সৃষ্টি সাহিত্য যাপনশিরোনাম_ওরা জানে না বৈচিত্র্য কিকলমে_রূপসী চৌধুরীতারিখ_১৯/০৬/২০২১
বৈচিত্র্য শব্দটা বড্ডো বেসুরো লাগে ওদের কানে।যাদের জীবনটা ভরা নানা কঠিন সংগ্রামে।কঠোর বাস্তবটা কিন্তু ওরা বোঝে সবচেয়ে বেশি।তাইতো ওরা যেটুকু পে…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
শিরোনাম_ওরা জানে না বৈচিত্র্য কি
কলমে_রূপসী চৌধুরী
তারিখ_১৯/০৬/২০২১
বৈচিত্র্য শব্দটা বড্ডো বেসুরো লাগে ওদের কানে।
যাদের জীবনটা ভরা নানা কঠিন সংগ্রামে।
কঠোর বাস্তবটা কিন্তু ওরা বোঝে সবচেয়ে বেশি।
তাইতো ওরা যেটুকু পেয়েছে তাতে থাকে ভীষণ খুশি।
ফুটপাতের ওই ঝুপড়ি ঘরটা ওটাই ওদের স্বর্গ।
জীবনটাকে বাজি রেখে চলাটাই যে ওদের ধর্ম।
কত রথী, মহারথী এলো আর গেলো।
কত কিছুই তো হলো উন্নয়ন।
ফুটপাতে যারা গড়েছে স্বর্গ,
শুধু তাদের ইচ্ছার হয়েছে মরণ।
প্রাতঃ কর্ম হোক কিংবা রেশন কিংবা কলতলায় জলের জন্য।
ওরা শুধু জানে, যেতে হবে তাড়াতাড়ি, লাইনে দাঁড়ানোর জন্য।
এভাবেই ওরা অভস্ত্য হয়েছে এটাই ওদের বৈচিত্র্য।
আসলে ওরা জেনে গিয়েছে, জীবনের চরম সত্য।
তাইতো ওরা পায় না কষ্ট, সন্তান গেলে কাজে।
শিশুশ্রম নাকি আইন বিরুদ্ধ, শুকনো কথায় কি চিরে ভেজে।
যত বেশি কাজ, তত ভালো খাওয়া, এটাই ভীষণ সত্যি।
সবাই তো তাই কাজ করে ওরা নেই কোনো গাফিলতি।
ভালোবাসার ঝড় ওঠে ফুটপাতের ঘরে, রাত নামলে পরে।
বাচ্চাগুলো তখন অঘোরে ঘুমায়, পরিশ্রম করে।
অল্প বয়সে বাচ্চাগুলো বোঝে যে কত কিছুই।
ছোট থাকতেই, ওরা বড়দের অনুকরণ করে অনেককিছুই।
দোষ তুমি দেবে কাকে? কে শুনবে তোমার কথা?
ওরা ফুটপাতবাসী, এভাবেই হয়েছে ওদের জীবনগাঁথা।
সমাজের উন্নয়ন যতই হোক চোখ ধাঁধানো।
ফুটপাত ও ঝুপড়িবাসীর পরিবর্তন হবে না কক্ষনো।
শিক্ষার আলো যদি না পৌঁছায় ওদের ঘরে।
বৈচিত্রের সংজ্ঞা ওরা জানবে কেমন করে।