পরিচিত।পরবর্তিকালে তাঁর বাবা চন্ডীদাস গাঙ্গুলী দশ বছর বয়সে সৌরভকেও কলকাতার একটি নামী ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন।জীবনে প্রথম সেন্চুরি করেন আন্ডার ১৫ ওড়িশা দলের বিরূদ্ধে।ধীরে ধীরে তার খেলা সকলকে মুগ্ধ করতে থাকে।


       অবশেষে তাঁর সব প্রতিক্ষার অবসান হয়। ১৯৮৯ সালে যখন বাংলা ক্রিকেট দলের হোয়ে তিনি নির্বাচিত হন এবং কাকতলীয় ভাবে সেই বছরই তাঁর দাদা স্নেহশীষ গাঙ্গুলীকে দল থেকে অপসারিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় দলের হোয়ে খেলতে নাবেন। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি সুযোগ পান।কিন্ত পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসাবে মাঠের বাইরে ছিলেন।ভাগ‍্যের চাকা ঘুরে যায় যখন শেষ মূহুর্তে নভজীৎ সিং সিধুর শারীরিক অসুস্থতার জন‍্য মাঠ ছেড়ে যান।পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে নাবেন এবং রাজকীয় লর্ডসের মাঠে একটি অসাধারণ সেন্চুরী করেন।এরপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি...বাকিটা ইতিহাস।


২০০০সালে তিনি আদর্শ অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেন।তাঁর সময়েই শুরু হয় ভারতের ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ।আগে বিদেশী খেলোয়াড়দের চোখ রাঙানী দেখে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার জবাবে কিছু বলতে পারত না। কিন্ত সৌরভ ই শেখালেন কীভাবে পাল্টা জবাব দিতে হয়। তাঁর বহু বিতর্কিত পাল্টা জবাবি ক্ষমতা,তিনি রাজকীয় ভাবেই প্রদর্শন করেন লর্ডসের মাঠেই।

আজ ভারতীয় ক্রিকেট যে যায়গায় এসে উন্নীত হয়েছে,সেখানে সৌরভ গাঙ্গুলীর অবদান অনস্বীকার্য। আজ সারা ভারতের তথা বাংলার ক্রিকেট প্রেমীদের একটাই আর্তি "মহারাজের জয় হোক"।।


অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়

২.o১.২১.