ভুয়ো আই এ এস দেবাঞ্জন দেব ইতিমধ্যেই আম জনতার কাছে এক পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।তাঁর সম্পর্কে মানুষের জানার ইচ্ছে ও দিন দিন প্রবল হয়ে উঠছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই সিট গঠন করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন ।আর প্রতি দিনই নতূন নতূন তথ্য উঠে আসছে পুলিশের…
![]() |
তরুণ চট্টোপাধ্যায় |
ভুয়ো আই এ এস দেবাঞ্জন দেব ইতিমধ্যেই আম জনতার কাছে এক পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।তাঁর সম্পর্কে মানুষের জানার ইচ্ছে ও দিন দিন প্রবল হয়ে উঠছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই সিট গঠন করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন ।আর প্রতি দিনই নতূন নতূন তথ্য উঠে আসছে পুলিশের জালে।
ফুটবলে লিঙ্কম্যান বলে একটি পজিশন চালু হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে।আমরা তখন ফুটবল থেকে একটু দূরে।কিন্তু খেলা দেখতে গিয়ে বুঝেছিলাম লিঙ্কম্যান ই আসল কারিগর।সে ই বল তৈরি করে বাড়িয়ে দেন সামনের ফরোয়ার্ড কে।আর সে দু একটি ড্রিবিল করে একেবারে বিপক্ষের জালে বল পাঠান ।আর এই ভুয়ো আই এ এস কে নিয়ে লিখতে গিয়ে বার বার মনে হচ্ছে কে বা কারা এই লিঙ্ক ম্যান।যাদের বল নিয়ে অনায়াসে তিনি জালে জড়িয়েছেন বিগত বছর গুলিতে।যাদের সাহায্য নিয়ে তিনি নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে বার বার ছুটে গেছেন।পুলিশ তার টিকি স্পর্শের সাহস পান নি। আজ সেই লিঙ্ক ম্যানদের খুঁজে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে ভুয়ো আই এস এসের সাম্রাজ্যের হাল হকিকত ।
ইতিমধ্যেই পুলিশ তার একান্ত সহযোগী দের ও গ্রেপ্তার করে সেই পথেই হাঁটছেন ।তবে শুধু চুনোপুঁটি নয়,রাঘব বোয়াল দের ও এই তালিকায় নাম যে থাকতে পারে।আর তাঁদের ই সাহায্যে তিনি ভুয়ো আই এ এস সেজে একের পর এক গোল করেছেন।এবিপি আনন্দ তো ঘোষনা করেছেন শেষ পর্যন্ত তাঁরা ও এই জালের পিছনে লেগে থাকবেন ।এখন দেখা যাক কি ওঠে জালে।চুনোপুঁটি না রুইকাতলা।
দেবাঞ্জন নাকি ভালো ছবি আঁকতেন।আর এই নেশাই নাকি তাঁকে সাহায্য করেছে সমস্ত কিছু নকল তৈরি করতে।আর পুরসভার অন্দরে অলি গলিতে ঘুরতে ঘুরতে সে আসল ছবির সন্ধান পায়।আর তা থেকেই কম্পিউটার ফটোশপে একেবারে হুবহু নকল করা ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ।আর তা সে করতে পেরেছেন নিজস্ব দক্ষতায় ।
আজ দেবাঞ্জন দেব বাজারে একেবারে হাতে গরম খবর।রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যের মানুষের কাছেও তিনি পৌঁছে গেছেন মিডিয়ার দৌলতে।
আর আমরা বঙ্গবাসীরা ভাবছি আসল আর নকল চিনতে আমাদের কত না দেরি হয়ে গেল ।
যখন চিনলাম তখন বেশ কিছু মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে নকল ভ্যাকসিনের বিষ।উৎকন্ঠা নিয়ে দিনগুনছেন তাঁরা ।
আর কত বিষ ছড়িয়েছেন এই নকল আই এ এস।
এক জন শিল্পীর তুলিতে কল্পনার রঙবেরঙের ছবি ফুটে ওঠে বলেই এতদিন জেনে এসেছি।
আজ তো শিল্পীদের ও ভাবতে হচ্ছে ।
আসল আর নকল তুলিতে বাংলা যদি বার বার ক্ষত বিক্ষত হয় তাহলে তো কলম তুলে রাখি কি করে।
সমাজবাদের মহান তীর্থ ভারতবর্ষ,
আর কতদিন গুসগুসে জ্বর সইবে বলো।
একে তো করোনার জ্বর,আর সেই সঙ্গে দেবাঞ্জন জ্বরে কাঁপছে বাংলা।
আসল আই এ এস রাই ভাবতে বসেছেন ।
এ কেমন রঙ্গ জাদু।