Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্যাসিওপিয়া-সাহিত্য-পত্রিকা-দৈনিক-সেরা-লেখনী-সম্মাননা

ছোট গল্প:- সত্যি ভালোবাসা 🖋ইন্দ্রনীল কর তারিখ:- ২৬\০২\২১চুচুঁড়া 
💜❤💚🧡💙সত্যি ভালোবাসা💙🧡💚❤💜       ♨️🌸♨️🌸♨️ইন্দ্রনীল♨️🌸♨️🌸♨️  
         বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও যখন তনু দরজা খুললো না, তখন বাধ্য হয়েই নিজের কাছে থাকা চাব…

 


ছোট গল্প:- সত্যি ভালোবাসা 

🖋ইন্দ্রনীল কর 

তারিখ:- ২৬\০২\২১

চুচুঁড়া 


💜❤💚🧡💙সত্যি ভালোবাসা💙🧡💚❤💜

       ♨️🌸♨️🌸♨️ইন্দ্রনীল♨️🌸♨️🌸♨️  


         বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও যখন তনু দরজা খুললো না, তখন বাধ্য হয়েই নিজের কাছে থাকা চাবিটা দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো কৌশিক। পুরো বাড়ি অন্ধকার, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে লাইটের সুইচ অন করতেই আঁতকে ওঠে কৌশিক। পেছন দিকে ছিটকে যায় নিজের অজান্তেই। মেরুদণ্ড দিয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায়।


 -- কৌশিক, কী হলো ভেতরে আসবো?


দরজার বাইরে থেকে একটা কথা ভেসে আসে কৌশিকের কানে। কিন্তু সেদিকে যেন তার মন নেই। আর মন থাকলেও কথা বলার শক্তিটাও যেন হারিয়ে ফেলেছে সে। কৌশিক দেওয়ালে পিঠ লাগিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। চোখগুলো ক্রমেই ভিজে উঠছে। চোখে মুখে ফুটে উঠছে আতঙ্ক। কপাল বয়ে কয়েক ফোঁটা ঘাম চিবুক দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে। 


-- কৌশিক, তোর হলো? দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।


আরও কিছুক্ষণ বাইরে থাকা লোকটা ডাকাডাকি করার পরও যখন কৌশিকের কোনো সাড়া শব্দ পেল না তখন বাধ্য হয়েই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে লোকটা। আর ঢুকতেই চোখ দুটো আটকে যায় মেঝের ওপর । দুটো মৃতদেহ পড়ে আছে। একটা পুরুষ আরেকটা মহিলা। পুরুষটাকে ঠিক চিনতে না পারলেও মহিলাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। কৌশিকের স্ত্রী তনু । দৌড়ে গিয়ে দুটো মৃত দেহের নাড়ি পরীক্ষা করে লোকটা। দুর থেকে দেখেই পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে দুজনের কেউই বেঁচে নেই, তবুও একজন পুলিশের কর্মকর্তা হিসাবে করতে হয়। পাশেই কৌশিক চোখদুটো বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। সে দৃষ্টি নির্বাক। সেদিকে এগিয়ে যায় লোকটা। তারপর বলে,


-- কৌশিক, এটা কীভাবে হলো? আর পাশে পড়ে থাকা লোকটাই বা কে?


কৌশিক বেশি কিছু বললো না, শুধু বললো,


-- অভিক, জানি না আমি।


অভিক আবারও মেঝেতে পড়ে থাকা দুটো মৃত দেহের দিকে এগিয়ে গেল। মৃত্যুটা যে খুবই যন্ত্রণাদ্বায়ক ছিলো সেটা খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছে। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে হেডকোয়াটারে ফোন করে অভিক। তারপর ভালো করে মৃত দেহগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের জন্যই যে মৃত্যু হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ মেঝেতে যে পরিমাণ রক্ত পড়ে আছে তাতে এটা আন্দাজ করা খুব একটা মুশকিল নয়। পুরুষ মৃত দেহের দিকে ঝুঁকে পড়ে অভিক। নাকে একটা চেনা গন্ধ ভেসে আসে। আর তখনই বিষয়টা চোখে পড়ে। নাভির ঠিক একটু নিচে এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা মৃত্যুর আগে নাকি পড়ে সেটা ফরেনসিক টেস্টের আগে বলা শক্ত।


