Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আত্মঘাতী চিকিৎসক

নিজস্ব সংবাদদাতা তমলুক: দীর্ঘ আইনি জটিলতায় বেতন বন্ধ প্রায় বছর চারেক। এমন পরিস্থিতিতে করোনা লকডাউনে আর্থিক অনটনের শিকার হয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হলেন তমলুকের চিকিৎসক। বুধবার সকালে বাড়ির সামনে বৈঠকখানার ভেতর থেকে তার ঝুলন্ত …

 


নিজস্ব সংবাদদাতা তমলুক: দীর্ঘ আইনি জটিলতায় বেতন বন্ধ প্রায় বছর চারেক। এমন পরিস্থিতিতে করোনা লকডাউনে আর্থিক অনটনের শিকার হয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হলেন তমলুকের চিকিৎসক। বুধবার সকালে বাড়ির সামনে বৈঠকখানার ভেতর থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ দাস (৫৯)। তাম্রলিপ্ত পৌরসভার টাউন সংকরারা ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা। বাড়িতে স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সংসার। ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে যথেষ্টই সুনামের সঙ্গে কাজ করছিলেন। নন্দীগ্রাম গুলি চালানোর ঘটনায় পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তিনি জেলা হাসপাতালের এক এবং অদ্বিতীয় হয়ে ওঠেন। এমন পরিস্থিতিতে বছর চারেক আগে জেলা হাসপাতাল থেকে ঝাড়গ্রামে তার বদলি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকাকে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। যার জেরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগ, এর পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসকের মাসিক বেতন। ফলে আর্থিক অনটনের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন প্রদীপবাবু। এরপর আবার কিডনি সহ নানান শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়েছিলেন তার। এমন পরিস্থিতিতে এদিন সকালে মর্নিংওয়াক শেষে চেম্বারেই ঢুকে ছিলেন ডাক্তার বাবু। সেখান থেকেই তার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

স্ত্রী স্বরূপাদেবী জানান, উনি অনেক দিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন যে কারণে উনি আর চাপ নিতে পারছিলেন না। ফলে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতার কারণে উনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। এদিকে দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে বেতন বন্ধ থাকায় উনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এদিকে এদিন তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের পর ই পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয় পুলিশ। এলাকার এক গ্রামীণ চিকিৎসক শঙ্কর বাবু বলেন, এমন ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। প্রাইভেট ও প্রাক্টিস করতেন না। কিন্তু একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যত এবং পরিবারের কথা ভেবে যে উনি এত বড় পদক্ষেপ নেবেন তা আমরা ভাবতেই পারিনি।