কবিতা : বিশ্বাসের অন্তর্জলী যাত্রা
কল্পদেব চক্রবর্তী ১২ - ৪ - ২১
পায়ের তলার মাটিটা তখন ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে অবিশ্বাসের দমকা হাওয়া তখন কুচক্রী দৈত্য রুপে হাজির বোঝাতে চাইলাম, দেখো মুঠোয় ধরা আমা…
কবিতা : বিশ্বাসের অন্তর্জলী যাত্রা
কল্পদেব চক্রবর্তী
১২ - ৪ - ২১
পায়ের তলার মাটিটা তখন ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে
অবিশ্বাসের দমকা হাওয়া তখন কুচক্রী দৈত্য রুপে হাজির
বোঝাতে চাইলাম, দেখো মুঠোয় ধরা আমার বিশ্বাস
এই নাও ধরো, একবার যাচাই করে তো দেখো।
রক্ত চুষে নেওয়া তুলিতে ভৌগোলিক ম্যাপ,
কে যেন নিজের মতো এঁকেছে!
লাল তীর চিহ্নে নির্দেশিত আমার ঠিকানা
আকাশ থেকে এক লহমায় মাটিতে আছড়ে পড়েছে রক্তাক্ত হৃদয়
বিশ্বাসের খেসারত ।
রফা সূত্রের খাতা হাতে এগিয়ে এলো দানব
তিনটি বৃক্ষ তখন সামনে দাঁড়িয়ে
সম্মান, অসম্মান ও আত্মহনন।
মৃতদেহের সৎকার তখন হয়েগেছে
আত্মার কাটা ছেঁড়া তখন চলছে
এতদিনের বিশ্বাস এর পাহাড়ে তখন কাপন ধরেছে
ঐ পাহাড়ের চূড়াতেই তো আমার ঘর
তার শেকড় ধরে তখন দানব টানছে
উপরে ফেলতে চায় তিলে তিলে গড়েতোলা স্বপ্ন সৌধের ইমারত।
আয়োজন সম্পূর্ণ
শ্রাদ্ধশান্তির পালা চলছে
উপাচার আয়োজনের প্রয়োজন নেই
মূল্য চাই, মূল্য ধরে দাও।
গলার ফাঁসটা যখন ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে
অন্তিম লগ্নে আত্মা চিৎকার করে উঠল
দেব.. দেব..দেব...... মূল্য ধরে দেবো।
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল দানব
শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করল
গলায় তার টাকার মালা
আর সততা ভূপাতিত।
নিঃস্পাপ বিশ্বাস ভূলুন্ঠিত।
ঐ একবারই জয়ের আনন্দে দানব দয়ালু হলো।
লুন্ঠীত স্বপ্নের কলার টেনে ধরে তুলে বলল,
যা ভাগশালা ভাগ
এ পৃথিবীটা আর তোদের নয়
এ পৃথিবীটা এখন অবিশ্বাসের
বিশ্বাস সততা ওরা আমাদের ক্রীতদাস।
মুঠো মুঠো মূল্য ধরে দিয়ে মুক্ত তখন মন
ভালোবাসার কাছে পৌছব বলে ছুটছি
ভালোবাসা এই নাও.. এই নাও..এই নাও তোমার বিশ্বাস।
মুঠো মুঠো মূল্যের বিনিময়ে ভিক্ষা দিয়েছে দানব আমার বিশ্বাস।
ভালোবাসা তখন উচ্চস্বরে কাদছিল।
বিশ্বাসের কান্না তখনও থামছিল না।
-------------------