Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাজনীতিতে তারকাদের ঝলসানি।

তরুন চট্টোপাধ্যায় ।সাংবাদিক
বঙ্গের রাজনীতি আজ মুখ ঢেকেছে তারকার উপস্থিতিতে ।হতেই পারে।তাদের সঙ্গে আলোর ঝলসানি আছে।চেনা মুখের গ্রহন যোগ্যতা কেও অস্বীকার করার উপায় নেই।ফলে সেলিব্রিটি আর আমজনতার মধ্যে একটি ব্যবধান তো থেকেই যায় ।আর আম…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।সাংবাদিক


বঙ্গের রাজনীতি আজ মুখ ঢেকেছে তারকার উপস্থিতিতে ।হতেই পারে।তাদের সঙ্গে আলোর ঝলসানি আছে।চেনা মুখের গ্রহন যোগ্যতা কেও অস্বীকার করার উপায় নেই।ফলে সেলিব্রিটি আর আমজনতার মধ্যে একটি ব্যবধান তো থেকেই যায় ।আর আম জনতা যারা ঝান্ডা হাতে লড়াই করে তাদের রুপালি পর্দার চমকের কাছে হার তো মানতেই হবে।সে হার তাঁরা না হয় হারলো।ক্ষতি কি।ভোটের ফলাফল যাই হোক রুপোলি পর্দার নায়ক নায়িকারা আবার তো ফিরে যাবেন যে যার আপন পেশায়।কিন্তু সারা বছর ধরে যারা ভেবেছিলেন হয়তো একটা পদ্দোনতি।হয়তো দল থেকে একটু সন্মান ।না তা নেই।আর নেই বলেই কেউ হাউমাউ করে কাঁদছেন,আবার কেউ রাস্তা আটকে প্রতিবাদের পথে।ইচ্ছে পূরন না হলে একটা বহিপ্রর্কাশ তো থাকেই।যার যেমন।

এই প্রসঙ্গে এক নেতার কথা মনে পড়ছে।তখন তিনি দোদন্ড প্রতাপ ।ছাত্র পরিষদের সভাপতি ।পরে দিদির তৃনমূলে ।আবার এখন বিজেপি ।
বঙ্গের রাজনীতি আজ মুখ ঢেকেছে তারকার উপস্থিতিতে ।হতেই পারে।তাদের সঙ্গে আলোর ঝলসানি আছে।চেনা মুখের গ্রহন যোগ্যতা কেও অস্বীকার করার উপায় নেই।ফলে সেলিব্রিটি আর আমজনতার মধ্যে একটি ব্যবধান তো থেকেই যায় ।আর আম জনতা যারা ঝান্ডা হাতে লড়াই করে তাদের রুপালি পর্দার চমকের কাছে হার তো মানতেই হবে।সে হার তাঁরা না হয় হারলো।ক্ষতি কি।ভোটের ফলাফল যাই হোক রুপোলি পর্দার নায়ক নায়িকারা আবার তো ফিরে যাবেন যে যার আপন পেশায়।কিন্তু সারা বছর ধরে যারা ভেবেছিলেন হয়তো একটা পদ্দোনতি।হয়তো দল থেকে একটু সন্মান ।না তা নেই।আর নেই বলেই কেউ হাউমাউ করে কাঁদছেন,আবার কেউ রাস্তা আটকে প্রতিবাদের পথে।ইচ্ছে পূরন না হলে একটা বহিপ্রর্কাশ তো থাকেই।যার যেমন।

আমি তখন কলকাতার এক দৈনিকের সাংবাদিক ।বয়স কম।চরকির মতো ঘুরছি।সেই নেতা আমাকে অফার দিয়ে ছিলেন ছাত্র পরিষদের কাগজটির সম্পাদক হবার।না বলেছিলাম সরাসরি ।কারন রাজনিতীর সঙ্গে সম্পর্কিত কোন কাগজে সাংবাদিকতার ইচ্ছে আমার ছিল না।যদিও তিনি জেদাজেদি করেছিলেন অনেক ভাবেই।তবুও রাজি হই নি।