দুটো মৃতদেহকেই ভালো ভাবে পরিক্ষা করেই বন্ধুর দিকে এগিয়ে যায় অভিক। কৌশিক নিজেও একজন পুলিশের কর্মকর্তা। অন্য সময় হলে সেও অভিকের সাথে মৃত দেহগুলো পরিক্ষা করতো। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। সবাই জানে কৌশিক তার স্ত্রীকে মানে তনুকে কতোটা ভালোবাসে। এই সব নিয়ে কৌশিক যে ডিপার্টমেন্ট বন্ধুমহলের কাছে হাসি-তামাশার স্বীকার হয়নি তেমনটা নয়,প্রায়ই হতো। তখন কৌশিক বলতো,


-- তোরা যাই বলিস ভাই, তনুকে ছাড়া আমি থাকতে পারি? ভালোবাসি ওকে, আর সেও আমাকে ভালোবেসে।


বন্ধুর এমন ভেঙে পড়া দেখে অভিক কাছে এগিয়ে গেল। তারপর কাঁধে একটা হাত রেখে বললো,


-- কৌশিক, ভেঙে পড়িস না। এখানে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। আমরা ঠিক খুনিকে খুঁজে পাবো। আর সাথে এই অপরিচিত যুবকের ঠিকানাও।


কথাগুলো শুনে এবার কেঁদেই ফেলে কৌশিক। তারপর ভাঙা ভাঙা গলায় বললো,


-- আর আমার তনু? ওকে এনে দিতে পারবি তো? ছাড়বো না আমি কাউকে ছাড়বো না।


অভিক আর কোনো প্রশ্ন করলো না। কারণ কৌশিক যে প্রশ্নটা করেছে, তার উত্তর নেই অভিকের কাছে।


একটু পরই বাইরে পুলিশের একটা গাড়ির শব্দ শোনা গেল। শব্দ শুনতেই অভিক বাইরে বেরিয়ে এলো। আর তারপর আবার কয়েকজন পুলিশের সাথে ফিরে এলো। আসতে আসতে একজনকে পুরো ঘটনা খুলে বললো অভিক। মৃতদেহ আরও একবার চোখে চোখে পরিক্ষা হলো, তারপর পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হলো। অভিকেরও যাওয়া উচিত ছিলো, কিন্তু সদ্য স্ত্রীর বিয়োগান্ত বন্ধুকে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না, তাই অভিক থেকেই গেল। 


পরেরদিনই রিপোর্ট চলে এলো। মৃত্যুর সময় বিকেল চারটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যেই হয়েছে। খুনের সময় দুজনেরই মুখ বাঁধা ছিলো। প্রথমে হাতের শিরা কাটা হয়েছে, তারপর তনু এবং অপরিচিত যুবকের নাভির নিচের অংশটা এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। তারপর কোনো ধারালো বস্তু দিয়ে গলা কাটা হয়েছে। যেহেতু পুরো সময়ই মুখ বাঁধা ছিলো, তাই চিৎকার করতে পারেনি। খুনটা যেহেতু কৌশিকের বাড়িতেই করা হয়েছে তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাকেই আগে জিজ্ঞাসা করা হলো।


-- খুনের সময় আপনি কোথায় ছিলেন?


প্রশ্নটা শুনে কৌশিকের ব্যথা ভরা চোখটা অভিকের দিকে গেল। কৌশিক অভিকের দিকে তাকাতেই অভিক বললো,


-- কৌশিক আর আমি সে সময় এক সাথেই ছিলাম। তারপর সাতটা নাগাত কৌশিকের সাথে ওর বাড়ি যাই, তনুকে নিতে। গতকাল তনুর জন্মদিন ছিলো। তাই কৌশিক বললো তনুকে নিয়ে ঘুরতে যাবে। আমাকেও সাথে নিতে চায়। কিন্তু আমরা গিয়ে দেখি তনুর লাশ পড়ে আছে মেঝেতে, আর সাথে আরেকটা যুবকের।


কৌশিক যে তার স্ত্রীকে খুন করতে পারে না সেটা সবাই জানতো। ওদের ভালোবাসার খবর ছিলো পুরো ডিপার্টমেন্টেই। কিন্তু খুন তো হয়েছে, তাও একটা নয় দুটো। শুধু তনুর খুন হলে সেটাকে কোনো চোর বা ডাকাতের ওপর দোষ চাপানো যেত। বাড়িতে কেউ নেই ভেবে এসে খুন করে জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। কিন্তু সে যুক্তিও এখন অচল। এই দিকে সেই যুবকেরও কোনো খোঁজ মিললো না।


