Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হাঁটুতে অপারেশন ,ট্রেনিং নিতে পারলেন না ভোটকর্মী

তরুন চট্টোপাধ্যায় , কলকাতাগনতন্তের অতন্দ্র প্রহরী এই ভোটে যারা ভোট করাতে যান তাদের ভোট করতে যাওয়া নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।ভোট নিতে যাওয়া, ভোট করে ফেরা নিয়ে নানা অভিযোগ তো থাকেই।এছাড়া প্রশিক্ষণের সময় ও নানা ঝক্কি ঝঞ্ঝাট ।           …

 


তরুন চট্টোপাধ্যায় , কলকাতা

গনতন্তের অতন্দ্র প্রহরী এই ভোটে যারা ভোট করাতে যান তাদের ভোট করতে যাওয়া নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।ভোট নিতে যাওয়া, ভোট করে ফেরা নিয়ে নানা অভিযোগ তো থাকেই।এছাড়া প্রশিক্ষণের সময় ও নানা ঝক্কি ঝঞ্ঝাট ।

                  আজ শম্পা কর্মকার নামে এক মহিলা যাঁর বয়স 59 বছর আট মাস ।চাকরী আছে মাত্র চারমাস ।গতকাল ই চিঠি পেয়েছেন ভোটের ট্রেনিং এর।

শম্পা দেবীর এক পায়ে হাঁটুর অপারেশন হয়েছে।আর একটি পা খুবই খারাপ অবস্থায় ।তবুও ওয়ারকার নিয়ে গেলেন ট্রেনিং সেন্টারে।মন্মথনাথ বিদ্যালয় ব্যারাকপুরে।গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ।প্রশিক্ষণ চলছে তিনতলায় ।উনার ওঠবার ক্ষমতা নেই।

ফলে অপেক্ষা আর অপেক্ষা ।কেউ কোন সুরাহার কথা জানালেন না বলে তিনি অভিযোগ জানান।শেষমেষ ছুটলেন ডি এম অফিসে ।যদি কিছু সুরাহা হয়।কিন্তু সেখানেও কোন সুরাহার সন্ধান মিললো না।

ফলে সারাদিন চরকির মতো ঘুরে শেষমেষ নির্বাচন দপ্তরে মেল করলেন।জানেন না কপালে কি আছে।37 বছর চাকরি জীবনের অন্তিম লগ্নে এসে এই প্রথম ভোটের ডিউটি।ভেবেছিলেন কষ্ট করেও ভোটের কাজ করবেন।কিন্তু প্রশিক্ষন তিনতলাতে তাই বিপত্তি ।

শম্পা দেবীর অভিযোগ আমাদের মতো মহিলা যাদের পায়ে মারাত্মক অসুবিধা তাঁরা তিনতলার সিঁড়ি ভেঙে যাবে কি করে।প্রশাশন তো নির্বিকার ।উল্টে ডি এম অফিসে নোটিশ টাঙানো ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে লজ্জা দিবেন না।

         মেডিকেল গ্রাউন্ড বলে তো একটা কথা আছে।অশক্ত মানুষকে ডিউটি দিয়ে এই বিড়ম্বনা কেন।প্রশ্ন শম্পা দেবীর।

জানি অনেকেই সাধারণ কারনে ভোটে যেতে চান না।তাই হয়তো এই কঠিন পরিস্থিতি ।তবে সত্যি সত্যি অসুস্থ দের কি রেহাই দেওয়া যায় না।তাছাড়া অসমর্থ মানুষ কি পারবেন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে।প্রশ্ন তো থাকছেই।