আসল কথায় আসি।একবার সেই নেতা নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন না।সরাসরি তোপ দাগলেন দলের বিরুদ্ধে ।সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথা উঠলো তার এই প্রতিক্রিয়ার ।খুব সুন্দর ভাবে বললেন, দেখুন আপনি যেমন আপনার পেশায় উন্নতি চান।ঠিক তেমন ভাবে আমরাও চাই আমাদের দলে যেন পদ পাই।আর আমি যোগ্য প্রার্থী হয়েও কেন তা পাবো না।উওর দিতে পারিনি।

রুপালি পর্দার ক্ষেত্রে অবশ্য এটি খাটে না।কারন তারা কেউ সিঁড়ি ভেঙে রাজনীতি তে আসেন না।আসেন আমন্ত্রিত হয়ে।আমাদের লাইনেও এটি আছে।আমন্ত্রিত লেখক।ছাই পাঁশ যাই লিখুন ছাপা হবেই।

বলতে চাইছি গ্লামারের দামের কথা।গ্রাম থেকে উঠে আসা এক তরুন কে প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে যে কাঠখড় পোড়াতে হয়, তা ঘটেনা অন্য দের ক্ষেত্রে ।আসলে একটা আলো পড়া ঝাঁ চকচকে মুখের সঙ্গে একটা হ্যারিকেনের কালি ঝুলি সরিয়ে লড়াই টা হয়তো হয়ে ওঠে না।

আর আদর্শ ।সে সব তো অনেক আগেই উঠে গেছে।ক্ষমতার অলি গলিতে হাঁটতে না পারলে কে আর আসবে দেশ সেবায়।

সেই ফুটবলারের কথা মনে পড়ছে।যিনি বলেছিলেন গ্যাস খেয়ে ক্ষুদিরাম হতে পারবো না।আসলে ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকীরা পরাধীন ভারত বর্ষের সু সন্তান।এরা নয়।

আজ যারা বাদ গেলেন তাঁরা তো বলছেন চলো অন্য কোনখানে ।

ভোট টা দেব কিনা ভাবছি।সার্কাস চলছে।সার্কাস ।

কিন্তু গনতন্ত কে বাঁচাতে ভোট তো দিতেই হবে।সে নোটাও হতে পারে।

তবে আমিও সমর্থন করি সেই নেতার কথা।কলেজ জীবন থেকেই রাজনীতি কেই পেশা করেছি।এটি ছেড়ে অন্য পেশা যে নেই আমার কাছে।

না পেশা বদল আমিও করেছিলাম ।নেশা বদল করতে পারিনি।

রাজনীতি যে এখন আর নেশা নয়।সত্যি সত্যি পেশা।লাভজনক পেশা।

তাহলে তো এই ক্ষোভের আগুনের মধ্যে যৌতিকতা তো থাকছেই।

সেই নেশা।আজ আবার পুরু দস্তুর পেশাতে এনে ফেলেছি।ফলে ইচ্ছে না থাকলেও লিখতে হয়।লেখা ছাড়া আর কি আছে।আলোর ঝলকানি থাকলে অন্য কিছু ভাবা যেতো।নেই যখন তখন কলম পিশেই সুখে রাখি আমার বাবা মাকে।

নন্দীগ্রামে লড়াই শুভেন্দুর সঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ।ডোমজুড় রাজীব বনাম আর এক কল্যাণ ।কাঞ্চনের সঙ্গে প্রবীরের।লিখতে হবে।সব কটি বিধান সভা ঘুরে ঘুরেই।নেশা যে আজ আবার পেশা।ফলে ছাড় নেই আমার ও।আর ছেড়ে যাব কোথায় ।নেশার ট্যাবলেটটি যে গিলে নিয়েছিলাম অল্প বয়সেই।