বাম- কংগ্রেস থেকে একাধিক নেতা- কর্মীর তৃণমূলে যোগদান, দলিয় পতাকা তুলে দিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তমলুকের কর্মী সম্মেলনে উপচে পড়লো ভীড়।
২১ শের নির্বাচন দোরগোড়ায়। সেই নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করত…
বাম- কংগ্রেস থেকে একাধিক নেতা- কর্মীর তৃণমূলে যোগদান, দলিয় পতাকা তুলে দিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তমলুকের কর্মী সম্মেলনে উপচে পড়লো ভীড়।
২১ শের নির্বাচন দোরগোড়ায়। সেই নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে শুক্রবার তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে তমলুক রাজ ময়দানে আয়োজন করা হলো কর্মী সভা। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, অভিনেত্রী তথা রাজ্য নেত্রী প্রিয়া সেনগুপ্ত, শহীদ মাতা পাঁশকুড়ার বিধায়িকা ফিরোজা বিবি, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, তমলুক পুরসভার প্রশাসক দীপেন্দ্রনারায়ন রায়, তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল খাড়া সহ অন্যান্যরা।এদিন হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম থেকে বহু বাম- কংগ্রেসের নেতা - কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলিয় পতাকা তুলেদেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।
২১ শের নির্বাচনে যাতে বিপুল আসন নিয়ে বাংলায় আবার তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পারে তার জন্য কর্মীদের একজোট হয়ে বিরোধীদের পরাস্ত করার আহ্বান জানানো হয় উপস্থিত কর্মীদের। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কর্মী সম্মেলন শুরু হয়েছে। এদিন তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা কর্মী সম্মেলনে কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো দেখার মতো। বাংলাকে রক্ষা করার জন্য মহিলারাই এগিয়ে এসেছেন। এবারের নির্বাচনে মহিলাদের ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ তা এদিন সম্মেলনে মহিলাদের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। এদিন সৌমেনবাবু বলেন, বাংলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির সভা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে সভার আয়োজন করা হলেও সেখানে মানুষের উপস্থিতি না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বদের। ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে মানুষের মন জয় করার জন্য পরিবর্তন যাত্রার রথ বের করিয়েছে বিজেপি। রথের নামে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার চেস্টা করছে। যতই রথ বের করুক, ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিক না কেন তৃতীয় বারের জন্য আবার নবান্নের ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
