"ঋণ"রবীন্দ্রনাথ হালদার।আত্মজীবনী নির্ভর কবিতা।০১/০৭/২০২১.*************************ঋণ জর্জর জীর্ণ জীবনে শরৎ কখনো কি আসে ?দখিণা হিল্লোল বাতাসে।ঋণ যন্ত্রণা যাকে কুরে কুরে খায়,সে কখনো কি তার জীবনে শরতের আবেশ পায় ?কবি মাইক…
"ঋণ"
রবীন্দ্রনাথ হালদার।
আত্মজীবনী নির্ভর কবিতা।
০১/০৭/২০২১.
*************************
ঋণ জর্জর জীর্ণ জীবনে শরৎ কখনো কি আসে ?
দখিণা হিল্লোল বাতাসে।
ঋণ যন্ত্রণা যাকে কুরে কুরে খায়,
সে কখনো কি তার জীবনে শরতের আবেশ পায় ?
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত,
হাড়ে-হাড়ে টের পেয়েছিলেন এই তত্ত্ব।
দুঃখ-যন্ত্রণা যদি কারো জীবনে না আসে!
কবি জীবনে তাঁর কবিতা-সাহিত্য সকলই জীবন হতে যায় বনবাসে।
কয়লা,কয়লা হয় আগুনের পরশে।
মানুষ কবি হয় যদি বিধাতা তার জীবনে দুঃখের ডালি বরষে।
যদি কেউ তার জীবনে শীতের পরশকে আবাহন না করিতে পারে!
বসন্ত সুখের ডালি নিয়ে আসেনা কভু তাহার দ্বারে।
তাইতো প্রভু তোমার কাছে করছি করুণ মিনতি,
ভান্ডারে আছে যত দুঃখ তাকে বর্ষণ করো আমার প্রতি।
তোমার কাছে শুধু এইটুকুই আমি চাই,
তোমার কৃপায় যেন মানব হৃদয়ে লভি যেন ঠাঁই।
পৃথিবীর বুকে আমি আছি যতদিন,
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে শুধিতে চাই তাদের সেই ঋণ।
আমার পরে তোমার সেই শুভকামনা বর্ষিত হোক চিরদিন।
তাই শুধিতে চাইনা আমি পৃথিবীর কোনো ঋণ,
পৃথিবীর বুকে আমি বেঁচে আছি যতদিন।