প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করা হলো, কেউ কিছু বলতে পারলো না। এইদিকে তনুর পরিবারও কৌশিকের সাথে। জামাইয়ের বিরুদ্ধে যে মামলা করবে সেটা করতেও বিবেকে বাঁধে। আর যাই হোক, নিজেরাই তো দেখেছি মেয়ে জামাই কতোটা সুখী ছিলো। কিন্তু মিডিয়াতে তো আর এইসব বলা যায় না। তাই খবরের কাগজে ছাপা হলো, 

" ডাকাতের হাতে গৃহবধু খুন, সাথে তাদেরই একজন।" বিস্তারিত খবরে যা বলা হলো সেটা হলো,, বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহ বধুর দেহের লোভে পড়ে ওরা। তারপর নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া। ফলাফল রাগের বশে খুন। "তারপর তনু আর সেই যুবকের ছবিও ছাপা হলো।


ছবি ছাপার দিন সাতেক পর ঘটনার মোড় একটু ঘুরে গেল। এক লোক এসে দাবি করলো মৃত যুবকটা তার ভাইয়ের ছেলে। ভাই গত হয়েছে অনেকদিন হলো। তাই ভাইপো শহরেই থাকে, এখানেই চাকরি করে। কিন্তু কোথায় চাকরি করে সেটা জানে না। মৃত দেহ মর্গ থেকে লোকটাকে দিয়ে দেওয়া হলো। তারপর ঠিক তিন দিন পর আরেকজন ভদ্রলোক এলো পুলিশের কাছে। তার কথামতো, সেই যুবক তারই অফিসে কাজ করে। পরে পুলিশ তার সব কলিগ কে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরও বেশি কিছু জানা গেল না। এমনকি তনুর একটা ফটোও দেখানো হলো। কিন্তু তাতেও যখন কেউই চিনতে পারলো না তখন পুলিশ বেশ অাশাহত ভাবেই ফিরে এলো।


পুলিশ এবার কেসটা গোয়েন্দাদের হাতে দিলো। তারা খোঁজ খবর নিয়ে খুব বেশি খবর না পেলেও এটা জানতে পারলো যে, সেই যুবক তনুর বাড়ি থেকে মাইল দুয়েক দুরে একটা মেসে থাকে। এবার খোঁজ করা হলো সেই মেসে। কিন্তু না তনুকে তারা কেউ চেনে না। এমন কী তাদের রুমমেটরা বললো যে, যুবকটা নাকি কারও সাথে ফোনেও কথা বলতো না খুব একটা। তবে হ্যাঁ, কার সাথে জানি হালকা পাতলা কথা বলতো। এবার একটু শুকনো মাটিতে জলের ছিটেফোঁটার দেখা মিললো। কিন্তু পরে সেটাও চৈত্র মাসের কাঠ ফাটা রোদে বিলীন হয়ে গেলো। কলটা কোনো এক লাল সুন্দর বাবুকে করতো। সেখানে খোঁজ নিতেই বেরিয়ে এলো সেই লোকটা। যিনি মৃত যুবকের কাকার পরিচিয় দিয়েছিলো।


তনুর কিন্তু কোনো মোবাইল পাওয়া যায়নি। সবাই জানে তনু মোবাইল ব্যবহার করতো না। এই অধুনিক যুগে এসেও যে কোনো মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে না এটা জেনে সবাই অবাক হলেও কথাটা সত্যি । দরকার হলে কৌশিকের মোবাইলই নিতো। আর যদি কৌশিককেই দরকার পড়তো তাহলে প্রতিবেশির কাছে গিয়ে কল করতো।


