বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটপাড়ায় গ্রামে দিনের-পর-দিন মৃতদেহ সৎকার করে চলেছেন যারা মানুষ তাদের কাছে ঋণী। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে এই অতিমারি কালে মরণ ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতদের অন্তিম ক্রিয়া নিয়ে বহু হৃদয়বিদারক ঘটনা স…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট
পাড়ায় গ্রামে দিনের-পর-দিন মৃতদেহ সৎকার করে চলেছেন যারা মানুষ তাদের কাছে ঋণী। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে এই অতিমারি কালে মরণ ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতদের অন্তিম ক্রিয়া নিয়ে বহু হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। স্বজনহারানো প্রিয়জনরা শেষ দেখা থেকে অন্তিম কাজটুকুও করার সুযোগ পায়নি। করোণা আক্রান্ত মৃতদের সৎকারের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে প্রতিবেশীরাও অতি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শোকার্ত পরিবার বর্ণনাতীত সমস্যায় পড়েন। দীর্ঘদিনের দিনের দাবী করোণায় মৃতদের পরিণতির কথা ভেবে দীঘার মোহনায় প্রায় 5 কোটি টাকা ব্যয়ে ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মাণ করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব থেকে বেশি করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহ দাহ করা হচ্ছে এই শ্মশানে। এখানেই শ্মশান কর্মীরা নিষ্ঠা সহকারে সেই অপ্রিয় কাজটি করে চলেছেন দিনের পর দিন, রাতের পর রাত। এই কর্মীদের কথা এখনো পর্যন্ত কারো ভাববার সময় হয়নি। কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সংকেত পয়লা জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার শ্মশান কর্মীদের 'সমাজবন্ধু' সম্মান জ্ঞাপন করল। উত্তরীয় ,ব্যাচ, ফুল ,মিষ্টান্ন ও নতুন পোশাক দিয়ে তাদের সম্মান জানানো হলো।
শ্মশান কর্মী তপন মাইতি বলেন আমরা ভাবতে পারি নি আমাদেরকে কেউ সম্মান জানাবে। এই সম্মান পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমরা উদ্বুদ্ধ হলাম কাজের গতি পেলাম। সংস্থার পক্ষে সভাপতি অভিজিৎ সামন্ত ও সংস্থার অন্যতম কর্ণধার নকুল দাস বলেন সারাবছর কোনো না কোনো কাজ নিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি, কর্মীদের সম্মান জানাতে পেরে তৃপ্তি বোধ করছি আমরা। দীঘা উপকূলে প্রায় 300 পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বলে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।