লকডাউন পরিস্থিতি তে খাওয়ার মিলছেনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল চত্বরে, ফলে চূড়ান্ত সমস্যার সম্মুখীন রোগীর বাড়ির লোকজন।
রাজ্যজুড়ে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন জা…
লকডাউন পরিস্থিতি তে খাওয়ার মিলছেনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল চত্বরে, ফলে চূড়ান্ত সমস্যার সম্মুখীন রোগীর বাড়ির লোকজন।
রাজ্যজুড়ে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন জারি করেছে, ফলে নির্দিষ্ট সময় এর পরই নিয়ম মেনে সমস্ত দোকান বন্ধ রয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রত্যেক মুহূর্তে রোগী ভর্তি হয় তমলুক জেলা হাসপালে। হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার পরিজন রা খাবার না পেয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন এমনটাই জানান সংবাদ মাধ্যমের সামনে। হাসপাতাল এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সমস্ত হোটেল বন্ধ। 2017 সালের 27 নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায়, পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে চালু হয়েছিল "রসনা তৃপ্তি" নামে রোগীর বাড়ির লোকের খাওয়ার ক্যান্টিন। কিন্তু প্রায় 1 বছরের ওপর বন্ধ সেই ক্যান্টিন। যার ফলে গতবছর ও লকডাউন এ চরম সমস্যায় পড়েছিল রোগীর বাড়ির লোকজন । এবছর ও করোনা পরিস্থিতি তে সেই একই ছবি ধরা পড়লো। জেলা হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার কোথায় খাওয়ার পাবেন ভেবে পাচ্ছেন না তারা। এই পরিস্থিতিতে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্যা সামান্য মূল্যে রোগীর বাড়ির পরিজন দের খাওয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু অভিযোগ হাসপাতালে সুপারের নির্দেশ এ তাদের এই সহযোগিতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব বলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্য গুলির কাছে কোনো অনুমতি নেই তাই তিনি খাওয়ার দিতে দেননি, জেলাশাসক বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর অনুমতি পত্র দেখালে তবে তিনি খাওয়ার দিতে দেবেন। এই অবস্থায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার পরিজন।