Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কোভিড অতিমারিতে কমছে জিডিপি, বিপাকে মানুষ

✍🏽সোমনাথ মুখোপাধ্যায় 
কোভিড অতিমারি আবহে চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সংকট চলছে ভারতে। ৪ শতাংশের আশেপাশে ঘুরছে গ্রোথ ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপির হার। বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম!বিশেষজ্ঞদের মত তেমনটাই। গতবছর কোভিড অতিমারির আগে থেকেই অর…

 


✍🏽সোমনাথ মুখোপাধ্যায় 


কোভিড অতিমারি আবহে চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সংকট চলছে ভারতে। ৪ শতাংশের আশেপাশে ঘুরছে গ্রোথ ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপির হার। বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম!বিশেষজ্ঞদের মত তেমনটাই। 

গতবছর কোভিড অতিমারির আগে থেকেই অর্থনীতির গতি কমতে শুরু করেছিল। হ্রাস পাচ্ছিল জিডিপি। কমতে শুরু করেছিল সাধারণ মানুষের সঞ্চয়। এ বছরেও ছবিটা বিশেষ পাল্টায়নি। চূড়ান্ত আর্থিক মন্দা চলছে। বেকারত্ব বাড়ছে। সামগ্রিক সঞ্চয় কমছে, ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কোভিড সংক্রমণের প্রথম, দ্বিতীয় ঢেউ চলে গিয়েছে। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার ফাঁস আরো চেপে বসতে পারে ভেবে শঙ্কিত অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।

গতবছর মহামারী থেকে অতিমারির চেহারা নিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। অতিমারি ঠেকাতে সারা দেশে কঠোর লক ডাউনের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে কিছুটা সুফল মিললেও, অর্থনীতির রক্তক্ষরণ আটকানো যায়নি! একমাত্র কৃষি ক্ষেত্রে অল্প হারে বৃদ্ধি ছাড়া প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। দ্রুত আরো গরিব হচ্ছে মানুষ। বিশেষজ্ঞরা এর দাওয়াই বাতলেছেন। তাঁরা বলছেন, সাধারণ মানুষের হাতে নগদের যোগান দিতে হবে। ফলে চাহিদা বাড়বে। পণ্য বিক্রি হবে। তবেই কিছুটা সুফল মিলতে পারে। নোবেল জয়ী অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কৌশিক বসু, তাবড় অর্থনীতিবিদদের মত তেমটাই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে তিনটি ত্রৈমাসিকের এপ্রিল-জুনে সঞ্চয়ের হার ছিল জিডিপির ২১ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা কমে হয় ১০.২ শতাংশ।অক্টোবর-ডিসেম্বরে আরো কমে ৮.২ শতাংশ। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কে জমার হার ৭.৭ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৩ শতাংশে। যেখানে ২০১৪ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সার্বিকভাবে সঞ্চয়ের হার ছিল ২৩ শতাংশ! এছাড়াও ভীষণভাবে কমে গিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৠণ নেওয়া। ফলে পণ্যের বিক্রিবাটা কমেছে।

শীর্ষ ব্যাঙ্কের দেওয়া পরিসংখ্যান বাস্তবের সঙ্গে যথেষ্ট সঙ্গতিপূর্ণ। ২০১৬ তে সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত আজও ছায়া ফেলছে অর্থনীতিতে! এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড অতিমারি আবহ। এই জোড়া কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন বিরাট সংখ্যক মানুষ। উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে বিভিন্ন সংস্থার। কাজ কমেছে। কর্মী সংকোচনের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাগুলি। ফলে মানুষের হাতে অর্থের যোগান ক্রমশ কমছে। বেচাকেনা কমছে। চাঙ্গা হচ্ছে না বাজার। মানুষ পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু পেশা বদল করেও বিশেষ সুফল মিলছে না! বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবী করছেন, ২০২৫-র ভিতর দেশ আর্থিকভাবে শক্তিশালী হবে। বিভিন্ন আর্থিক প্যাকেজের মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা জারি থাকবে বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের একটা বড়ো অংশের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁদের আশঙ্কা চলতি আর্থিক বছরে ২৫শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে অর্থনীতি! শুধু আমজনতা নয়, এর ফলে রাজ্যগুলির রাজকোষে ঘাটতি বৃদ্ধি পাবে। কমতে কমতে আবার কি সেই ৪ শতাংশের আশেপাশে চলে যেতে পারে জিডিপি! সেটাই ওয়াকিবহাল মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।।