অনেক তদন্ত করার পরও যখন কোনো তথ্য মিললো না তখন সবাই প্রায় হাল ছেড়েই দিয়েছিলো। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই ঘটনার মোড় ঘুরে গেল। কৌশিকের কোনো এক প্রতিবেশীর বক্তব্য হলো, এই যুবককে তিনি আগেও এই বাড়িতে আসতে দেখেছেন। এমন কী কৌশিক যে তাকে খুন করেছেন সেটাও। পুলিশ আবার তদন্তে নেমে পড়লো। কৌশিককে আপাতত জেলেই রাখা হলো। এতে অবশ্য তনুর বাবা বেশ ক্ষীপ্তই হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন তদন্ত চলার পর যে প্রতিবেশী এই মিথ্যে বয়ান দিয়েছিলো তাকে পুলিশ এরেস্ট করলো। লোকটা ভারী ধুর্ত। ভেবেছিলো এই সুযোগে শ্বশুর জামাইয়ের পক্ষে সাক্ষী দেওয়ার জন্য কিছু টাকা কড়ি দেবেন। কিন্তু সে সুবিধা করতে পারলো না।


অারও মাস দুয়েক কেটে যাওয়ার পরও যখন পুলিশের হাতে কোনোই তথ্য প্রমাণ এলো না তখন বাধ্য হয়েই কেসটা বন্ধ করে দিতে হলো। কৌশিকও আগের মতই জীবনযাপন শুরু করলো। পুরুষের শোক বেশিদিন থাকে না।


সন্ধ্যে প্রায় ঘনিয়ে এসেছে।

পশ্চিমাকাশে সূর্যটা ঢলে পড়েছে বেশ কিছুক্ষণ হলো। নদীর জল ক্রমেই নিকশ কালো রঙ ধারণ করছে। কৌশিক নদীর এই পাড়টায় বসে ছিলো বেশ কিছুক্ষণ। অানমনে তাকিয়ে ছিলো নদীর জলের গতিপথের দিকে। এমন সময় একটা হাতের ছোঁয়া লাগলো কাঁধে। শুকনো গলায় বললো,


-- এসেছিস? বস।


লোকটা বসতেই মুখটা হালকা আলোতে দেখা গেল, অভিক। অভিক পাশে বসতে বসতে বললো,


-- তারপর? এখন কী অবস্থা? তনুর আর ঐ ছেলেটার মোবাইল কী করলি?


কৌশিক কোনো কথা না বলে হাতের ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিলো। অভিক সেইদিকে তাকিয়ে দেখলো, এখনো জায়গাটা থেকে হালকা ধোঁয়ার আভা বের হচ্ছে।


-- আর ছুড়িটা ?


কৌশিক এবার নদীর দিকে আঙ্গুল তুললো।


ফিরে দেখাঃ


আজ তনুর জন্মদিন। প্রতিবারই এই দিনটা খুব ধুম-ধাম করেই পালন করে কৌশিক। কিন্তু এইবার ওর মন ভালো না। মাস দুয়েক হলো তনু লুকিয়ে একটা মোবাইল কিনেছে। মাঝ রাতে কারও সাথে কথাও বলে। আড়ি পেতে শুনে কৌশিকের বুঝতে আর দেরি হলো না বিষয়টা। বিশ্বাসঘাকতা? মনের ভেতরের আগুনটা দাবানলে পরিনত হতে খুব বেশি সময় লাগে না। কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়ি ভাবতেই পারিনি। দক্ষ পুলিশ অফিসার তাই অভিক কে নিয়ে ফাঁদটা পাততে এতটুকুও ভুল করেনি সে। কৌশিক ভেবেছিলো জন্মদিনে ওকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বোঝাবে। সাথে অভিকও থাকবে। কিন্তু বাড়িতে এসে সেটা আর হলো না। তনু জানতো কৌশিক আজ বাড়ি আসবে না। তাই সে নিজের কাজটাই করেছিলো। তারপর আর কী? সব শেষ। লাশ দুটো মেঝেতে ফেলে রেখে বেরিয়ে যায় অভিক আর কৌশিক। তারপর আবার ফিরে আসে। এসে যা হলো তা তো সবই জানা।


-- প্রথমবার তনুকে মৃত দেখে তুই যেমনটা করলি, আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।


নিবরতা ভেঙে বললো অভিক। 


কৌশিক তখনও চুপ। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পাশের একটা গাছের মগডালের দিকে। বেশকিছুক্ষণ পর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললো,


-- ভালোবাসাটা কিন্তু মিথ্যে ছিলো না। কিছু কিছু ভালোবাসা সত্যিও হয়।


                                             🍁ইন্দ্রনীল🍁 


🧡💚❤💜💛💙🧡💚❤💜💛💙🧡💚❤

      ❣🍀❣🍀❣ইন্দ্রনীল❣🍀❣🍀❣