নষ্ট মনের উপাখ্যান
মৃত্যুঞ্জয় সরকার
২৩/০২/২০২১
মনটা বড় উসখুস করছে আজ, শেষবার থাকতেই পারলেনা, আসার পর দিনই মেল এলো তল্পিতল্পা গুটিয়ে তড়িঘড়ি রওনা দিলে। যাবার মুহূর্তে নষ্ট চন্দ্র এঁকে দিলে চোখে মুখে ঠোঁটে আলতো করে...
গেলো মেলে লিখেছ…
নষ্ট মনের উপাখ্যান
মৃত্যুঞ্জয় সরকার
২৩/০২/২০২১
মনটা বড় উসখুস করছে আজ, শেষবার থাকতেই পারলেনা, আসার পর দিনই মেল এলো তল্পিতল্পা গুটিয়ে তড়িঘড়ি রওনা দিলে।
যাবার মুহূর্তে নষ্ট চন্দ্র এঁকে দিলে চোখে মুখে ঠোঁটে আলতো করে...
গেলো মেলে লিখেছো, সীমান্ত এখন সুরক্ষিত, বেশ ক দিনের ছুটি, তোমাকে নিয়ে নদী ঝর্ণা পাহাড় দেখতে যাবো, ইচ্ছে আছে সমুদ্র স্নানে রামধনু রঙে তোমাকে রাঙাবো বারবার..
প্রায় এক বছর হলো অনিকেত, আমাদের বুবুন দৌড়চ্ছে এখন, বুলি ফুটেছে, গড়গড় করে বলে আদো আদো স্বরে মা.. বা.. বা...
অবিকল তোমার শৈশবী কার্বন কপি..
আজ পঞ্চমী সরস্বতী পুজো, লালপেড়ে শাড়ী, কপালে পড়েছি বড় সিঁদুরের টিপ, বসে বসে প্রহর গুনছি তুমি আসবে তাই, ছেলেটিও বারবার দুস্টুমি করে, এঘর ওঘর ছুটোছুটি আর খালি এসে বলে মা বাবা কেমন?
আমি বলি এই রকম, সেই রকম, ওই রকম সোনা,টোল পড়া গালে চুমু খেয়ে...
কেন জানি প্রতিটি কাজ আজ ভূল হয়ে যায়
হৃদয়ে সমুদ্র তুফান..
সেই যে বাবা মা গেছে এখনো আসার নাম গন্ধ নেই, হয়তো তোমার শখের জিনিস এখনো হয়নি কেনা।
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুম নেমে আসে দুচোখে
হাওয়ায় ভেসে মন ছুটে চলে গহীনতায়, নৈসর্গিক আলিঙ্গনে ঠোঁটে ঠোঁটে উষ্ণতার ছয়লাপ...
হঠাৎ কোলাহলের শব্দে তড়াক করে উঠি
ঘরময় চেনা অচেনা লোকের ভীড়, বুকটা ধড়াক করে উঠে, বুবুন বলে মা বাবা এসেছে, ত্রস্ত লাজুক পায়ে বুবুনের হাত ধরে এগিয়ে যায়...
ওঃ ডুকরে কেঁদে উঠি, সারা শরীর কাঁপতে শুরু করে
টলতে টলতে মেঝেতে বসে পড়ি।
মা বাবা স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে ছল ছল চোখ
আমি চিৎকার করে কেঁদে বলি
তুমি এলে অনিকেত সত্যি এলে কফিন বন্দী হয়ে...
আমার হৃদয়ে প্লাবন
অবিশ্বাসী দু চোখে মরুঝড়।
রচনা কাল : ফেব্রুয়ারী দু হাজার ঊনিশ
স্বস্তিপল্লী, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত