Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা তমলুক: প্ৰত্যন্ত গ্রামের ভেতরেই প্রাসাদপ্রম বাড়ি। আর তার সামনেই জমকালো প্যান্ডেল করে জাঁকজমকে বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ের আশীর্বাদী অনুষ্ঠান। এমন আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যেই পুলিশী হানায় ঘটেছিল অঘটন। এরপর বৃহস্পতিব…

 


নিজস্ব সংবাদদাতা তমলুক: প্ৰত্যন্ত গ্রামের ভেতরেই প্রাসাদপ্রম বাড়ি। আর তার সামনেই জমকালো প্যান্ডেল করে জাঁকজমকে বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ের আশীর্বাদী অনুষ্ঠান। এমন আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যেই পুলিশী হানায় ঘটেছিল অঘটন। এরপর বৃহস্পতিবার এলাকার বহু বেকার যুবক যুবতীদের চাকরির টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নামে কাপড় ব্যবসায়ী হলেও ব্যবসার অন্তরালে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক যুবতীদের থেকে কোটি কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ময়নার আরং কিয়ারানা এলাকার বাসিন্দা প্রভাবশালী আলোক মাইতির বিরুদ্ধে। তিনি আবার একাধারে এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীও বটে। কিন্তু মেধাতালিকায় নাম না থাকায় জনরোষ আছড়ে পড়ে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আলোক মাইতির স্ত্রী সরস্বতী মাইতি। ময়নার থানার উপদ্রুত প্রত্যন্ত বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আরং কিয়ারানা এলাকার বাসিন্দা। বাড়ির অদূরে স্থানীয় বাজারেই তার একটি কাপড় দোকান রয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ কোটি টাকা খরচা করে একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর সম্প্রতি বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। এর জন্য বুধবার সকাল থেকে বিয়ের আশীর্বাদী অনুষ্ঠান ঘিরে অতিথি আপ্যায়নে কোনভাবেই খামতি ছিল না। প্রসাদপুর বাড়ির সামনেই জাঁকজমক করে প্যান্ডেল বানিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল এই আশীর্বাদ এর অনুষ্ঠান। আর সে সময়ই বাড়িতে কড়া নাড়ে ময়না থানার পুলিশ। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও প্রতারিত হওয়া এলাকার এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তদের দাবি, স্কুলে শিক্ষকতা থেকে শুরু করে গ্রুপ সি গ্রুপ ডি চাকরির ক্ষেত্রে মাথাপিছু প্রায় ১৮ থেকে ২২ লক্ষ টাকার বিনিময় চাকরির টোপ দেওয়া়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই আশপাশের এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে এই প্রতারিতদের সংখ্যা অনুযায়ী প্রায় কয়েক শো কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে থেকেও কিভাবে একজন কাপড় ব্যবসায়ী কয়েকশো বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল সে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাই প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই প্রতারণা মামলায় প্রায় কয়েক শ' কোটিি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাই ধৃত এই অলক এর পাশাপাশি এই জাল চক্রের মাস্টারমাইন্ডের সন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। এদিন বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল অলোক বাবুর বাড়ির সামনে জাঁকজমক করা গড়ে তোলা প্যান্ডেল টি এখনো পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফুলের মালা। তবে নির্জন বাড়িতে চাবি তালা লাগানো। কিন্তু রহস্যময় এই চরিত্রের বিষয়ে স্থানীয়রা কেউ মুখ খুলতে না চাওয়ায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।